ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিক দিবস জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার

পুনঃনির্মাণ শেষ না হলেও শুরু মহাসড়ক সংস্কার

বেনাপোল রিপোর্টার টিটু।।

যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। কাজ বুঝে দেওয়ার আগেই নওয়াপাড়া থেকে যশোর অভিমুখে যেতে প্রায় দশ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদফা ঠিক করার পরও একই অবস্থা বিরাজ করছে। নতুন রাস্তায় অল্প দিনের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে নানা রকম উঁচু-নিচু ঢিবি। তাই ঈদকে সামনে রেখে চলছে সংস্কারের কাজ ।

সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গাগেট এলাকায় সড়কের কিছু অংশ কেটে আবার কিছু অংশ খুঁড়ে পুনরায় তা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশ্নের উত্তরে সুপারভাইজার জানান, তিনি তেমন কিছু জানেন না, তবে সড়কের যে অংশ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে এবং ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, সেই অংশের কিছু জায়গা খুঁড়ে পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। কাজের মান কেমন হচ্ছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুই বলতে চাননি।

তাছাড়া সড়কের যে অংশ ফুলে গিয়ে রাস্তার মধ্যে উঁচু উঁচু ঢিবি তৈরি করেছে সেই অংশের মাথা কেটে সমান করে রেখে যাওয়া হচ্ছে। ফলে তার ওপর থেকে বিটুমিনসহ প্রয়োজনীয় উপাদান কাটা পড়ে শুধুমাত্র খোয়া থেকে যাচ্ছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে এবং তার ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা উঠলেই ছড়িয়ে যাবে। ফলে সড়কটি আবারো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

সুপারভাইজার বলেন, ‘আপাতত আমাদের কাজটা শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে- এমন নির্দেশনাই রয়েছে।’ কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে ভাঙাগেট এলাকার নিজাম সরদার বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের অভয়নগরের রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে রূপদিয়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তমা কনষ্ট্রাকশন’। কাজ শেষ না হতেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিটুমিন ও খোয়া একজায়গায় জড়ো হয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু উঁচু ঢিবির সৃষ্টি হয়। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। যে কারণে আমাদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তার কারণে প্রায়ই ঘটে দুঘর্টনা। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদের শিরোনামও হতে দেখা গেছে। আবার বিভিন্ন সময় এনিয়ে আন্দোলন সংগ্রামও হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণ কাজ সুসম্পন্ন হয়নি।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মকিত জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সড়ক দিয়ে শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে সারা দেশে সার-কয়লা, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ হয়ে থাকে। যে কারণে এ সড়কে ভারি যানবাহনের চলাচল অনেক বেশি। সেই হিসেব মাথায় রেখে এই সড়কটি পুনঃনির্মাণ ছাড়া স্থায়িত্ব আসবে না।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু সড়কে ওভারলোডসহ নানা কারণে উঁচু-নিচু ঢিবি হয়েছে। এজন্য জনদুর্ভোগ কমাতে ঈদের আগে এই রিপেয়ারিংয়ের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে রাস্তা খারাপ আছে শুধু সেই জায়গাগুলো রিপেয়ার করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সড়কের অবস্থা সম্পর্কে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবহিত। যেহেতু কাজ শেষ হয়নি তাই ঠিকাদারই তার খরচে সড়ক মেরামত করছেন। এখানে সরকারি অর্থ খরচ হচ্ছে না।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা

পুনঃনির্মাণ শেষ না হলেও শুরু মহাসড়ক সংস্কার

আপডেট টাইম : ০৮:০০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

বেনাপোল রিপোর্টার টিটু।।

যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। কাজ বুঝে দেওয়ার আগেই নওয়াপাড়া থেকে যশোর অভিমুখে যেতে প্রায় দশ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদফা ঠিক করার পরও একই অবস্থা বিরাজ করছে। নতুন রাস্তায় অল্প দিনের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে নানা রকম উঁচু-নিচু ঢিবি। তাই ঈদকে সামনে রেখে চলছে সংস্কারের কাজ ।

সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গাগেট এলাকায় সড়কের কিছু অংশ কেটে আবার কিছু অংশ খুঁড়ে পুনরায় তা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশ্নের উত্তরে সুপারভাইজার জানান, তিনি তেমন কিছু জানেন না, তবে সড়কের যে অংশ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে এবং ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, সেই অংশের কিছু জায়গা খুঁড়ে পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। কাজের মান কেমন হচ্ছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুই বলতে চাননি।

তাছাড়া সড়কের যে অংশ ফুলে গিয়ে রাস্তার মধ্যে উঁচু উঁচু ঢিবি তৈরি করেছে সেই অংশের মাথা কেটে সমান করে রেখে যাওয়া হচ্ছে। ফলে তার ওপর থেকে বিটুমিনসহ প্রয়োজনীয় উপাদান কাটা পড়ে শুধুমাত্র খোয়া থেকে যাচ্ছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে এবং তার ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা উঠলেই ছড়িয়ে যাবে। ফলে সড়কটি আবারো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

সুপারভাইজার বলেন, ‘আপাতত আমাদের কাজটা শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে- এমন নির্দেশনাই রয়েছে।’ কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে ভাঙাগেট এলাকার নিজাম সরদার বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের অভয়নগরের রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে রূপদিয়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তমা কনষ্ট্রাকশন’। কাজ শেষ না হতেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিটুমিন ও খোয়া একজায়গায় জড়ো হয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু উঁচু ঢিবির সৃষ্টি হয়। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। যে কারণে আমাদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তার কারণে প্রায়ই ঘটে দুঘর্টনা। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদের শিরোনামও হতে দেখা গেছে। আবার বিভিন্ন সময় এনিয়ে আন্দোলন সংগ্রামও হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণ কাজ সুসম্পন্ন হয়নি।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মকিত জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সড়ক দিয়ে শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে সারা দেশে সার-কয়লা, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ হয়ে থাকে। যে কারণে এ সড়কে ভারি যানবাহনের চলাচল অনেক বেশি। সেই হিসেব মাথায় রেখে এই সড়কটি পুনঃনির্মাণ ছাড়া স্থায়িত্ব আসবে না।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু সড়কে ওভারলোডসহ নানা কারণে উঁচু-নিচু ঢিবি হয়েছে। এজন্য জনদুর্ভোগ কমাতে ঈদের আগে এই রিপেয়ারিংয়ের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে রাস্তা খারাপ আছে শুধু সেই জায়গাগুলো রিপেয়ার করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সড়কের অবস্থা সম্পর্কে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবহিত। যেহেতু কাজ শেষ হয়নি তাই ঠিকাদারই তার খরচে সড়ক মেরামত করছেন। এখানে সরকারি অর্থ খরচ হচ্ছে না।