ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

জিয়া খুনী ও বিশ্বাসঘাতক ॥ তথ্যমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৫৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন খুনী ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এই খুনীর দলের রাজনীতি যারা করেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করেন। শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিএনপি নেতাদের খুনী এবং বিশ্বাসঘাতকের রাজনীতি ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির সামনে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি, বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করতে হয়, ইতিহাস ও রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হয়, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে যারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে খাটো করে দেখে এবং বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়, তাদের রাজনীতিও এদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, যিনি ঘুমন্ত জাতিকে সশস্ত্র বাঙালী জাতিতে রূপান্তরিত করে বাঙালীদের জন্য প্রথমবারের মতো ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্ম দিয়েছেন সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করা হয়, এমনটি পৃথিবীর কোন দেশে নাই। ভারতে মহাত্মা গান্ধী এবং যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে খাটো করে কেউ কি রাজনীতি করতে পারবে, পারবে না। কিন্তু আমাদের দেশে পারে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে অনেক বেশি পশ্চাৎপদ দেশ ছিল। আশির দশকের শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ছাত্ররা বাংলাদেশে পড়তে আসত। তখন সিঙ্গাপুর জেলেপল্লী থেকে ধীরে ধীরে উন্নত হবার চেষ্টা করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হতো, তাহলে স্বাধীনতার ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দুর্নীতি আর দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতির চাকাকে ঘূর্ণায়মাণ চাকায় রূপান্তরিত করে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন রাশেদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, উত্তরজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জিয়া খুনী ও বিশ্বাসঘাতক ॥ তথ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:২২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন খুনী ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এই খুনীর দলের রাজনীতি যারা করেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করেন। শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিএনপি নেতাদের খুনী এবং বিশ্বাসঘাতকের রাজনীতি ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির সামনে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি, বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করতে হয়, ইতিহাস ও রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হয়, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে যারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে খাটো করে দেখে এবং বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়, তাদের রাজনীতিও এদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, যিনি ঘুমন্ত জাতিকে সশস্ত্র বাঙালী জাতিতে রূপান্তরিত করে বাঙালীদের জন্য প্রথমবারের মতো ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্ম দিয়েছেন সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করা হয়, এমনটি পৃথিবীর কোন দেশে নাই। ভারতে মহাত্মা গান্ধী এবং যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে খাটো করে কেউ কি রাজনীতি করতে পারবে, পারবে না। কিন্তু আমাদের দেশে পারে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে অনেক বেশি পশ্চাৎপদ দেশ ছিল। আশির দশকের শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ছাত্ররা বাংলাদেশে পড়তে আসত। তখন সিঙ্গাপুর জেলেপল্লী থেকে ধীরে ধীরে উন্নত হবার চেষ্টা করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হতো, তাহলে স্বাধীনতার ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দুর্নীতি আর দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতির চাকাকে ঘূর্ণায়মাণ চাকায় রূপান্তরিত করে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন রাশেদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, উত্তরজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ প্রমুখ।