ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পাকিস্তানের আকাশ সীমায় নারীর হামলায় ভারত অধ্যাদেশ বাতিল চায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ৩ দিনের কলম বিরতি লক্ষ্মীপুর আল মুঈন মাদ্রসা থেকে ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার

মাদারীপুরের শিবচরে পানিবন্দি ১২ শত পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৯২ ১৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর।।

শিবচরের চরাঞ্চলে পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এই উপজেলার চরাঞ্চল প্রতিবছর বন্যায় পানিতে তলিয়ে যায়। গত দুই দিন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে পানি, এদিকে শিবচর পদ্মা ও আরিয়াল খাঁ নদের চরাঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় ১২শ পরিবার।

এর মধ্যে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঠালবাড়ী, মাদবরেরচর, বন্দরখোলা এবং সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকলবাড়ি, চরনাছিরপুর পদ্মার চরে অবস্থিত। যা বর্তমানে পদ্মার পানিতে প্লাবিত হয়ে পরেছে। এবং আরিয়াল খাঁ নদের পানিতে প্লাবিত হয়েছে শিবচরের দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী, বহেরাতলা ইউনিয়নের চরাঞ্চল।

সরেজমিনে উপজেলার কাঠালবাড়ি, চরজানাজাত, বন্দরখোলা ও মাদবরেরচর ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমের বন্যায় বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। গত বছরের তুলনায় পানি কম হওয়াতে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে বা উঁচু এলাকাতে যায়নি কোনও পরিবার।

মাদবরচর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বাড়িতে হাঁটু পানি নৌকা নিয়ে চলাচল করতেছি, পানি আরও বাড়লে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো। সাপের জন্য ভয় লাগে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। বিষাক্ত সাপের উপদ্রবও রয়েছে।

বন্দরখোলার একজন সমাজ সেবক হাজী আ. রহমান খাঁন বলেন, চিফ হুইপের নির্দেশে গত বন্যায় আমরা প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে তিন বেলা রান্না করে খাবার পৌঁছে দিয়েছি, এ বছরও প্রস্তুত আছি, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আমরা সকল পরিবারকে খাবার সহায়তা দিবো দৈনিক তিনবেলা।

শিবচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিকট তালিকা চেয়েছি, এখনো কোনও ইউনিয়ন থেকে তালিকা দেয়নি, তালিকা জমা দিলেই ত্রাণ সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরের শিবচরে পানিবন্দি ১২ শত পরিবার

আপডেট টাইম : ০৫:২৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি, মাদারীপুর।।

শিবচরের চরাঞ্চলে পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এই উপজেলার চরাঞ্চল প্রতিবছর বন্যায় পানিতে তলিয়ে যায়। গত দুই দিন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে পানি, এদিকে শিবচর পদ্মা ও আরিয়াল খাঁ নদের চরাঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় ১২শ পরিবার।

এর মধ্যে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঠালবাড়ী, মাদবরেরচর, বন্দরখোলা এবং সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকলবাড়ি, চরনাছিরপুর পদ্মার চরে অবস্থিত। যা বর্তমানে পদ্মার পানিতে প্লাবিত হয়ে পরেছে। এবং আরিয়াল খাঁ নদের পানিতে প্লাবিত হয়েছে শিবচরের দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী, বহেরাতলা ইউনিয়নের চরাঞ্চল।

সরেজমিনে উপজেলার কাঠালবাড়ি, চরজানাজাত, বন্দরখোলা ও মাদবরেরচর ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমের বন্যায় বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। গত বছরের তুলনায় পানি কম হওয়াতে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে বা উঁচু এলাকাতে যায়নি কোনও পরিবার।

মাদবরচর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বাড়িতে হাঁটু পানি নৌকা নিয়ে চলাচল করতেছি, পানি আরও বাড়লে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো। সাপের জন্য ভয় লাগে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। বিষাক্ত সাপের উপদ্রবও রয়েছে।

বন্দরখোলার একজন সমাজ সেবক হাজী আ. রহমান খাঁন বলেন, চিফ হুইপের নির্দেশে গত বন্যায় আমরা প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে তিন বেলা রান্না করে খাবার পৌঁছে দিয়েছি, এ বছরও প্রস্তুত আছি, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আমরা সকল পরিবারকে খাবার সহায়তা দিবো দৈনিক তিনবেলা।

শিবচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিকট তালিকা চেয়েছি, এখনো কোনও ইউনিয়ন থেকে তালিকা দেয়নি, তালিকা জমা দিলেই ত্রাণ সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।