ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় নজরদারির অভাবে প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২০:০০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • / ২৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতায় প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো।
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারনে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নেই পদচারনা। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ গুলোর অফিস খোলা থাকায় পরিবেশ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও প্রাইমারী স্কুলগুলোর দেখভালের অভাবে চরম শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতা ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে প্রাইমারী স্কুলে এখন স্থানীয়দের আবাদী  ফসল  রাখা ও তাস খেলার অভয় অরণ্য হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ওই উপজেলার পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা এবং সেখানে কতিপয় লোকের ভুট্টার মোচা,ফসলী অন্যান্য জিনিস পত্র ও বারান্দায় গরু,ছাগলের বিষ্ঠা। এছাড়া পাশের আর একটি ভবনে ভুট্টার খড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ বারান্দা ভরপুর। সরকারী অর্থ ব্যয়ে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও মেইন গেট খোলা।বিদ্যালয়টিতে ফসলী জিনিস পত্র রাখায় চুনকাম ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেইনটিং ক্ষতিগ্রস্থ সহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেখানে শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা থাকায় মাদক সেবনসহ যে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ অনৈতিক ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের আশংকা।
এবিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দার আলী ও শাহনাজ বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ।মাস্টার,দপ্তরী কেউ খোজ খবর নেয় না, রুম খোলা তাই আমারা এসব রাখছি আর গেট খোলা থাকায় স্থানীয়রা গরু, ছাগল বেধে মাঠে ঘাস খাওয়ায়। কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন,আমরা এলাকাবাসী স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রধান শিক্ষক কে বললেও তিনি উল্টো মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখান।
একই দিনে খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও দেখা যায়, একই চিত্র। মেইন গেট খোলা, স্থানীয় কিছু লোক দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসে তাস খেলছেন। বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও দেয়ালের নিচে ২/৩ ফিট করে কোথাও কোথাও ফাকা আবার কোথাও মাটি ধষে গিয়ে ফাকা হওয়ার কারনে চতুর পাশ থেকে গরু,ছাগলসহ মানুষজন অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। ফলে বিদ্যালয়টির পরিবেশ যেমন দিন দিন নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি স্থানীয়দের তাস খেলাসহ নেশাখোরদের কারনে যুবসমাজ বিপদগামী হতে পারে বলে আশংকা করছেন অভিভাবক মহল।
এ বিষয়ে পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবির সাথে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন হয়তো এসব রেখেছে। তবে খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তারের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
 বিষয়টি নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো: জাকির হোসেনের সাথে কথা  বললে তিনি এ বিষয়ে জানেনা বলে জানিয়ে, বলেন, এখনই খোঁজ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহায়ক কাম নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও যথাযথ নজরদারী না থাকায় বিদ্যালয়গুলো কতিপয় স্থানীয়দের গোডাউন ঘরে পরিনত হয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় নজরদারির অভাবে প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা 

আপডেট টাইম : ০৮:২০:০০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতায় প্রাইমারী স্কুল গুলোর বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো।
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারনে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নেই পদচারনা। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ গুলোর অফিস খোলা থাকায় পরিবেশ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও প্রাইমারী স্কুলগুলোর দেখভালের অভাবে চরম শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকদের উদাসিনতা ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে প্রাইমারী স্কুলে এখন স্থানীয়দের আবাদী  ফসল  রাখা ও তাস খেলার অভয় অরণ্য হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ওই উপজেলার পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা এবং সেখানে কতিপয় লোকের ভুট্টার মোচা,ফসলী অন্যান্য জিনিস পত্র ও বারান্দায় গরু,ছাগলের বিষ্ঠা। এছাড়া পাশের আর একটি ভবনে ভুট্টার খড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ বারান্দা ভরপুর। সরকারী অর্থ ব্যয়ে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও মেইন গেট খোলা।বিদ্যালয়টিতে ফসলী জিনিস পত্র রাখায় চুনকাম ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেইনটিং ক্ষতিগ্রস্থ সহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেখানে শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা থাকায় মাদক সেবনসহ যে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ অনৈতিক ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের আশংকা।
এবিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দার আলী ও শাহনাজ বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ।মাস্টার,দপ্তরী কেউ খোজ খবর নেয় না, রুম খোলা তাই আমারা এসব রাখছি আর গেট খোলা থাকায় স্থানীয়রা গরু, ছাগল বেধে মাঠে ঘাস খাওয়ায়। কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন,আমরা এলাকাবাসী স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রধান শিক্ষক কে বললেও তিনি উল্টো মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখান।
একই দিনে খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও দেখা যায়, একই চিত্র। মেইন গেট খোলা, স্থানীয় কিছু লোক দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসে তাস খেলছেন। বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও দেয়ালের নিচে ২/৩ ফিট করে কোথাও কোথাও ফাকা আবার কোথাও মাটি ধষে গিয়ে ফাকা হওয়ার কারনে চতুর পাশ থেকে গরু,ছাগলসহ মানুষজন অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। ফলে বিদ্যালয়টির পরিবেশ যেমন দিন দিন নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি স্থানীয়দের তাস খেলাসহ নেশাখোরদের কারনে যুবসমাজ বিপদগামী হতে পারে বলে আশংকা করছেন অভিভাবক মহল।
এ বিষয়ে পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবির সাথে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন হয়তো এসব রেখেছে। তবে খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তারের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
 বিষয়টি নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো: জাকির হোসেনের সাথে কথা  বললে তিনি এ বিষয়ে জানেনা বলে জানিয়ে, বলেন, এখনই খোঁজ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহায়ক কাম নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও যথাযথ নজরদারী না থাকায় বিদ্যালয়গুলো কতিপয় স্থানীয়দের গোডাউন ঘরে পরিনত হয়েছে।