ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

মুক্তিপণ নিয়ে মোটরসাইকেল কিনবে তারা, হত্যা করল শিশুকে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নজরে আসতে প্রথমেই নিজেদের মোটরসাইকেল থাকা প্রয়োজন। এমন ভাবনা থেকে টাকার সন্ধানে নামে হৃদয় হোসেন (২০), সাদ্দাম হোসেন (১৯) ও নাজমুল হোসেন (১৬) নামের তিন তরুণ। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। পরিবারের অবস্থাও তেমন ভালো না। শেষ পর্যন্ত এ তিন তরুণ সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিপণের মাধ্যমে টাকা আদায় করার। আর ওই টাকা দিয়েই রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টিতে আসতে মোটরসাইকেল কেনার ছক কষে তারা।

যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। মুক্তিপণের জন্য তিন তরুণ টার্গেটে রাখা ব্যক্তিদের খুঁজতে থাকে। সেইসঙ্গে তারা তিনজনই সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিপণ পেতে অপহরণ করা ব্যক্তিকে তুলে নেয়ার পর প্রথমে হত্যা করবে এবং হত্যার শিকার ব্যক্তির পরনের পোশাক চিহ্ন হিসেবে রেখে মুক্তিপণ আদায় করবে।

এমন রোমহর্ষক সিদ্ধান্তের এক পর্যায়ে এলাকার দুজনকে টার্গেট করে তারা। কিন্তু টার্গেটে থাকা ব্যক্তিরা বয়সে একটু বড় হওয়ায় অপেক্ষাকৃত বয়সে ছোট শিশু আল-আমিনের (০৭) সন্ধান পেয়ে যায় তারা। সুযোগ বুঝে শিশু আল-আমিনকে কৌশলে তুলেও নিয়ে যায়। এরপর পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আল আমিন অপহরণের পর দ্রুতই হত্যা করে তারা। হত্যার পর পরিকল্পনা মাফিক শিশুটির পরনের পোশাক চিহ্ন হিসেবে রেখে দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। তারাও রক্ষা পায়নি। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) জালে ধরা পড়েছে দুই তরুণ।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ পিবিআইয়ের হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মানিকগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর আলম।তিনি বলেন, গত ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে শিশু আল-আমিন বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার ওপর বাইসাইকেল চালানোর জন্য বের হয়। এরপর ঘণ্টা পার হলেও বাড়ি না ফেরায় তার মা খোঁজাখুজি শুরু করেন। বাড়ির আশপাশে ও সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া শেষে ছেলেকে না পেয়ে পর দিন আল-আমিনের বাবা শহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায় গিয়ে ছেলের নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুক্তিপণ নিয়ে মোটরসাইকেল কিনবে তারা, হত্যা করল শিশুকে

আপডেট টাইম : ১০:২০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নজরে আসতে প্রথমেই নিজেদের মোটরসাইকেল থাকা প্রয়োজন। এমন ভাবনা থেকে টাকার সন্ধানে নামে হৃদয় হোসেন (২০), সাদ্দাম হোসেন (১৯) ও নাজমুল হোসেন (১৬) নামের তিন তরুণ। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। পরিবারের অবস্থাও তেমন ভালো না। শেষ পর্যন্ত এ তিন তরুণ সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিপণের মাধ্যমে টাকা আদায় করার। আর ওই টাকা দিয়েই রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টিতে আসতে মোটরসাইকেল কেনার ছক কষে তারা।

যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। মুক্তিপণের জন্য তিন তরুণ টার্গেটে রাখা ব্যক্তিদের খুঁজতে থাকে। সেইসঙ্গে তারা তিনজনই সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিপণ পেতে অপহরণ করা ব্যক্তিকে তুলে নেয়ার পর প্রথমে হত্যা করবে এবং হত্যার শিকার ব্যক্তির পরনের পোশাক চিহ্ন হিসেবে রেখে মুক্তিপণ আদায় করবে।

এমন রোমহর্ষক সিদ্ধান্তের এক পর্যায়ে এলাকার দুজনকে টার্গেট করে তারা। কিন্তু টার্গেটে থাকা ব্যক্তিরা বয়সে একটু বড় হওয়ায় অপেক্ষাকৃত বয়সে ছোট শিশু আল-আমিনের (০৭) সন্ধান পেয়ে যায় তারা। সুযোগ বুঝে শিশু আল-আমিনকে কৌশলে তুলেও নিয়ে যায়। এরপর পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আল আমিন অপহরণের পর দ্রুতই হত্যা করে তারা। হত্যার পর পরিকল্পনা মাফিক শিশুটির পরনের পোশাক চিহ্ন হিসেবে রেখে দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। তারাও রক্ষা পায়নি। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) জালে ধরা পড়েছে দুই তরুণ।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ পিবিআইয়ের হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মানিকগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর আলম।তিনি বলেন, গত ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে শিশু আল-আমিন বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার ওপর বাইসাইকেল চালানোর জন্য বের হয়। এরপর ঘণ্টা পার হলেও বাড়ি না ফেরায় তার মা খোঁজাখুজি শুরু করেন। বাড়ির আশপাশে ও সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া শেষে ছেলেকে না পেয়ে পর দিন আল-আমিনের বাবা শহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায় গিয়ে ছেলের নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি করেন।