কানাডায় নজিরবিহীন তাপপ্রবাহে ৬৯ লোকের মৃত্যু
- আপডেট টাইম : ০৭:৪০:৩৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
- / ২৫৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
অনলাইন ডেস্ক ॥ কানাডায় নজিরবিহীন তাপপ্রবাহে ৬৯ লোকের মৃত্যু হয়েছে। এদের অধিকাংশই বৃদ্ধ লোক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এটাই তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড দেশটিতে । এসব মৃত্যুর ক্ষেত্রে অঞ্চলটিতে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছে তারা। তাপমাত্রার নতুন রেকর্ডের পাশাপাশি বহু
বিবিসি জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে কানাডায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের লাইটনে দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৯ দশমিক পাঁচ সেন্টিগ্রেড রেকর্ড করা হয়। এটি দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড। চলতি সপ্তাহের আগে কানাডার তাপমাত্রা কখনোই ৪৫ সেন্টিগ্রেডের ওপরে ওঠেনি।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভার শহরের বার্নাবির পুলিশ সিপিএল মাইক কালাঞ্জ মঙ্গলবার বলেছেন, “প্রতিবেশীদের দিকে খেয়াল রাখুন, পরিবারের সদস্যদের দিকে খেয়াল রাখুন, বয়স্ক ব্যক্তি যাদের চেনেন তাদের খোঁজ রাখুন।
“এই আবহাওয়া আমাদের সমাজের দুর্বল সদস্যদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে, বিশেষ করে যারা বৃদ্ধ ও যারা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তাদের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।”
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ভ্যাঙ্কুভারের বার্নাবি ও সুররিতে যে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গরম একটি ভূমিকা রেখেছে। তাদের অধিকাংশই বৃদ্ধ আর কেউ কেউ স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে একদিনের ৪৯ দশমিক পাঁচ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড। লাইটনের ক্ষুদ্র গ্রামের বাসিন্দা মেগান ফ্যানড্রিচ গ্লোব এন্ড মেইলকে জানান, বাড়ির বাইরে যাওয়া ‘প্রায় অসম্ভব’।
“পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে,” বলেন তিনি। নিজের অল্প বয়সী কন্যাকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অন্য এলাকায় আত্মীয়দের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন আর সেখানে তাপমাত্রা কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন তিনি।
“আমরা যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা গরমে অভ্যস্ত আর এই গরম ভ্যাপসা না, কিন্তু ৩০ ডিগ্রির সঙ্গে ৪৭ এর পার্থক্য অনেক,” বলেছেন তিনি।
কানাডার আবহাওয়া বিভাগ, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্তা, সাসকাচোয়ান, নর্থওয়েস্ট টেরিটরি ও ইউকনের একটি অংশে সতর্কতা জারি করেছে। এনভায়রনমেন্ট কানাডার জ্যেষ্ঠ জলবায়ুবিদ ডেভিড ফিলিপস বলেছেন, “আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় শীতলতম দেশ এবং সবচেয়ে তুষারাচ্ছন্ন। আমরা প্রায়ই প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ ও তুষার ঝড় দেখি কিন্তু এ ধরনের তাপপ্রবাহ অস্বাভাবিক। আমরা এখন যা দেখছি দুবাইও হয়তো এরচেয়ে ঠাণ্ডা।