ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে দেশবাসীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্ককতা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৪২:০৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • / ২৫৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বিটকয়েন বা অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে সিআইডির কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করতে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পত্রের মাধ্যমে পাঠানো মতামতের অংশবিশেষ কোনো কোনো পত্রিকায় খন্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

সবার সচেতনতার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন হতে বিরত থাকার বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। সেখানে যে অবস্থান বাংলাদেশ ব্যাংকের ছিল, এখনও তাই রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে পুনরায় জানানো যাচ্ছে, যেকোনো ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত নয়।

সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে যে কোনো ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরূপ কার্যে সহায়তা দেওয়া ও এ সম্পর্কিত প্রচারণা হতে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় অনুরোধ করা যাচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, অনলাইনভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা নয় বিধায় এর বিপরীতে কোন আর্থিক দাবির স্বীকৃতও থাকেনা। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদিত নয়।

ফলে এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, সন্ত্রাস বিরোধী আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন দ্বারা সমর্থিত হয় না। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামিক প্রতিসঙ্গীর সাথে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।

মূলত অনলাইনভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রায় অর্থমূল্য পরিশোধ ও নিষ্পত্তি সংঘটিত হয় এবং এটি কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ বা পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রক কতৃর্পক্ষ স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।

সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই।

গত ১৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডিকে পাঠান। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২- এর আওতায় অপরাধ হতে পারে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা ও এ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিআইডি এমন দু’টি মামলার তদন্ত করছে। এর সূত্র ধরেই সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে মতামত চায়।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা এখন আট হাজারের বেশি। এগুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ১ বিটকয়েনের বর্তমান দর ৩৩ হাজার ডলারের বেশি। ২০০৮ সালে এই মুদ্রা উদ্ভাবনের পর বিশ্বের কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়েকটি দেশ এই মুদ্রায় লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে দেশবাসীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্ককতা

আপডেট টাইম : ০১:৪২:০৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বিটকয়েন বা অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে সিআইডির কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করতে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পত্রের মাধ্যমে পাঠানো মতামতের অংশবিশেষ কোনো কোনো পত্রিকায় খন্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

সবার সচেতনতার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন হতে বিরত থাকার বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। সেখানে যে অবস্থান বাংলাদেশ ব্যাংকের ছিল, এখনও তাই রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে পুনরায় জানানো যাচ্ছে, যেকোনো ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত নয়।

সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে যে কোনো ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরূপ কার্যে সহায়তা দেওয়া ও এ সম্পর্কিত প্রচারণা হতে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় অনুরোধ করা যাচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, অনলাইনভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা নয় বিধায় এর বিপরীতে কোন আর্থিক দাবির স্বীকৃতও থাকেনা। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদিত নয়।

ফলে এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, সন্ত্রাস বিরোধী আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন দ্বারা সমর্থিত হয় না। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামিক প্রতিসঙ্গীর সাথে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।

মূলত অনলাইনভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রায় অর্থমূল্য পরিশোধ ও নিষ্পত্তি সংঘটিত হয় এবং এটি কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ বা পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রক কতৃর্পক্ষ স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।

সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই।

গত ১৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডিকে পাঠান। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২- এর আওতায় অপরাধ হতে পারে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা ও এ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিআইডি এমন দু’টি মামলার তদন্ত করছে। এর সূত্র ধরেই সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে মতামত চায়।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা এখন আট হাজারের বেশি। এগুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ১ বিটকয়েনের বর্তমান দর ৩৩ হাজার ডলারের বেশি। ২০০৮ সালে এই মুদ্রা উদ্ভাবনের পর বিশ্বের কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়েকটি দেশ এই মুদ্রায় লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।