ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে আমরা প্রস্তুত আছি: হাসনাত আবদুল্লাহ সন্ধ্যায় শপথ উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে পীরগঞ্জে আগাম শীত- স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশু সহ বয়োবৃদ্ধরা ২৪ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকরা, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ বৈষমহীন দেশ গঠনে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কালীতলায় ইউপি সদস্য মফিজুল হকের জবরদখল করা একটি আস্তানায় গোপন ক্যমেরায় বখাটেদের মাদক সেবন করার সত্যতা উঠে আসে মধ্যপ্রাচ্য বৈরুতের লেবানিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক আওয়ামী লীগের

কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫০:২৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১
  • / ২৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

অনলাইন রিপোর্টার ॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই সারাদেশের কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক কিছু বলতে পারবেন বলে আশাবাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কওমি মাদরাসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টায় আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের মুহতারাম চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় তারা সরকারের নিকট কওমি মাদরাসাসমূহ খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অতি দ্রুত হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কওমি মাদরাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মাহমুদুল হাসান জানান, কওমি মাদরাসাগুলোতে কুরআন-হাদীস ভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হয়। কুরআন তেলাওয়াত, যিকির, দুআ, তাহাজ্জুদ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে মহামারি ও বালা-মসিবত হতে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে জাতি করোনাসহ সব রকম বালা-মসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।

তিনি জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অহেতুক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও জানান, অনেক আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান জেলখানায় বন্দি আছে। তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার এবং যারা আত্মগোপনে আছেন বা হয়রানির শিকার তাদের হয়রানি বন্ধেরও জোর দাবি জানান তিনি।

প্রতিনিধি দলের আল-হাইআতুল উলইয়া ও বেফাকের বাকী সদস্যরা হলেন- মাওলানা নূরুল ইসলাম, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি নূরুল আমীন, মুফতি মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

আপডেট টাইম : ০৪:৫০:২৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১

অনলাইন রিপোর্টার ॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই সারাদেশের কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক কিছু বলতে পারবেন বলে আশাবাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কওমি মাদরাসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টায় আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের মুহতারাম চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় তারা সরকারের নিকট কওমি মাদরাসাসমূহ খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অতি দ্রুত হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কওমি মাদরাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মাহমুদুল হাসান জানান, কওমি মাদরাসাগুলোতে কুরআন-হাদীস ভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হয়। কুরআন তেলাওয়াত, যিকির, দুআ, তাহাজ্জুদ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে মহামারি ও বালা-মসিবত হতে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে জাতি করোনাসহ সব রকম বালা-মসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।

তিনি জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অহেতুক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও জানান, অনেক আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান জেলখানায় বন্দি আছে। তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার এবং যারা আত্মগোপনে আছেন বা হয়রানির শিকার তাদের হয়রানি বন্ধেরও জোর দাবি জানান তিনি।

প্রতিনিধি দলের আল-হাইআতুল উলইয়া ও বেফাকের বাকী সদস্যরা হলেন- মাওলানা নূরুল ইসলাম, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি নূরুল আমীন, মুফতি মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।