ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল নাসিরনগরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২৯ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ ১জন আটক জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানাল জামায়াত জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক সংস্কারের কথা সবার আগে বলেছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল বিগত সরকারের সময় অর্থনৈতিক তথ্য ছিল ‘গোঁজামিল নির্ভর’ গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেন্ট এ কারের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে জুলাই গণঅভুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে নান্দাইলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আবরার ফাহাদ হত্যা : হাইকোর্টের রায় রোববার ৪৩ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা জেলা প্রশাসক তার বক্তব্য প্রত্যাহার নাকরলে মামলার হুশিয়ারীঃ আইনজীবী সমিতির/

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৪৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ) বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা।রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন

আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন বলেন, আমরা বৈধভাবেই এখানে অবস্থান করছি। দলিলমূলে এখানে আছি। ডিসি (জেলা প্রশাসক) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলা আইনজীবী সমিতির নামে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন, তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে জিয়া উদ্দিন বলেন, ডিসির বক্তব্যের সঙ্গে দেশের বাস্তবতার মিল আছে কি-না তা আমার জানা নেই। ডিসি সাহেব যে কাজ করছেন তা নীতিবহির্ভূত। তিনি আইনজীবী সমিতির মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। আইনজীবী সমিতির ভবনসমূহ যথাযথভাবে অনুমোদিত নয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছে। পরীর পাহাড় এলাকায় সিডিএ কোনও ভবনের অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে যেন জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেওয়া হয় বলেও মন্তব্য করেছেন ডিসি। যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত।
‘শত বছরের ঐতিহ্যে লালিত চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মান, মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনের এহেন ঘৃণিত প্রয়াস দুঃখজনক। এছাড়া পানি সংযোগ, গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন বিভিন্ন দফতরে পত্র প্রেরণ করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন যাতে নির্মাণ হতে না পারে, সেজন্যই জেলা প্রশাসন থেকে এমন ন্যাক্কারজনক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির স্থাপনাসমূহকে উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গত ২ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। অথচ কোর্ট বিল্ডিং এর চারপাশে সমিতির কোনও অবৈধ স্থাপনা নাই। কোনও ছাত্রাবাসও নাই। দোকানপাট, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, বস্তি ইত্যাদি স্থাপনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক লিজ প্রদানকৃত জায়গায় ও কিছু অংশ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক ভাড়ায় লাগানো হয়েছে। যা থেকে তারা মাসিক ও দৈনিক ভাড়া উত্তোলন করে থাকেন। এসব স্থাপনায় অনৈতিক কাজ, মাদক ব্যবসা ইত্যাদি হয়ে আসছে, যা বন্ধে জেলা প্রশাসন থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এই সুযোগে ২০০৫ সালে কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়েছিল তাহা কিন্তু সকলেরই অজানা নয়।

বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা আইনজীবী নেতারা কখনোই অপসারণ করেনি, দাবি করে তিনি বলেন, আইনজীবী ভবন সংলগ্ন রাস্তার বৈদ্যুতিক পোল, ব্রিজ ইত্যাদিতে এখনও প্রশাসনের সিসিটিভি ক্যামেরা বিদ্যমান রয়েছে। আদালত এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সমিতির প্রত্যেকটি ভবনের সম্মুখে নিজস্ব ব্যয়ে ২০১৫ সাল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আইনজীবী সমিতি নিজস্ব অর্থায়নে বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সংযোগ নিয়ে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ১২৮ বৎসরের একটি পেশাজীবী সংগঠন। সমিতির ভবনসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুদানে এবং সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত। এছাড়া ভবনগুলো সিডিএ কর্তৃক অনুমোদিত। এসব ভবন নির্মাণের সময় কোনও পাহাড় বা টিলা কাটা হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বদরুল আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনতোষ বড়ুয়া, আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা জেলা প্রশাসক তার বক্তব্য প্রত্যাহার নাকরলে মামলার হুশিয়ারীঃ আইনজীবী সমিতির/

আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ) বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা।রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন

আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন বলেন, আমরা বৈধভাবেই এখানে অবস্থান করছি। দলিলমূলে এখানে আছি। ডিসি (জেলা প্রশাসক) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলা আইনজীবী সমিতির নামে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন, তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে জিয়া উদ্দিন বলেন, ডিসির বক্তব্যের সঙ্গে দেশের বাস্তবতার মিল আছে কি-না তা আমার জানা নেই। ডিসি সাহেব যে কাজ করছেন তা নীতিবহির্ভূত। তিনি আইনজীবী সমিতির মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। আইনজীবী সমিতির ভবনসমূহ যথাযথভাবে অনুমোদিত নয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছে। পরীর পাহাড় এলাকায় সিডিএ কোনও ভবনের অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে যেন জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেওয়া হয় বলেও মন্তব্য করেছেন ডিসি। যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত।
‘শত বছরের ঐতিহ্যে লালিত চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মান, মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনের এহেন ঘৃণিত প্রয়াস দুঃখজনক। এছাড়া পানি সংযোগ, গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন বিভিন্ন দফতরে পত্র প্রেরণ করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন যাতে নির্মাণ হতে না পারে, সেজন্যই জেলা প্রশাসন থেকে এমন ন্যাক্কারজনক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির স্থাপনাসমূহকে উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গত ২ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। অথচ কোর্ট বিল্ডিং এর চারপাশে সমিতির কোনও অবৈধ স্থাপনা নাই। কোনও ছাত্রাবাসও নাই। দোকানপাট, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, বস্তি ইত্যাদি স্থাপনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক লিজ প্রদানকৃত জায়গায় ও কিছু অংশ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক ভাড়ায় লাগানো হয়েছে। যা থেকে তারা মাসিক ও দৈনিক ভাড়া উত্তোলন করে থাকেন। এসব স্থাপনায় অনৈতিক কাজ, মাদক ব্যবসা ইত্যাদি হয়ে আসছে, যা বন্ধে জেলা প্রশাসন থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এই সুযোগে ২০০৫ সালে কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়েছিল তাহা কিন্তু সকলেরই অজানা নয়।

বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা আইনজীবী নেতারা কখনোই অপসারণ করেনি, দাবি করে তিনি বলেন, আইনজীবী ভবন সংলগ্ন রাস্তার বৈদ্যুতিক পোল, ব্রিজ ইত্যাদিতে এখনও প্রশাসনের সিসিটিভি ক্যামেরা বিদ্যমান রয়েছে। আদালত এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সমিতির প্রত্যেকটি ভবনের সম্মুখে নিজস্ব ব্যয়ে ২০১৫ সাল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আইনজীবী সমিতি নিজস্ব অর্থায়নে বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সংযোগ নিয়ে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ১২৮ বৎসরের একটি পেশাজীবী সংগঠন। সমিতির ভবনসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুদানে এবং সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত। এছাড়া ভবনগুলো সিডিএ কর্তৃক অনুমোদিত। এসব ভবন নির্মাণের সময় কোনও পাহাড় বা টিলা কাটা হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বদরুল আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনতোষ বড়ুয়া, আব্দুর রশিদ প্রমুখ।