ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আগুলিয়ায় ফেক হোয়াটসঅ্যাপ আইডি ও বিকাশ নম্বর ব্যবহার করে হয়রানির অভিযোগ চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের বাছাইকৃত কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত কাশিমপুরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ‘হানিফ সরিষার তৈল পোস্ট মাস্টার শ্বশুর জালিয়াতি করে ১৫ বছর যাবৎ দুই পদের বেতন আত্মসাৎ ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা খুলনায় মাহিন্দ্রা ও লরির সংঘর্ষে নিহত ৩ মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ১৭ মে: বাংলাদেশের অনেক ‘প্রথমের’ একদিন

পোস্ট মাস্টার শ্বশুর জালিয়াতি করে ১৫ বছর যাবৎ দুই পদের বেতন আত্মসাৎ

সরকার জামাল:
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / ২ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার এক পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে একসঙ্গে দুই পদে চাকরি করার ও বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভুলুন্দিয়া গ্রামের একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ কাতলাগাড়ী পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার পদে চাকুরি করছেন প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে পোস্ট অফিসের ‘পোস্ট অপারেটর’ পদে নিয়োগ দিয়ে তিনি নিজেই ঐ পদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিধি বহির্ভূত নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি অন্য কেউ নন, পোস্ট মাস্টার মনিরুজ্জামানের নিজের জামাতা শিমুল। কিন্তু খাতা-কলমে জামাতা থাকলেও বেতন ভাতা উঠান শ্বশুর নিজেই। অথচ তার জামাতা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় দীর্ঘ বছর ধরে চাকরি করছেন।
২০১১ সালে পোস্ট মাস্টার একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ তার ছোট জামাতা শিমুলের ভোটার আইডি, ছবি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র কৌশলে সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘পোস্ট অপারেটর’ পদে নিয়োগ দেন। বিষয়টি পোস্ট মাস্টার মনিরুজ্জামান গোপন রেখে এ পদের বিপরীতে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে।
গত ১৬ মে আলোর ছোঁয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সহকারী মহাসচিব সরকার জামাল-এর নেতৃত্বে ঢাকা থেকে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভুলুন্দিয়া গ্রামের একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ কাতলাগাড়ী পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। প্রতারণার ব্যাপারে অভিযুক্ত একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানে একই ব্যক্তির দুটি পদে চাকরি ও বেতন ভাতা নেয়া বিধি বহির্ভূত ও অন্যায়। আমার ভুল হয়েছে তবে বিষয়টি জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানেন।’ গোলাপের পুরো বক্তব্যের ভিডিও চিত্র ধারণ করা আছে প্রতিবেদকের কাছে। চাঞ্চল্যকর এই প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে, তিনি এ ঘটনার বিস্ময় প্রকাশ করে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
জেলা প্রধান পোস্ট মাস্টারকে এ বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান, একটি পোস্ট অফিস পোস্ট মাস্টার, পোস্ট অপারেটর ও রানার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং তাদের ভিন্ন ভিন্ন বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। এর ব্যত্যয়ে যদি জালিয়াতি করে একজন দু’টি পদের বেতন নিয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএম শাহাব উদ্দিন বলেন, চাকরি বিধি ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানে দুটি পদে অধিষ্ঠিত থাকা বেআইনী এবং বিধিমালা পরিপন্থী। আর জালিয়াতি করে বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে থাকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
আলোর ছোঁয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে শিঘ্রই এই জালিয়াতি করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎকারী একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ-এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলা করবে বলে জানান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পোস্ট মাস্টার শ্বশুর জালিয়াতি করে ১৫ বছর যাবৎ দুই পদের বেতন আত্মসাৎ

আপডেট টাইম : ০৩:২৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার এক পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে একসঙ্গে দুই পদে চাকরি করার ও বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভুলুন্দিয়া গ্রামের একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ কাতলাগাড়ী পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার পদে চাকুরি করছেন প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে পোস্ট অফিসের ‘পোস্ট অপারেটর’ পদে নিয়োগ দিয়ে তিনি নিজেই ঐ পদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিধি বহির্ভূত নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি অন্য কেউ নন, পোস্ট মাস্টার মনিরুজ্জামানের নিজের জামাতা শিমুল। কিন্তু খাতা-কলমে জামাতা থাকলেও বেতন ভাতা উঠান শ্বশুর নিজেই। অথচ তার জামাতা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় দীর্ঘ বছর ধরে চাকরি করছেন।
২০১১ সালে পোস্ট মাস্টার একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ তার ছোট জামাতা শিমুলের ভোটার আইডি, ছবি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র কৌশলে সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘পোস্ট অপারেটর’ পদে নিয়োগ দেন। বিষয়টি পোস্ট মাস্টার মনিরুজ্জামান গোপন রেখে এ পদের বিপরীতে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে।
গত ১৬ মে আলোর ছোঁয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সহকারী মহাসচিব সরকার জামাল-এর নেতৃত্বে ঢাকা থেকে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভুলুন্দিয়া গ্রামের একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ কাতলাগাড়ী পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। প্রতারণার ব্যাপারে অভিযুক্ত একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানে একই ব্যক্তির দুটি পদে চাকরি ও বেতন ভাতা নেয়া বিধি বহির্ভূত ও অন্যায়। আমার ভুল হয়েছে তবে বিষয়টি জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানেন।’ গোলাপের পুরো বক্তব্যের ভিডিও চিত্র ধারণ করা আছে প্রতিবেদকের কাছে। চাঞ্চল্যকর এই প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে, তিনি এ ঘটনার বিস্ময় প্রকাশ করে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
জেলা প্রধান পোস্ট মাস্টারকে এ বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান, একটি পোস্ট অফিস পোস্ট মাস্টার, পোস্ট অপারেটর ও রানার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং তাদের ভিন্ন ভিন্ন বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। এর ব্যত্যয়ে যদি জালিয়াতি করে একজন দু’টি পদের বেতন নিয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএম শাহাব উদ্দিন বলেন, চাকরি বিধি ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানে দুটি পদে অধিষ্ঠিত থাকা বেআইনী এবং বিধিমালা পরিপন্থী। আর জালিয়াতি করে বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে থাকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
আলোর ছোঁয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে শিঘ্রই এই জালিয়াতি করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎকারী একেএম মনিরুজ্জামান গোলাপ-এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলা করবে বলে জানান।