ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

টিকার এসএমএস দ্রুত পাওয়ানোর কথা বলে টাকা নিত তারা

  • আপডেট টাইম : ০২:১৪:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২০৭ ৫০০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বিদেশগামী ব্যক্তিদের দ্রুত করোনার টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি প্রতারক চক্র।  তারা দ্রুত এসএসএস পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এই প্রতারণা করে আসছিল।  এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব বলেছে, গ্রেফতার ব্যক্তিরা দুই শতাধিক বিদেশগামী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছে।  গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন- নুরুল হক, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও দুলাল মিয়া।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, কয়েকজন প্রতারক বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে বিদেশগামী প্রার্থীদের মুঠোফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে দ্রুত টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।  গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।  এরপর ওই প্রতারকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে।

বুধবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-৩–এর একটি দল মুগদায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা নুরুল হক এবং তার তিন সহযোগী সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।

রাজধানীর মুগদা, রমনা ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় এসব প্রতারক চক্র তৎপর রয়েছে।  র‌্যাব পরিচালক মঈন বলেন, নুরুল দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন।  ২০১৮ সালে ভিসা জটিলতায় তিনি বিদেশে যেতে পারেননি।  ১৯৯৮ সালে লিবিয়ায় যান তিনি।  প্রতারক চক্রের সদস্য সাইফুল আগে সরকারি কাজ করতেন। অনৈতিক কাজের কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সরকারি চাকরি চলে যায়।  ইমরান একটি ট্রাভেল এজেন্সি ও দুলাল একটি সরকারি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টিকার এসএমএস দ্রুত পাওয়ানোর কথা বলে টাকা নিত তারা

আপডেট টাইম : ০২:১৪:০৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বিদেশগামী ব্যক্তিদের দ্রুত করোনার টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি প্রতারক চক্র।  তারা দ্রুত এসএসএস পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এই প্রতারণা করে আসছিল।  এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব বলেছে, গ্রেফতার ব্যক্তিরা দুই শতাধিক বিদেশগামী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছে।  গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন- নুরুল হক, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও দুলাল মিয়া।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, কয়েকজন প্রতারক বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে বিদেশগামী প্রার্থীদের মুঠোফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে দ্রুত টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।  গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।  এরপর ওই প্রতারকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে।

বুধবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-৩–এর একটি দল মুগদায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা নুরুল হক এবং তার তিন সহযোগী সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।

রাজধানীর মুগদা, রমনা ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় এসব প্রতারক চক্র তৎপর রয়েছে।  র‌্যাব পরিচালক মঈন বলেন, নুরুল দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন।  ২০১৮ সালে ভিসা জটিলতায় তিনি বিদেশে যেতে পারেননি।  ১৯৯৮ সালে লিবিয়ায় যান তিনি।  প্রতারক চক্রের সদস্য সাইফুল আগে সরকারি কাজ করতেন। অনৈতিক কাজের কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সরকারি চাকরি চলে যায়।  ইমরান একটি ট্রাভেল এজেন্সি ও দুলাল একটি সরকারি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত।