ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

করুনার কাছে হার মেনে গেলেন। শিল্পী ফকির আলমগীর নাফিরার দেশে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৫৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১
  • / ২৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দিনের বেলায় শারীরিক অবস্থার খানিক উন্নতি হলেও শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটের দিকে করোনাভাইরাসের কাছে পরাজয় বরণ করেন নন্দিত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর।

বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব ও ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান। মাশুক জানান, রাত ১০টার দিকে তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর ফেরানো যায়নি। তিনি সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

কোভিড পজিটিভ হয়ে সবকিছু দ্রুত ঘটলো গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের জীবনে। এক সপ্তাহের মধ্যে বাসা থেকে আইসিইউ, এরপর ভেন্টিলেশন সাপোর্ট। অবশেষে বিদায়।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরে এই নন্দিত শিল্পীর পুত্র মাশুক আলমগীর রাজীব বাংলা ট্রিবিউনকে জানান খানিক স্বস্তির বার্তা। বলেন, ‘বাবার অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। অক্সিজেন স্যাচুরেশন শতভাগ। বিশেষ করে ডান ফুসফুস সংক্রমণমুক্ত। তবে বাম ফুসফুস এখনও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।’

মাশুকের এমন খবরে স্বস্তি ফিরলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেন্টিলেশনে থেকেই হার্ট অ্যাটাক হয় ফকির আলমগীরের।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফকির আলমগীর। ১৮ জুলাই চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের করোনাভাইরাস পজিটিভ ফল আসে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

ফকির আলমগীর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী। তারও আগে থেকে তিনি শ্রমজীবী মানুষের জন্য গণসংগীত করে আসছিলেন। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন ফকির আলমগীর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এরমধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীতশিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি।

সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এই গণসংগীতশিল্পীর চির প্রস্থানে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মহাসচিব শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান ও কুমার বিশ্বজিৎ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফকির আলমগীরের মৃত্যু বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের গণসংগীত প্রচার ও প্রসারে তার অবদান অসামান্য।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

করুনার কাছে হার মেনে গেলেন। শিল্পী ফকির আলমগীর নাফিরার দেশে

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৫৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দিনের বেলায় শারীরিক অবস্থার খানিক উন্নতি হলেও শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটের দিকে করোনাভাইরাসের কাছে পরাজয় বরণ করেন নন্দিত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর।

বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব ও ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান। মাশুক জানান, রাত ১০টার দিকে তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর ফেরানো যায়নি। তিনি সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

কোভিড পজিটিভ হয়ে সবকিছু দ্রুত ঘটলো গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের জীবনে। এক সপ্তাহের মধ্যে বাসা থেকে আইসিইউ, এরপর ভেন্টিলেশন সাপোর্ট। অবশেষে বিদায়।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরে এই নন্দিত শিল্পীর পুত্র মাশুক আলমগীর রাজীব বাংলা ট্রিবিউনকে জানান খানিক স্বস্তির বার্তা। বলেন, ‘বাবার অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। অক্সিজেন স্যাচুরেশন শতভাগ। বিশেষ করে ডান ফুসফুস সংক্রমণমুক্ত। তবে বাম ফুসফুস এখনও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।’

মাশুকের এমন খবরে স্বস্তি ফিরলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেন্টিলেশনে থেকেই হার্ট অ্যাটাক হয় ফকির আলমগীরের।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফকির আলমগীর। ১৮ জুলাই চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের করোনাভাইরাস পজিটিভ ফল আসে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

ফকির আলমগীর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী। তারও আগে থেকে তিনি শ্রমজীবী মানুষের জন্য গণসংগীত করে আসছিলেন। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন ফকির আলমগীর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এরমধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীতশিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি।

সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এই গণসংগীতশিল্পীর চির প্রস্থানে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মহাসচিব শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান ও কুমার বিশ্বজিৎ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফকির আলমগীরের মৃত্যু বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের গণসংগীত প্রচার ও প্রসারে তার অবদান অসামান্য।