অনলাইনেও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন বিস্তৃত করতে হবে
- আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
- / ৩৭৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
অনলাইন ডেস্ক ॥ সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন রাজপথ থেকে অনলাইনেও বিস্তৃত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ।তিনি বলেন, অললাইনে অপশক্তির অশুভ তৎপরতা মোকাবিলা করতে না পারলে দেশ ও জাতির জন্য তা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
রবিবার (২৯ আগস্ট) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তালেবান পুনরুত্থান: তরুণ সমাজের করণীয়’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অনলাইন এক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল, মারুফ রসুল, রিনা পারভিন, রুবি হক, সাংবাদিক সাব্বির খান ও তাপস পাল এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী জোটের নেতা মাওলানা মাওলানা হাসান বক্তব্য দেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই বাংলাদেশ কোনো অবস্থাতেই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা জামাত শিবিরের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে না। প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিসহ জনগণকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপশক্তির নানা অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই দীর্ঘকালের। বিভিন্ন স্তরে বিভিন্নভাবে আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ বা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে।
অপশক্তি সোশ্যাল মিডিয়াকে এখন তাদের অপতৎপরতার বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক বছর আগেও কয়েক লাখ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতো। বাংলাদেশে কেবল চার কোটি আশি লাখ মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মকে প্রভাবিত করা খুবই সহজ। গত তিন বছর আগেও অনলাইন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো প্রযুক্তি আমাদের ছিল না। ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর প্রযুক্তি সরকারের হাতে রয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রযুক্তি এখনো আসেনি। কিন্তু অতীতের তুলনায় ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্কোন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তা কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জঙ্গি-সন্ত্রাসী অপতৎপরতা রুখতে এবং প্রগতিশীল শক্তিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও তৎপর ভূমিকা নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।