ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে টাংগাইলের তাঁত শিল্প

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার।।

টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ঈদ-পূজা, পহেলা বৈশাখে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি খুব চাহিদা।

করোনার ভাইরাস প্রথম লকডাউন ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই দ্বিতীয় কঠোর লকডাউন।

এই পরিস্থিতিতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার তাঁত শিল্প।

জীবিকার তাগিদে দু’একটি পরিবার স্বল্প পরিসরে তাঁত শিল্পের কাজ শুরু করলেও তৈরি করা শাড়ির বেচাকেনা নেই হাট-বাজারে।

এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন তাঁত শ্রমিকরা।

এইভাবে চলতে থাকলে হয়তো একসময় তাঁত থাকলেও তাঁতি থাকবে না।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামপুর, বেহালাবাড়ি ও বল্লা গ্রামে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করে তাঁত শিল্পে।

উৎপাদিত টাঙ্গাইলের শাড়ি ছড়িয়ে যায় সারা দেশে।

বর্তমান সময়ে তাঁতিরা তাদের শেষ মুহূর্তের ঈদের বাজার ধরতে দিনরাত তাঁত বুনানোর কাজ করে যাচ্ছে কিছু কিছু তাঁতিরা।

এই এলাকায় ৬০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পযর্ন্ত  টাঙ্গাইলের শাড়ি তৈরি হয়ে থাকে।

বল্লা তাঁত শাড়ির মহাজন’ সাজ্জত জানায়, করোনা ও বন্যায় আমাদের তাঁতের শাড়ি ব্যবসা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ।

আমার দুইটা তাঁতের শাড়ির কারখানা, ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আমি এখন একটা কারখানা চালাচ্ছি। এভাবে দেশ চললে এ শাড়ির কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

আমাদের কাছে লাখ লাখ টাকা নেই যে এখন লকডাউন সময় শাড়ি তৈরি করে গুদামজাত করবো এবং সময় ভালো হলে বিক্রি করে সংসার চালাবো। আমি সরকারি কোন সহযোগিতা ও ঋণ পাই নাই।

তাঁত বোর্ড লিয়াজোঁ অফিসার রাধা শ্যাম রায় জানান, কঠোর লকডাউন এর জন্য কিস্তি আদায় কম হচ্ছে। আমাদের এখানে থেকে ক্ষুদ্র ঋণ ১৬৯৫ জন আর বৃহত্তম ২৫ জন পেয়েছে।

কঠোর লকডাউন সরকারি কোন সহযোগিতা তাঁতিরা পাবে কিনা তা আমি জানিনা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে টাংগাইলের তাঁত শিল্প

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার।।

টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ঈদ-পূজা, পহেলা বৈশাখে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি খুব চাহিদা।

করোনার ভাইরাস প্রথম লকডাউন ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই দ্বিতীয় কঠোর লকডাউন।

এই পরিস্থিতিতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার তাঁত শিল্প।

জীবিকার তাগিদে দু’একটি পরিবার স্বল্প পরিসরে তাঁত শিল্পের কাজ শুরু করলেও তৈরি করা শাড়ির বেচাকেনা নেই হাট-বাজারে।

এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন তাঁত শ্রমিকরা।

এইভাবে চলতে থাকলে হয়তো একসময় তাঁত থাকলেও তাঁতি থাকবে না।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামপুর, বেহালাবাড়ি ও বল্লা গ্রামে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করে তাঁত শিল্পে।

উৎপাদিত টাঙ্গাইলের শাড়ি ছড়িয়ে যায় সারা দেশে।

বর্তমান সময়ে তাঁতিরা তাদের শেষ মুহূর্তের ঈদের বাজার ধরতে দিনরাত তাঁত বুনানোর কাজ করে যাচ্ছে কিছু কিছু তাঁতিরা।

এই এলাকায় ৬০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পযর্ন্ত  টাঙ্গাইলের শাড়ি তৈরি হয়ে থাকে।

বল্লা তাঁত শাড়ির মহাজন’ সাজ্জত জানায়, করোনা ও বন্যায় আমাদের তাঁতের শাড়ি ব্যবসা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ।

আমার দুইটা তাঁতের শাড়ির কারখানা, ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আমি এখন একটা কারখানা চালাচ্ছি। এভাবে দেশ চললে এ শাড়ির কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

আমাদের কাছে লাখ লাখ টাকা নেই যে এখন লকডাউন সময় শাড়ি তৈরি করে গুদামজাত করবো এবং সময় ভালো হলে বিক্রি করে সংসার চালাবো। আমি সরকারি কোন সহযোগিতা ও ঋণ পাই নাই।

তাঁত বোর্ড লিয়াজোঁ অফিসার রাধা শ্যাম রায় জানান, কঠোর লকডাউন এর জন্য কিস্তি আদায় কম হচ্ছে। আমাদের এখানে থেকে ক্ষুদ্র ঋণ ১৬৯৫ জন আর বৃহত্তম ২৫ জন পেয়েছে।

কঠোর লকডাউন সরকারি কোন সহযোগিতা তাঁতিরা পাবে কিনা তা আমি জানিনা।