করোনার অমানিশার আঁধার সহসাই কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ ॥ রাষ্ট্রপতি
- আপডেট টাইম : ০৮:১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১
- / ২২৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, “রাতের আঁধার শেষেই ঝলমলে রোদের আলোতে ভরে উঠে পৃথিবী। করোনার অমানিশার আঁধারও সহসাই কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ।
তিনি আরও বলেন“কিন্তু এর জন্য দরকার সকলকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। অর্থাৎ, সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।”
আজ বুধবার কোরবানির ঈদের সকালে বঙ্গভবন থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি
মহামারী পরিস্থিতির ক্রমাবনতির মধ্যে টিকাদান কর্মসূচী সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও এখন তা ‘পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, “সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সকল নাগরিকের জন্য টিকাদান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তাই এ কর্মসূচিকে সফল করতে সরকারের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিডের কারণ এমন এক ভাইরাস, যা থেকে ইচ্ছে করলেই কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বা এককভাবে একটি দেশের পক্ষে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়।
“বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। তাই বিশ্বকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে হলে উন্নত-অনুন্নত ও ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে বহুজাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
বঙ্গভবনসকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনের হলওয়েতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবারের সদস্য ও বঙ্গভবনের ‘অতিপ্রয়োজনীয়’ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েন রাষ্ট্রপতি। পরে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দেন।
মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাসের কারণে গতবছরের মত এবারও ঈদের দিন বঙ্গভবনে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বাদ দেওয়া হয়েছে।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। এবার মুসলিম বিশ্ব এমন একটা সময়ে ঈদ-উল-আজহা উদযাপন করছে যখন করোনার ভয়াল থাবায় গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত।
“বাংলাদেশেও করোনার নেতিবাচক প্রভাব ক্রমান্বয়ে প্রকট হচ্ছে। করোনার কারণে দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য।”
মহামারী মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকার যে বহুমুখী কর্মসূচি নিয়েছে, সে কথাও রাষ্ট্রপতি বলেন।
তিনি বলেন, “অসচ্ছল ও নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবেও বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কৃষি ও শিল্পসহ উৎপাদনশীল প্রতিটি খাতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতেও সরকার সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।”
জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি আশা করি, সকলেই সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি সম্পন্ন করবেন এবং যথাসময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সচেষ্ট থাকবেন।
“আমি দেশের আপামর জনগণের প্রতি কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।