ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় নজরদারির অভাবে প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • / ৩১২ ৫০০০.০ বার পাঠক
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতায় প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো।
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারনে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নেই পদচারনা। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ গুলোর অফিস খোলা থাকায় পরিবেশ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও প্রাইমারী স্কুলগুলোর দেখভালের অভাবে চরম শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতা ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে প্রাইমারী স্কুলে এখন স্থানীয়দের আবাদী  ফসল  রাখা ও তাস খেলার অভয় অরণ্য হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ওই উপজেলার পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা এবং সেখানে কতিপয় লোকের ভুট্টার মোচা,ফসলী অন্যান্য জিনিস পত্র ও বারান্দায় গরু,ছাগলের বিষ্ঠা। এছাড়া পাশের আর একটি ভবনে ভুট্টার খড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ বারান্দা ভরপুর। সরকারী অর্থ ব্যয়ে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও মেইন গেট খোলা।বিদ্যালয়টিতে ফসলী জিনিস পত্র রাখায় চুনকাম ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেইনটিং ক্ষতিগ্রস্থ সহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেখানে শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা থাকায় মাদক সেবনসহ যে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ অনৈতিক ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের আশংকা।
এবিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দার আলী ও শাহনাজ বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ।মাস্টার,দপ্তরী কেউ খোজ খবর নেয় না, রুম খোলা তাই আমারা এসব রাখছি আর গেট খোলা থাকায় স্থানীয়রা গরু, ছাগল বেধে মাঠে ঘাস খাওয়ায়। কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন,আমরা এলাকাবাসী স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রধান শিক্ষক কে বললেও তিনি উল্টো মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখান।
একই দিনে খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও দেখা যায়, একই চিত্র। মেইন গেট খোলা, স্থানীয় কিছু লোক দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসে তাস খেলছেন। বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও দেয়ালের নিচে ২/৩ ফিট করে কোথাও কোথাও ফাকা আবার কোথাও মাটি ধষে গিয়ে ফাকা হওয়ার কারনে চতুর পাশ থেকে গরু,ছাগলসহ মানুষজন অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। ফলে বিদ্যালয়টির পরিবেশ যেমন দিন দিন নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি স্থানীয়দের তাস খেলাসহ নেশাখোরদের কারনে যুবসমাজ বিপদগামী হতে পারে বলে আশংকা করছেন অভিভাবক মহল।
এ বিষয়ে পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবির সাথে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন হয়তো এসব রেখেছে। তবে খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তারের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
 বিষয়টি নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো: জাকির হোসেনের সাথে কথা  বললে তিনি এ বিষয়ে জানেনা বলে জানিয়ে, বলেন, এখনই খোঁজ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহায়ক কাম নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও যথাযথ নজরদারী না থাকায় বিদ্যালয়গুলো কতিপয় স্থানীয়দের গোডাউন ঘরে পরিনত হয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় নজরদারির অভাবে প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা 

আপডেট টাইম : ০৮:২০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতায় প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো।
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারনে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নেই পদচারনা। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ গুলোর অফিস খোলা থাকায় পরিবেশ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও প্রাইমারী স্কুলগুলোর দেখভালের অভাবে চরম শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতা ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে প্রাইমারী স্কুলে এখন স্থানীয়দের আবাদী  ফসল  রাখা ও তাস খেলার অভয় অরণ্য হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ওই উপজেলার পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা এবং সেখানে কতিপয় লোকের ভুট্টার মোচা,ফসলী অন্যান্য জিনিস পত্র ও বারান্দায় গরু,ছাগলের বিষ্ঠা। এছাড়া পাশের আর একটি ভবনে ভুট্টার খড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ বারান্দা ভরপুর। সরকারী অর্থ ব্যয়ে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও মেইন গেট খোলা।বিদ্যালয়টিতে ফসলী জিনিস পত্র রাখায় চুনকাম ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেইনটিং ক্ষতিগ্রস্থ সহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেখানে শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা থাকায় মাদক সেবনসহ যে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ অনৈতিক ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের আশংকা।
এবিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দার আলী ও শাহনাজ বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ।মাস্টার,দপ্তরী কেউ খোজ খবর নেয় না, রুম খোলা তাই আমারা এসব রাখছি আর গেট খোলা থাকায় স্থানীয়রা গরু, ছাগল বেধে মাঠে ঘাস খাওয়ায়। কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন,আমরা এলাকাবাসী স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রধান শিক্ষক কে বললেও তিনি উল্টো মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখান।
একই দিনে খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও দেখা যায়, একই চিত্র। মেইন গেট খোলা, স্থানীয় কিছু লোক দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসে তাস খেলছেন। বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও দেয়ালের নিচে ২/৩ ফিট করে কোথাও কোথাও ফাকা আবার কোথাও মাটি ধষে গিয়ে ফাকা হওয়ার কারনে চতুর পাশ থেকে গরু,ছাগলসহ মানুষজন অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। ফলে বিদ্যালয়টির পরিবেশ যেমন দিন দিন নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি স্থানীয়দের তাস খেলাসহ নেশাখোরদের কারনে যুবসমাজ বিপদগামী হতে পারে বলে আশংকা করছেন অভিভাবক মহল।
এ বিষয়ে পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবির সাথে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন হয়তো এসব রেখেছে। তবে খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তারের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
 বিষয়টি নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো: জাকির হোসেনের সাথে কথা  বললে তিনি এ বিষয়ে জানেনা বলে জানিয়ে, বলেন, এখনই খোঁজ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহায়ক কাম নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও যথাযথ নজরদারী না থাকায় বিদ্যালয়গুলো কতিপয় স্থানীয়দের গোডাউন ঘরে পরিনত হয়েছে।