নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আদনানকে পাবেন কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারবেন না
- আপডেট টাইম : ১০:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
- / ২৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
আদনান, মুহিত, ফিরোজ- সবাইকে পাবেন। কাউকে কিছু বলা যাবে না। আমি পথ বলে দেব। বাট আমি কিছু টাকা নেব।’
নি’খোঁজ ইস’লামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্ম’দ আদনানকে ফিরে পেতে তার প্রথম স্ত্রী’র মোবাইল ফোনে ইমোতে এমন মেসেজ পাঠিয়েছেন কথিত মেহেদি হাসান। যদিও পু’লিশ বলছে, বাস্তবে মেহেদি হাসান নামে কোনো ‘অস্তিত্ব’ পায়নি তারা।
তবে আদনানের পুরনো একটি মোবাইল সিম থেকে ইমো খুলে এই মেসেজ পাঠানো হয়। ওই ইমোতে একটি ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া ওই মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করেও একই কথা বলা হয়েছে নি’খোঁজ আদনানের স্বজনদের। এমনটাই দাবি তার ছোট বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইস’লাম অনন্যার।
এ দিকে ইস’লামিক বক্তা আদনানের প্রথম স্ত্রী’ আবিদা নুরের মোবাইল নম্বরের ইমো ও মেহেদি হাসানের ইমো মেসেঞ্জারে মেসেজিংয়ের কিছু স্ক্রিন শর্ট নয়া দিগন্তের কাছে এসে পৌঁছেছে। নিচে মেসেজে সেই কথপোকথন তুলে ধ’রা হলো-
মেহেদি হাসান : হ্যালো
উত্তরে : আসসালামু আলাইকুম
মেহেদি হাসান : আদনান মুহিত ফিরোজ সবাইকে পাবেন। কাউকে বলা যাবে না। হ্যালো?
উত্তরে : জি, ইনশাআল্লাহ কেউ জানবে না
মেহেদি হাসান : আমি প্রসেস বলে দেবো। বাট আমি কিছু টাকা নিবো। কই?
স্ক্রিন শর্টে দেখা যায়, এরপর আরেকটি মেসেজ পাঠালেও পরে তা মুছে ফেলেন কথিত মেহেদি হাসান।
এ প্রসঙ্গে নি’খোঁজ আদনানেন ছোট বোন অনন্যা বলেন, ’নি’খোঁজ হওয়ার পরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় ইন্টারনেটভিত্তিক আলাপ নাম্বার ০৯৬৯৬৯৭৭০৬৪৭ থেকে ভাবি আবিদা নুরের (আদনানেন প্রথম স্ত্রী’) মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। ওই নাম্বারটি আমা’র ভাইয়া ব্যবহার করতেন। কিন্তু অনেক দিন ধরে সেটি বন্ধ ছিল। ফোনের ওপার থেকে নিজেকে মেহেদি হাসান পরিচয় দেন এক ব্যক্তি। এ সময় ওই ব্যক্তি ফোনে বলেন, আদনানসহ অন্যরা তাদের কাছে আছে। টাকা পয়সা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে। তখন তিনি ইমো নাম্বার খুলতে বলেন। এরপর ফোন কে’টে দেন। পরে আম’রা বারবার ট্রাই করলেও ওই ফোনে কল ঢোকেনি। একপর্যায় ভাবির নাম্বারে আমি ইমো খুললে তিনি ইমোতে মেসেজিং করেন। সেখানেও তিনি একই ধরনের কথা বলেন ও টাকা চাওয়ার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলেন।’
অনন্যা আরো জানান, ‘রোববার সন্ধ্যায় ঠিক একই সময়ে বেশ কয়েকবার আমা’র ভাইয়ের আরেকটি মোবাইল নম্বর থেকে আবারো ভাবির নম্বরে কল আসে। ঘটনার আকস্মিকতায় আম’রা ফোন ধরতে পারিনি। কিছুক্ষণ পর ভাইয়ার ওই নাম্বারে ভাবি কলব্যাক করলে তখন বন্ধ পাওয়া যায়। বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রাত ১১টার দিকে ইন্টারনেটভিত্তিক আলাপ নাম্বারে আমি ফোন দেই ভাবির ফোন থেকে। তখন মেহেদি হাসান নামের ওই ব্যক্তি ফোনটি ধরে বলেন, আপনাদের টাকা জোগাড় হয়েছে? টাকা দিলে আদনানদের ছেড়ে দেব।’
অনন্যা বলেন, ‘এ সময় আমি ফোনটি আমা’র মায়ের কাছে দেই। আমা’র মা তখন ফোনে তাকে বলেন, আমি আমা’র ছে’লের কণ্ঠ চিনি। আপনি আমা’র ছে’লেকে দেন তার সাথে কথা বলি। তারপর টাকা জোগাড় করবো। কিন্তু অ’পর প্রান্ত থেকে সেটি না করে রাগ করে ফোন কে’টে দেয়া হয়। এরপর ওই নাম্বার দু’টিতে আম’রা বারবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাচ্ছি।’
আদনানের বোন অনন্যা আরো বলেন, ‘ভাইয়ের টেলিট’ক নাম্বারটি দিয়ে তার হোয়াটসঅ্যাপ খোলা। হোয়াটসঅ্যাপে আমি বিভিন্ন ধরনের মেসেজ পাঠাচ্ছি। কিন্তু কোনো রিপ্লাই পাচ্ছি না। তবে আমা’র মেসেজগুলো সিন করার হচ্ছে।’
অনন্যার দাবি,‘সবকিছু আম’রা পু’লিশকে জানিয়েছি। পু’লিশের কাছে তো সর্বাধুনিক প্রযু’ক্তি আছে। যেখানে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ সিন করা হচ্ছে। তাহলে হোয়াটসঅ্যাপের সূত্র ধরে কেন আমা’র ভাইসহ অন্যদের উ’দ্ধার করা হচ্ছে না?