ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

কালকিনিতে বাঁশের তৈরী পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন খালেক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ আগস্ট ২০২১
  • / ২৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার মাদারীপুর ॥

বর্ষা মৌসুম চলছে, তাই গ্রামের লোকজন মাছ ধরার অন্যতম সামগ্রী বাঁশের তৈরী চালন ও চাইসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন । অনেকে বর্ষা শুরুহবার আগেই এসব প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য বিভিন্ন হাট-বাজারে ছুটে যান। তাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন বাঁশের তৈরী সামগ্রী বানানোর কারিগররা। হাটে গেলে বাশের তৈরী এসব পণ্য ক্রয়- বিক্রয় এখন চোখে পড়ার মতো। এমনই একজন কারিগর মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার চরবিভাগদী গ্রামের আব্দুল খালেক সরদার। তার বয়স এখন ৪৮ বছর। জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি আর আগের মতো কঠিন কাজ করতে পারেন না। তার সংসারে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা- মা স্ত্রী ও চার মেয়েসহ ৭জন সদস্য। আর সংসারের সমস্ত খরচ চালানোর দায়িত্ব তার উপরেই। তবে তিনি দমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনি বিভিন্নহাটে গিয়ে ও নিজ ঘরের বারান্দায় বসে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মাছ ধরার চালন, চাই, মাটি কাটার ওড়া ও মুরগীর খাঁচা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বছরের ১২ মাসই এ কাজে ব্যস্ত থাকেন। তবে বর্ষা আসলে চালন ও চাইসহ মাছ ধরার সামগ্রীর চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটা বেড়ে যায়। তাই তিনি এ মৌসুমে এসব তৈরী জিনিসপত্র পাইকারী-খুচরা ও বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে- ঘুরে বিক্রি করে থাকেন। বাঁশই তার কাছে জীবিকা নির্বাহের অন্যতম হাতিয়ার। এ সমস্ত তৈরী করা জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি করে যা আয় করেন তা দিয়ে চলে তার পুরো সংসার। এব্যাপারে আব্দুল খালেক সরদার বলেন, আমি ভারি কাজ করতে পারিনা। তাই আমি এখন বাঁশ দিয়ে চালন, চাই ওড়া ও খাচা তৈরী করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করি। আর এ উপার্জনের টাকায় এখন আমার সংসার চলে। পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছি আমরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালকিনিতে বাঁশের তৈরী পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন খালেক

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ আগস্ট ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার মাদারীপুর ॥

বর্ষা মৌসুম চলছে, তাই গ্রামের লোকজন মাছ ধরার অন্যতম সামগ্রী বাঁশের তৈরী চালন ও চাইসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন । অনেকে বর্ষা শুরুহবার আগেই এসব প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য বিভিন্ন হাট-বাজারে ছুটে যান। তাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন বাঁশের তৈরী সামগ্রী বানানোর কারিগররা। হাটে গেলে বাশের তৈরী এসব পণ্য ক্রয়- বিক্রয় এখন চোখে পড়ার মতো। এমনই একজন কারিগর মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার চরবিভাগদী গ্রামের আব্দুল খালেক সরদার। তার বয়স এখন ৪৮ বছর। জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি আর আগের মতো কঠিন কাজ করতে পারেন না। তার সংসারে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা- মা স্ত্রী ও চার মেয়েসহ ৭জন সদস্য। আর সংসারের সমস্ত খরচ চালানোর দায়িত্ব তার উপরেই। তবে তিনি দমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনি বিভিন্নহাটে গিয়ে ও নিজ ঘরের বারান্দায় বসে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মাছ ধরার চালন, চাই, মাটি কাটার ওড়া ও মুরগীর খাঁচা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বছরের ১২ মাসই এ কাজে ব্যস্ত থাকেন। তবে বর্ষা আসলে চালন ও চাইসহ মাছ ধরার সামগ্রীর চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটা বেড়ে যায়। তাই তিনি এ মৌসুমে এসব তৈরী জিনিসপত্র পাইকারী-খুচরা ও বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে- ঘুরে বিক্রি করে থাকেন। বাঁশই তার কাছে জীবিকা নির্বাহের অন্যতম হাতিয়ার। এ সমস্ত তৈরী করা জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি করে যা আয় করেন তা দিয়ে চলে তার পুরো সংসার। এব্যাপারে আব্দুল খালেক সরদার বলেন, আমি ভারি কাজ করতে পারিনা। তাই আমি এখন বাঁশ দিয়ে চালন, চাই ওড়া ও খাচা তৈরী করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করি। আর এ উপার্জনের টাকায় এখন আমার সংসার চলে। পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছি আমরা।