ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

সবাই যেন ভ্যাকসিন পায় ॥ জাতিসংঘ মহাসচিবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
  • / ২৪৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

জাতিসংঘ সদর দফতরে মহাসচিবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাথে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে করোনার ভ্যাকসিন সবাই যেন পায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনকে জনসাধারণের সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আজ শুক্রবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব সাম্প্রতিক জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি জাতিসংঘের কার্যক্রমে বিশেষত শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় নিয়োগের জন্য মহাসচিবকে অভিনন্দন জানান এবং তার প্রথম মেয়াদে জাতিসংঘের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত মনোযোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মহাসচিবের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও অনেক প্রভাবশালী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়িয়েছে, যা হতাশাজনক। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা উল্লেখ করে মহাসচিব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় বিশ্ব বাংলাদেশের উদারতা ভুলে যাবে না।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে ভাসানচরের সুবিধাগুলি সম্পর্কেও অবহিত করেন এবং সেখানে জাতিসংঘের কার্যক্রমের গুরুত্বের উপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।

তিনি এসডিজির গ্রাজুয়েশন দেশগুলোর জন্য অব্যাহত সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানান।

বৈঠকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সবাই যেন ভ্যাকসিন পায় ॥ জাতিসংঘ মহাসচিবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

জাতিসংঘ সদর দফতরে মহাসচিবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাথে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে করোনার ভ্যাকসিন সবাই যেন পায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনকে জনসাধারণের সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আজ শুক্রবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব সাম্প্রতিক জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি জাতিসংঘের কার্যক্রমে বিশেষত শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় নিয়োগের জন্য মহাসচিবকে অভিনন্দন জানান এবং তার প্রথম মেয়াদে জাতিসংঘের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত মনোযোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মহাসচিবের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও অনেক প্রভাবশালী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়িয়েছে, যা হতাশাজনক। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা উল্লেখ করে মহাসচিব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় বিশ্ব বাংলাদেশের উদারতা ভুলে যাবে না।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে ভাসানচরের সুবিধাগুলি সম্পর্কেও অবহিত করেন এবং সেখানে জাতিসংঘের কার্যক্রমের গুরুত্বের উপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।

তিনি এসডিজির গ্রাজুয়েশন দেশগুলোর জন্য অব্যাহত সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানান।

বৈঠকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।