ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

আসিফের বিরুদ্ধে ন্যান্সির মামলায় সত্যতা পেয়েছে পুলিশ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৪:৪২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০২১
  • / ২৮৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে ২০১১ সালে জিতে নেন প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। সম্প্রতি তিনি ভিন্নভাবে আলোচনায় এসছেন। জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় গত ৩১ ডিসেম্বর আদালতের সমন পেয়েছেন আসিফ। পুলিশ বলছে, প্রথমিকভাবে নান্সির করা মামলার সত্যতা মিলেছে।

কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের ১০ জুলাই ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানায় আসিফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আনেন ন্যান্সি।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার গাওয়া কিছু গানের অনুমতিবিহীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বত্ব বিক্রির বিষয়ে আমি আপত্তি জানালে আমার প্রতি জেদ পোষন করে আসিফ আকবর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে আসছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, গত দুই বছর আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে ৬১৭ টি গান প্রকৃত শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গানের সত্ত্বা বিক্রি করার অপরাধসহ জালিয়াতির সচিত্র প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। যার মধ্যে আমার ১২ টি গান অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর আমি আমার ১২ টি গানের সত্ত্বা দাবি করলে তার রোষানলে পড়ি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে আমাকে মিথ্যুক, মানসিক ভারসাম্যহীনসহ কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, যা আমার জন্য মানহানিকর। সেজন্যই আমি আইনের দারস্থ হয়েছি।

এছাড়া মামলার বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আসিফ আকবর ফেসবুকে লেখেন, বছরের শেষ দিনে আদালতের সমন পেলাম। একজন স্বনামধন্য গায়িকা মামলা করেছেন। এখনো মামলার কপি উত্তোলন করিনি, তাই সঠিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারছি না। এতটুকু জানি, ময়মনসিংহ গিয়ে মামলা ফেস করতে হবে। হাতে কিছু সময় আছে। এদিকে কপিরাইট অফিসের জাদুতে মুগ্ধ আমি। তাদের ভুলভাল দিকনির্দেশনা এখন গলার ফাঁস হয়ে গেছে। ওখানেও অযাচিত ঝামেলায় জড়াতে হচ্ছে। এসব ঝামেলা কখনো আমি চাইনি, চাইও না। আপাতত ভুক্তভোগী, তবে জয় নিশ্চিত ইনশা আল্লাহ।

যতই লুকিয়ে বেড়াই, ততই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে অযাচিত ঝামেলাগুলো। আমার বিরুদ্ধে কোনো রকম অপরাধ প্রমাণ করার কিছু আছে, তা আপাতদৃষ্টিতে দেখি না। কোর্টকাচারি লম্বাচওড়া প্রক্রিয়া। রসদ আছে প্রচুর, মামলা আমিও করতে পারি, কারও বিরুদ্ধে এসব প্ল্যান নিয়ে ভাবার সময়ও নেই। সেক্ষেত্রে আরেক পক্ষের দাবড়ানি সহ্য করাটাই শ্রেয় মনে করেছি। আমি মামলা দিলে মানুষ বলবে, এগুলো আসিফের সঙ্গে যায় না। অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি সহজাত অভ্যাসের বাইরে গিয়ে। এখন আমার অনেক ধৈর্য, তবে এটা দুর্বলতা নয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আসিফের বিরুদ্ধে ন্যান্সির মামলায় সত্যতা পেয়েছে পুলিশ

আপডেট টাইম : ০৮:১৪:৪২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে ২০১১ সালে জিতে নেন প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। সম্প্রতি তিনি ভিন্নভাবে আলোচনায় এসছেন। জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় গত ৩১ ডিসেম্বর আদালতের সমন পেয়েছেন আসিফ। পুলিশ বলছে, প্রথমিকভাবে নান্সির করা মামলার সত্যতা মিলেছে।

কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের ১০ জুলাই ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানায় আসিফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আনেন ন্যান্সি।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার গাওয়া কিছু গানের অনুমতিবিহীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বত্ব বিক্রির বিষয়ে আমি আপত্তি জানালে আমার প্রতি জেদ পোষন করে আসিফ আকবর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে আসছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, গত দুই বছর আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে ৬১৭ টি গান প্রকৃত শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গানের সত্ত্বা বিক্রি করার অপরাধসহ জালিয়াতির সচিত্র প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। যার মধ্যে আমার ১২ টি গান অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর আমি আমার ১২ টি গানের সত্ত্বা দাবি করলে তার রোষানলে পড়ি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে আমাকে মিথ্যুক, মানসিক ভারসাম্যহীনসহ কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, যা আমার জন্য মানহানিকর। সেজন্যই আমি আইনের দারস্থ হয়েছি।

এছাড়া মামলার বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আসিফ আকবর ফেসবুকে লেখেন, বছরের শেষ দিনে আদালতের সমন পেলাম। একজন স্বনামধন্য গায়িকা মামলা করেছেন। এখনো মামলার কপি উত্তোলন করিনি, তাই সঠিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারছি না। এতটুকু জানি, ময়মনসিংহ গিয়ে মামলা ফেস করতে হবে। হাতে কিছু সময় আছে। এদিকে কপিরাইট অফিসের জাদুতে মুগ্ধ আমি। তাদের ভুলভাল দিকনির্দেশনা এখন গলার ফাঁস হয়ে গেছে। ওখানেও অযাচিত ঝামেলায় জড়াতে হচ্ছে। এসব ঝামেলা কখনো আমি চাইনি, চাইও না। আপাতত ভুক্তভোগী, তবে জয় নিশ্চিত ইনশা আল্লাহ।

যতই লুকিয়ে বেড়াই, ততই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে অযাচিত ঝামেলাগুলো। আমার বিরুদ্ধে কোনো রকম অপরাধ প্রমাণ করার কিছু আছে, তা আপাতদৃষ্টিতে দেখি না। কোর্টকাচারি লম্বাচওড়া প্রক্রিয়া। রসদ আছে প্রচুর, মামলা আমিও করতে পারি, কারও বিরুদ্ধে এসব প্ল্যান নিয়ে ভাবার সময়ও নেই। সেক্ষেত্রে আরেক পক্ষের দাবড়ানি সহ্য করাটাই শ্রেয় মনে করেছি। আমি মামলা দিলে মানুষ বলবে, এগুলো আসিফের সঙ্গে যায় না। অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি সহজাত অভ্যাসের বাইরে গিয়ে। এখন আমার অনেক ধৈর্য, তবে এটা দুর্বলতা নয়।