ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের

আজ দেওয়ানবাগীর দাফন সম্পন্ন শেষ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৫০৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার।।

রাজধানীর আরামবাগে অবস্থিত দেওয়ানবাগী পীর সৈয়দ মাহবুবে খোদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে বাবে মদিনা দেওয়ানবাগ শরিফে তার স্ত্রীর পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে আরামবাগে দেওয়ানবাগীর দরবার শরীফে তার নামাজে জানাজা হয়। জানাজার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

গত সোমবার ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে মারা যান দেওয়ানবাগী পীর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভক্ত ও মুরিদ ভিড় জমান আরামবাগ দরবারে। দুপুর আড়াইটার দিকে আরামবাগ দরবারের পাশের সড়কে জানাজা হয়। এতে তার ভক্তরা অংশ নেন। জানাজার আগে পীর দেওয়ানবাগীর ওছিয়ত অনুযায়ী ছেলেদেরকে তার দরবারের ইমাম করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেখানেই তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এরপর দেওয়ানবাগীর লাশ একটি ফুল সজ্জিত ট্রাকে মতিঝিলের বাবে মদিনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

নোভাভ্যাক্সের টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু

দেওয়ানবাগ শরিফের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, ওনার (দেওয়ানবাগী) চার ছেলেকে দরবার শরিফের ইমাম করা হয়েছে। তবে মেজ ছেলে সৈয়দ ইমাম ড. আফছান কুদরত-ই খুদার নেতৃত্বে তারা চলবেন। তার জানাজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরিদরা এসেছেন। ওনার স্ত্রী ২০০৯ সালে মারা যান। তাকে বাবে মদিনায় দাফন করা হয়, ওছিয়ত অনুযায়ী তাকে (দেওয়ানবাগী) তার স্ত্রীর পাশে দাফন করা হয়েছে। তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় জানাজার পর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে।

১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে দেওয়ানবাগী পীর ৩ নম্বর প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ শেষে তিনি সেনাবাহিনীর ১৬ বেঙ্গল রেজিমেন্টে রিলিজিয়াস টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি মোট ১১টি দরবার ও শতাধিক খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। অর্জন করেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ দেওয়ানবাগীর দাফন সম্পন্ন শেষ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার।।

রাজধানীর আরামবাগে অবস্থিত দেওয়ানবাগী পীর সৈয়দ মাহবুবে খোদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে বাবে মদিনা দেওয়ানবাগ শরিফে তার স্ত্রীর পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে আরামবাগে দেওয়ানবাগীর দরবার শরীফে তার নামাজে জানাজা হয়। জানাজার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

গত সোমবার ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে মারা যান দেওয়ানবাগী পীর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভক্ত ও মুরিদ ভিড় জমান আরামবাগ দরবারে। দুপুর আড়াইটার দিকে আরামবাগ দরবারের পাশের সড়কে জানাজা হয়। এতে তার ভক্তরা অংশ নেন। জানাজার আগে পীর দেওয়ানবাগীর ওছিয়ত অনুযায়ী ছেলেদেরকে তার দরবারের ইমাম করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেখানেই তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এরপর দেওয়ানবাগীর লাশ একটি ফুল সজ্জিত ট্রাকে মতিঝিলের বাবে মদিনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

নোভাভ্যাক্সের টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু

দেওয়ানবাগ শরিফের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, ওনার (দেওয়ানবাগী) চার ছেলেকে দরবার শরিফের ইমাম করা হয়েছে। তবে মেজ ছেলে সৈয়দ ইমাম ড. আফছান কুদরত-ই খুদার নেতৃত্বে তারা চলবেন। তার জানাজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরিদরা এসেছেন। ওনার স্ত্রী ২০০৯ সালে মারা যান। তাকে বাবে মদিনায় দাফন করা হয়, ওছিয়ত অনুযায়ী তাকে (দেওয়ানবাগী) তার স্ত্রীর পাশে দাফন করা হয়েছে। তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় জানাজার পর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে।

১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে দেওয়ানবাগী পীর ৩ নম্বর প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ শেষে তিনি সেনাবাহিনীর ১৬ বেঙ্গল রেজিমেন্টে রিলিজিয়াস টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি মোট ১১টি দরবার ও শতাধিক খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। অর্জন করেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ।