ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত স্কাউটিং করবো, সুন্দর দেশ গড়বো সরকারি সাইনবোর্ড এর আড়ালে চলছে মোটা অঙ্কের লেনদেন অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে সরকারি জমির পজিশন বিক্রি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের  আওয়ামীলীগ যত আগুন দিবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হবে – অধ্যাপক মুজিবুর রহমান মাদারীপুরে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেলো ৫ শতাধিক রোগী ফুলবাড়িতে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ মোটরসাইকেল জব্দ ও  জরিমানা টঙ্গীতে আলোচিত ফরিদ হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার

প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঋণ প্রদানের জন্য আবেদন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সমমনা শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:০১:০২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৭ আগস্ট ২০২১
  • / ২৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ)

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে কম সুদের ঋণ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রামের সমমনা শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। আজ ৭ আগস্ট শনিবার বিকাল ৫ টায় সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন সমিতির পরিচালক কনোজ কুমার শীল। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ সমবায় সমিতিগুলোকে মহামারি করোনার করাল থাবা হতে রক্ষার জন্য প্রধান মন্ত্রীর নিকট প্রণোদনার জন্য আবেদন করছি। এই মানবদরদী জননেত্রী আমাদের দিকে তাকালে অসংখ্য অসহায় পরিবার বেঁচে যাবে।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে কালেশন হচ্ছে না ঠিকই তাদেরকে লভ্যাংশসহ সঞ্চয় ফেরত দিতে হচ্ছে, এমতাবস্থায় প্রণোদনা থেকে ঋণ না পেলে আমরা সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হবো। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, আমাদের ক্ষুদ্র ঋণের সমিতি গুলোর আর্থিক অবস্থা সংকটাপূর্ণ। তাই শ্রমজীবি সমবায় সমিতির মত অসংখ্য ক্ষুদ্র ঋণ সমবায় সমিতির দূরাবস্থার বিষয়ে প্রণোদনা চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জাতির এ ক্লান্তি লগ্নে তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি একমাত্র আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলোকে এই অশনী সংকটাপূর্ণ অবস্থা হতে উদ্ধার করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।
তিনি আরো জানান, আমাদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। অমরা স্বাস্থ্য কর্তার নির্দেশ মানতে বাধ্য। এমতাবস্থায় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পারছি না গ্রাহক হতে আমাদের দৈনন্দিন কালেকশন যা আমরা ঋণদানের বিপরীতে করতাম তা করতে। কারণ গ্রাহক আমাদেরকে চলমান লকডাউনের কারণে কালেকশন দিতে অপরাগতা প্রকাশ করছে। অন্যদিকে সঞ্চয়ীতে যারা আছে তারা প্রত্যেকেই তাদের জমানো টাকার লভ্যাংশ সহ ফেরত চাইছেন। সৃষ্টি হয়েছে উভয় সংকট। কালেকশন উত্তোলন করতে না পারলেও প্রায় ১৫,০০০ টাকা অফিস ভাড়া ১৫ জন মাঠকর্মীর বেতন প্রায় ১,৫০,০০০ টাকার মত অফিসিয়াল অন্যন্য খরচ যেমন বিদ্যুৎ বিল ২০০০ টাকার মত সবমিলিয়ে মাসিক ১,৭০,০০০- ২,০০,০০০ টাকার মত মাসিক খরচ। এমন খরচ ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সমিতির পরিচালক কনোজ কুমার শীল জানান, ক্ষুদ্র ঋণের সাথে অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী এবং সাধারণ দরিদ্র শ্রেণির গ্রাহক জড়িত। আমাদের সমমনা শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর আওতাধীন প্রায় ৫০০ গ্রাহক রয়েছে। ২০১৬ সালে আমরা চারজন মিলে সমবায় অফিস সরকারী নিয়ম মেনে সমিতির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কার্য পরিচালনা শুরু করি। তীল তীল করে গড়া আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সহ এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের মুখে চলে গিয়েছে। এখান থেকে উত্তরণের জন্য সরকারী প্রণোদনার বিকল্প কোন পথ নেই। সমবায় অফিসে যােগাযােগ করা হলে তারা এসব সরকারী উচ্চ পর্যায়ের হতে কোন ধরনের নির্দেশনা পায়নি বলে সাফ জানিয়ে দেন। কাজেই অজস্র দরিদ্র মানুষের আশার প্রদীপ এবং অসংখ্য বেকার নারী পুরুষের কর্মস্থল রক্ষার জন্য আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহজ শর্তে প্রণোদনার জন্য জোড়ালো আবেদন করছি। নয়তো আমরা ক্ষুদ্র ঋণ। এর প্রতিষ্ঠান গুলো বিলুপ্ত হতে থাকবে। এখানে আরও উল্লেখ্য অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করার পর মহামারি করোনার করাল থাবায় নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। যাদের কাছে আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত ঋণ ফেরত পাওয়ার আর কোন সম্ভবনা ইেন। কাজেই আমরা এই চরম ক্রান্তি লগ্নের সময়কে প্রণোদনা ছাড়া কাটিয়ে উঠা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এই সব বিষয় বিবেচনা করে বাঙ্গালী জাতির কান্ডারী দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের মত ক্ষুদ্র উদ্যেক্তাদের অসহায়ত্বের দিকে তাকিয়ে প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে এই ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ পরিবার বেঁচে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ শফি, এস এম মোকতার হোসাইন লিটন, মো. তারেক সোলতান, বিধান শীল, দোলন শীল, ভূপেষ মজুমদার ও আবুল কালাম প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঋণ প্রদানের জন্য আবেদন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সমমনা শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড।

