ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে তলব হাইকোর্ট ।।আলোচিত মিনুর কারাভোগ ও মৃত্যু

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৭৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

অনলাইন ডেস্ক ॥ বহুল আলোচিত চট্টগ্রামের সেই মিনু বেগমের কারাভোগ ও পরবর্তীতে কারামুক্তির পর সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু বেগম কারাভোগ করেন।

আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর তাদের ওই দুই মামলার নথিসহ(সিডি) তাদের হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পহেলা সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে নিরীহ মিনুর কারাগারে বন্দী থাকাকে কেন্দ্র করে সৃস্ট মামলায় এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অপরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন।

এদিকে মিনুর সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গত ২৮ জুন হাইকোর্ট দেশের সকল কারাগারে প্রকৃত আসামি সনাক্তে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব(লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ) ও কারা মহাপরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পন করেন মিনু। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় ৩ বছর পর বিষয়টি গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে ২২ মার্চ কারাগার থেকে মিনুকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। মিনু হাজির হয়ে আদালতকে পুরো ঘটনা আদালতকে জানান।

এরপর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য একটি নথি গত ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এ অবস্থায় গত ৩১ মার্চ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এ আবেদনে গত ৭ জুন মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পান মিনু। কিন্তু এর কয়েকদিন পর এক সড়ক দূর্ঘটনায় মিনু মারা যান। এ ঘটনায় ২৯ জুন একটি অপমৃত্যু মামলা হয় চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায়। এই মামলা তদন্ত করছেন এসআই খোরশেদ আলম।

ওদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামি কুলসুমী আক্তার, তার সহযোগী মর্জিনা আক্তার ও কাওয়ালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নিজের পরিবর্তে মিনুকে কারাগারে পাঠানো, আদালতের সঙ্গে প্রতারনার অভিযোগে কুলসুমীসহ অপরাপর আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ পৃথক একটি মামলা করে। এই মামলা তদন্ত করছেন এসআই মো. জুবায়ের মৃধা।

এ অবস্থায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মামলা সংশ্লিস্ট চট্টগ্রামের তিন আইনজীবী ও একজন সহকারিকে ওইদিন আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে তলব হাইকোর্ট ।।আলোচিত মিনুর কারাভোগ ও মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

অনলাইন ডেস্ক ॥ বহুল আলোচিত চট্টগ্রামের সেই মিনু বেগমের কারাভোগ ও পরবর্তীতে কারামুক্তির পর সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু বেগম কারাভোগ করেন।

আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর তাদের ওই দুই মামলার নথিসহ(সিডি) তাদের হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পহেলা সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে নিরীহ মিনুর কারাগারে বন্দী থাকাকে কেন্দ্র করে সৃস্ট মামলায় এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অপরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন।

এদিকে মিনুর সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গত ২৮ জুন হাইকোর্ট দেশের সকল কারাগারে প্রকৃত আসামি সনাক্তে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব(লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ) ও কারা মহাপরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পন করেন মিনু। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় ৩ বছর পর বিষয়টি গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে ২২ মার্চ কারাগার থেকে মিনুকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। মিনু হাজির হয়ে আদালতকে পুরো ঘটনা আদালতকে জানান।

এরপর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য একটি নথি গত ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এ অবস্থায় গত ৩১ মার্চ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এ আবেদনে গত ৭ জুন মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পান মিনু। কিন্তু এর কয়েকদিন পর এক সড়ক দূর্ঘটনায় মিনু মারা যান। এ ঘটনায় ২৯ জুন একটি অপমৃত্যু মামলা হয় চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায়। এই মামলা তদন্ত করছেন এসআই খোরশেদ আলম।

ওদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামি কুলসুমী আক্তার, তার সহযোগী মর্জিনা আক্তার ও কাওয়ালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নিজের পরিবর্তে মিনুকে কারাগারে পাঠানো, আদালতের সঙ্গে প্রতারনার অভিযোগে কুলসুমীসহ অপরাপর আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ পৃথক একটি মামলা করে। এই মামলা তদন্ত করছেন এসআই মো. জুবায়ের মৃধা।

এ অবস্থায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মামলা সংশ্লিস্ট চট্টগ্রামের তিন আইনজীবী ও একজন সহকারিকে ওইদিন আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।