ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হতাম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৬ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত।

পলাতক ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে শেখ হাসিনা খালাস পেলে আমি সবচেয়ে খুশি হতাম।’

সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আমির হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার মক্কেলের খালাস চাই। এই চাওয়াটা তো স্বাভাবিক। এটা প্রত্যেকেই চাইবে।’

শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনি কোনোরকম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি নাই। চেষ্টা করার কোনো বিধানও নাই। উনারাও আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগের চেষ্টা এবং কোনো রকমের কোনো সহায়তাও করে নাই। প্রচ্ছন্নভাবেও যদি কোনো সহায়তা করতো সেটা আমার জন্য আরও ভালো হতো, কিন্তু সেটা কেউ কিছু করে নাই। আইনগতভাবে বিধানও নাই।’

‘আমি তো সবসময় আশা করি আমার মক্কেল (শেখ হাসিনা) খালাস পাবে। এটা আমার আশা, এটা আমার প্রত্যাশা। এটাই স্বাভাবিক কথা, আমার তো প্রত্যাশা থাকতেই হবে। এটা হৃদয় থেকেই বলছি। আমি একজনের জন্য এত এত মাস ধরে মামলা করেছি, তা সে যদি খালাস পায় তা আমার চাইতে বেশি খুশি আর কে হবে।’

ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজসাক্ষী আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি আমার মক্কেল না। উনার সম্পর্কে আমার কোনো কথা বলাও ঠিক না। কারণ আমি যাদের পক্ষে মামলা লড়ি তাদের পক্ষেই আমার বলা উচিত। যারা আমার আসামি না তার পক্ষে আমি কেন বলবো, এটা বলা ঠিক না, এটা সমীচীন না।’

আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী বলেন, ভালোভাবেই বিচার হয়েছে বলে আমি মনে করি।

‘আপনার সাবমিশনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারে একটা জায়গায় মিলে গেছে। আপনি বলছিলেন যে এইভাবে নির্বিচারে গুলির নির্দেশ তিনি দেননি, গণমাধ্যমে দেখলাম তিনিও তাই দাবি করেছেন, প্রসিকিউটার বলছে ভিন্ন কথা। তথ্য প্রমাণ কিন্তু তা বলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনারা (প্রসিকিউট) তো ওনাদের কথা বলবেনই। আমি আমার কথা বলবো। এটাই স্বাভাবিক। বিচার বিবেচনা করবে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল।’

আরও পড়ুন
হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ
হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ
এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র‌্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্ত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা করবেন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা প্রথম মামলা হিসেবে এর রায় হতে যাচ্ছে আজ।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন: বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

‘হাসিনাকে হাজারবার ফাঁসি দিলেও কম হবে’
রায় ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল রাত থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সামনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় প্রবেশকারী প্রত্যেককে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হতাম

আপডেট সময় ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত।

পলাতক ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে শেখ হাসিনা খালাস পেলে আমি সবচেয়ে খুশি হতাম।’

সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আমির হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার মক্কেলের খালাস চাই। এই চাওয়াটা তো স্বাভাবিক। এটা প্রত্যেকেই চাইবে।’

শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনি কোনোরকম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি নাই। চেষ্টা করার কোনো বিধানও নাই। উনারাও আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগের চেষ্টা এবং কোনো রকমের কোনো সহায়তাও করে নাই। প্রচ্ছন্নভাবেও যদি কোনো সহায়তা করতো সেটা আমার জন্য আরও ভালো হতো, কিন্তু সেটা কেউ কিছু করে নাই। আইনগতভাবে বিধানও নাই।’

‘আমি তো সবসময় আশা করি আমার মক্কেল (শেখ হাসিনা) খালাস পাবে। এটা আমার আশা, এটা আমার প্রত্যাশা। এটাই স্বাভাবিক কথা, আমার তো প্রত্যাশা থাকতেই হবে। এটা হৃদয় থেকেই বলছি। আমি একজনের জন্য এত এত মাস ধরে মামলা করেছি, তা সে যদি খালাস পায় তা আমার চাইতে বেশি খুশি আর কে হবে।’

ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজসাক্ষী আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি আমার মক্কেল না। উনার সম্পর্কে আমার কোনো কথা বলাও ঠিক না। কারণ আমি যাদের পক্ষে মামলা লড়ি তাদের পক্ষেই আমার বলা উচিত। যারা আমার আসামি না তার পক্ষে আমি কেন বলবো, এটা বলা ঠিক না, এটা সমীচীন না।’

আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী বলেন, ভালোভাবেই বিচার হয়েছে বলে আমি মনে করি।

‘আপনার সাবমিশনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারে একটা জায়গায় মিলে গেছে। আপনি বলছিলেন যে এইভাবে নির্বিচারে গুলির নির্দেশ তিনি দেননি, গণমাধ্যমে দেখলাম তিনিও তাই দাবি করেছেন, প্রসিকিউটার বলছে ভিন্ন কথা। তথ্য প্রমাণ কিন্তু তা বলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনারা (প্রসিকিউট) তো ওনাদের কথা বলবেনই। আমি আমার কথা বলবো। এটাই স্বাভাবিক। বিচার বিবেচনা করবে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল।’

আরও পড়ুন
হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ
হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ
এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র‌্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্ত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা করবেন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা প্রথম মামলা হিসেবে এর রায় হতে যাচ্ছে আজ।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন: বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

‘হাসিনাকে হাজারবার ফাঁসি দিলেও কম হবে’
রায় ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল রাত থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সামনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় প্রবেশকারী প্রত্যেককে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করছে।


প্রিন্ট