আপডেট টাইম : ০৩:০১:০২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৭ আগস্ট ২০২১

মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ)

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে কম সুদের ঋণ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রামের সমমনা শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। আজ ৭ আগস্ট শনিবার বিকাল ৫ টায় সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন সমিতির পরিচালক কনোজ কুমার শীল। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ সমবায় সমিতিগুলোকে মহামারি করোনার করাল থাবা হতে রক্ষার জন্য প্রধান মন্ত্রীর নিকট প্রণোদনার জন্য আবেদন করছি। এই মানবদরদী জননেত্রী আমাদের দিকে তাকালে অসংখ্য অসহায় পরিবার বেঁচে যাবে।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে কালেশন হচ্ছে না ঠিকই তাদেরকে লভ্যাংশসহ সঞ্চয় ফেরত দিতে হচ্ছে, এমতাবস্থায় প্রণোদনা থেকে ঋণ না পেলে আমরা সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হবো। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, আমাদের ক্ষুদ্র ঋণের সমিতি গুলোর আর্থিক অবস্থা সংকটাপূর্ণ। তাই শ্রমজীবি সমবায় সমিতির মত অসংখ্য ক্ষুদ্র ঋণ সমবায় সমিতির দূরাবস্থার বিষয়ে প্রণোদনা চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জাতির এ ক্লান্তি লগ্নে তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি একমাত্র আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলোকে এই অশনী সংকটাপূর্ণ অবস্থা হতে উদ্ধার করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।
তিনি আরো জানান, আমাদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। অমরা স্বাস্থ্য কর্তার নির্দেশ মানতে বাধ্য। এমতাবস্থায় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পারছি না গ্রাহক হতে আমাদের দৈনন্দিন কালেকশন যা আমরা ঋণদানের বিপরীতে করতাম তা করতে। কারণ গ্রাহক আমাদেরকে চলমান লকডাউনের কারণে কালেকশন দিতে অপরাগতা প্রকাশ করছে। অন্যদিকে সঞ্চয়ীতে যারা আছে তারা প্রত্যেকেই তাদের জমানো টাকার লভ্যাংশ সহ ফেরত চাইছেন। সৃষ্টি হয়েছে উভয় সংকট। কালেকশন উত্তোলন করতে না পারলেও প্রায় ১৫,০০০ টাকা অফিস ভাড়া ১৫ জন মাঠকর্মীর বেতন প্রায় ১,৫০,০০০ টাকার মত অফিসিয়াল অন্যন্য খরচ যেমন বিদ্যুৎ বিল ২০০০ টাকার মত সবমিলিয়ে মাসিক ১,৭০,০০০- ২,০০,০০০ টাকার মত মাসিক খরচ। এমন খরচ ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সমিতির পরিচালক কনোজ কুমার শীল জানান, ক্ষুদ্র ঋণের সাথে অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী এবং সাধারণ দরিদ্র শ্রেণির গ্রাহক জড়িত। আমাদের সমমনা শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর আওতাধীন প্রায় ৫০০ গ্রাহক রয়েছে। ২০১৬ সালে আমরা চারজন মিলে সমবায় অফিস সরকারী নিয়ম মেনে সমিতির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কার্য পরিচালনা শুরু করি। তীল তীল করে গড়া আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সহ এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের মুখে চলে গিয়েছে। এখান থেকে উত্তরণের জন্য সরকারী প্রণোদনার বিকল্প কোন পথ নেই। সমবায় অফিসে যােগাযােগ করা হলে তারা এসব সরকারী উচ্চ পর্যায়ের হতে কোন ধরনের নির্দেশনা পায়নি বলে সাফ জানিয়ে দেন। কাজেই অজস্র দরিদ্র মানুষের আশার প্রদীপ এবং অসংখ্য বেকার নারী পুরুষের কর্মস্থল রক্ষার জন্য আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহজ শর্তে প্রণোদনার জন্য জোড়ালো আবেদন করছি। নয়তো আমরা ক্ষুদ্র ঋণ। এর প্রতিষ্ঠান গুলো বিলুপ্ত হতে থাকবে। এখানে আরও উল্লেখ্য অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করার পর মহামারি করোনার করাল থাবায় নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। যাদের কাছে আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত ঋণ ফেরত পাওয়ার আর কোন সম্ভবনা ইেন। কাজেই আমরা এই চরম ক্রান্তি লগ্নের সময়কে প্রণোদনা ছাড়া কাটিয়ে উঠা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এই সব বিষয় বিবেচনা করে বাঙ্গালী জাতির কান্ডারী দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের মত ক্ষুদ্র উদ্যেক্তাদের অসহায়ত্বের দিকে তাকিয়ে প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে এই ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ পরিবার বেঁচে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ শফি, এস এম মোকতার হোসাইন লিটন, মো. তারেক সোলতান, বিধান শীল, দোলন শীল, ভূপেষ মজুমদার ও আবুল কালাম প্রমুখ।