ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহীতে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এএসআই প্রত্যাহার

রাজশাহী ব‍্যুরো।।

রাজশাহী মহানগরীর একটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব‍্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএস আই)শামীমের বিরুদ্ধে এক তরনীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার(০৯ আগস্ট)এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক তাঁকে প্রত্যাহার করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- অভিযুক্ত এএসআই’র নাম মো. শামীম। ভুক্তভোগী তরুণীর (১৮) বাড়ি নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি বিবাহিত। স্বামীর নির্যাতনের কারণে তিনি পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন। এরপর নগরীর বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শামীম তদন্ত করে আসেন। সেদিন তিনি ওই তরুণীকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে পাঠান। সে অনুযায়ী গত রোববার ওই তরুণী তাঁর মাকে নিয়ে ফাঁড়িতে যান।

এ সময় এএসআই শামীম ওই তরুণীর মাকে রুমের বাইরে যেতে বলেন। ওই তরুণী রুমে একা থাকলে এএসআই শামীম তাঁর শ্লীলতাহানি ঘটান। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বাবা বোয়ালিয়া থানায় এএসআই শামীমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু রাতেই আবার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী ওই তরুণীর পরিবার এবং এএসআই শামীমকে ডেকে মীমাংসা করে দেন। তবে এই মীমাংসা না মেনে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা আরএমপি কমিশনারের কাছে যান। এরপরই পুলিশ কমিশনার অভিযুক্তকে প্রত্যাহার করেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলন, থানায় অভিযোগ হওয়ার পর ঘটনাটি সম্পর্কে আমি উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নোট দিয়েছিলাম। ওই তরুণীর বাবাও কমিশনার স্যারের সাথে দেখা করেছিলেন। এরপর অভিযুক্ত এএসআইকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন এ অভিযোগের তদন্ত হবে। তারপর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এএসআই প্রত্যাহার

আপডেট টাইম : ০৬:৫৫:০৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ আগস্ট ২০২১

রাজশাহী ব‍্যুরো।।

রাজশাহী মহানগরীর একটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব‍্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএস আই)শামীমের বিরুদ্ধে এক তরনীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার(০৯ আগস্ট)এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক তাঁকে প্রত্যাহার করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- অভিযুক্ত এএসআই’র নাম মো. শামীম। ভুক্তভোগী তরুণীর (১৮) বাড়ি নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি বিবাহিত। স্বামীর নির্যাতনের কারণে তিনি পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন। এরপর নগরীর বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শামীম তদন্ত করে আসেন। সেদিন তিনি ওই তরুণীকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে পাঠান। সে অনুযায়ী গত রোববার ওই তরুণী তাঁর মাকে নিয়ে ফাঁড়িতে যান।

এ সময় এএসআই শামীম ওই তরুণীর মাকে রুমের বাইরে যেতে বলেন। ওই তরুণী রুমে একা থাকলে এএসআই শামীম তাঁর শ্লীলতাহানি ঘটান। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বাবা বোয়ালিয়া থানায় এএসআই শামীমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু রাতেই আবার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী ওই তরুণীর পরিবার এবং এএসআই শামীমকে ডেকে মীমাংসা করে দেন। তবে এই মীমাংসা না মেনে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা আরএমপি কমিশনারের কাছে যান। এরপরই পুলিশ কমিশনার অভিযুক্তকে প্রত্যাহার করেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলন, থানায় অভিযোগ হওয়ার পর ঘটনাটি সম্পর্কে আমি উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নোট দিয়েছিলাম। ওই তরুণীর বাবাও কমিশনার স্যারের সাথে দেখা করেছিলেন। এরপর অভিযুক্ত এএসআইকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন এ অভিযোগের তদন্ত হবে। তারপর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।