ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জমি দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে, এলাকাবাসীর মানবন্ধন জুতার মালা পরানোয় মায়াকান্না করছেন, গুমের জন্য তো সহানুভূতি শুনলাম না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ইরান, জাতিসংঘে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় বাজেটে নারী ও শিশু বান্ধব বিষয়ক আলোচনা সভা শহীদ কমান্ডারদের জানাজা কখন, জানাল ইরান বিএনপি মব সংস্কৃতির বিপক্ষে: জয়নুল আবদিন ফারুক হাসনাত আবদুল্লাহর অভিযোগ প্রসঙ্গে যা বলছে দুদক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘বিজয় উদযাপনে’ তেহরানে বিশাল র‌্যালী পিলখানা হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে: স্বাধীন তদন্ত কমিশন এমন বিজয়ের জন্য ইরানিদের গর্ব করা উচিত: পেজেশকিয়ান

শহীদ কমান্ডারদের জানাজা কখন, জানাল ইরান

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৮:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / ২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ছবি: বার্তা সংস্থা তাসনিম

সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনে শহীদ হওয়া ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের সম্মানে একটি ‘জাতীয় জানাজা’ শনিবার তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাধারণ জনগণ, সরকারি কর্মকর্তা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করবেন।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা তাসনিম বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়, গত ১৩ জুন ইসরাইল বিনা উসকানিতে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। যার ফলে ৬০০-এরও বেশি ইরানি নাগরিক শহীদ হন। যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক।

ইসরাইলি হামলায় শহীদদের মধ্যে ছিলেন-

ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি,
আইআরজিসি’র কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি,
খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ,
আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এবং
বেশ কয়েকজন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী।
ইসরাইলি আগ্রাসনের পরপরই ইরানি সামরিক বাহিনী পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে। অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ এর আওতায় আইআরজিসি’র এরোস্পেস ফোর্স ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যা অধিকৃত অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায় এবং ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির জন্য বাধ্য করে।

এদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও তার দপ্তরের প্রধান জেনারেল মাসউদ শানেয়ি-এর লাশ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাদের নিজ শহর গোলপায়েগানে দাফন করা হবে।

এছাড়া, শনিবার সকাল ৮টায় তেহরানে শহীদ কমান্ডারদের সম্মানে জাতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় শোক র‌্যালি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট থেকে শুরু হয়ে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত যাবে। এতে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শহীদ কমান্ডারদের জানাজা কখন, জানাল ইরান

আপডেট টাইম : ০৮:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ছবি: বার্তা সংস্থা তাসনিম

সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনে শহীদ হওয়া ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের সম্মানে একটি ‘জাতীয় জানাজা’ শনিবার তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাধারণ জনগণ, সরকারি কর্মকর্তা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করবেন।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা তাসনিম বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়, গত ১৩ জুন ইসরাইল বিনা উসকানিতে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। যার ফলে ৬০০-এরও বেশি ইরানি নাগরিক শহীদ হন। যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক।

ইসরাইলি হামলায় শহীদদের মধ্যে ছিলেন-

ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি,
আইআরজিসি’র কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি,
খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ,
আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এবং
বেশ কয়েকজন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী।
ইসরাইলি আগ্রাসনের পরপরই ইরানি সামরিক বাহিনী পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে। অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ এর আওতায় আইআরজিসি’র এরোস্পেস ফোর্স ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যা অধিকৃত অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায় এবং ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির জন্য বাধ্য করে।

এদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও তার দপ্তরের প্রধান জেনারেল মাসউদ শানেয়ি-এর লাশ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাদের নিজ শহর গোলপায়েগানে দাফন করা হবে।

এছাড়া, শনিবার সকাল ৮টায় তেহরানে শহীদ কমান্ডারদের সম্মানে জাতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় শোক র‌্যালি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট থেকে শুরু হয়ে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত যাবে। এতে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত।