ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সংঘাত বাড়লে আরও ধুঁকবে পাকিস্তানের অর্থনীতি: মুডিস ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে যে শর্ত দিল পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে আজমিরীগঞ্জে সরকারি জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলছে কাজ নাসিরনগরের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত এক সাভারের মজিদপুর এলাকায় মেয়ের আদালতের দর্শনের শাস্তি বাবার মৃত্যুদণ্ড চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ১৯ আ. লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আ.লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে দ্রুতই সিদ্ধান্ত: অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি মুরগিসহ সবজির পণ্যর দাম আগুন ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু ইসলামিক দেশগুলোতেই কেন শান্তিহীনতা?

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে যে শর্ত দিল পাকিস্তান

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / ১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

পাকিস্তানকে ভারতবিরোধী যুদ্ধ বন্ধ করে উত্তেজনা প্রশমন করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

শনিবার পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সেখানে রুবিও পাকিস্তানকে এই আহ্বান জানান। খবর জিও টিভির।

জবাবে দার বলেন, পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী এবং উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত, তবে এর শর্ত হচ্ছে—ভারতকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, যদি ভারত উত্তেজনা বাড়ায়, তবে পাকিস্তান তার চেয়ে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ফলে উত্তেজনা প্রশমনের দায়ভার মূলত ভারতের ওপর বর্তায়।

এই বক্তব্য এমন সময় এল যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও কাশ্মীরে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। উভয় দেশই হামলা ও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মহল এ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ওই সময় পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ এও বলেছে, এক্ষেত্রে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সীমান্ত অতিক্রম করেনি তাদের বাহিনী।

পরবর্তীতে নয়াদিল্লি হামলা অব্যাহত রাখলে ভারতেও হামলা চালায় পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোয় অভিযান চালিয়েছে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, এই অভিযানে ফাতেহ-১ মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে যে শর্ত দিল পাকিস্তান

আপডেট টাইম : ০৬:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

পাকিস্তানকে ভারতবিরোধী যুদ্ধ বন্ধ করে উত্তেজনা প্রশমন করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

শনিবার পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সেখানে রুবিও পাকিস্তানকে এই আহ্বান জানান। খবর জিও টিভির।

জবাবে দার বলেন, পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী এবং উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত, তবে এর শর্ত হচ্ছে—ভারতকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, যদি ভারত উত্তেজনা বাড়ায়, তবে পাকিস্তান তার চেয়ে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ফলে উত্তেজনা প্রশমনের দায়ভার মূলত ভারতের ওপর বর্তায়।

এই বক্তব্য এমন সময় এল যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও কাশ্মীরে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। উভয় দেশই হামলা ও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মহল এ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ওই সময় পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ এও বলেছে, এক্ষেত্রে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সীমান্ত অতিক্রম করেনি তাদের বাহিনী।

পরবর্তীতে নয়াদিল্লি হামলা অব্যাহত রাখলে ভারতেও হামলা চালায় পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোয় অভিযান চালিয়েছে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, এই অভিযানে ফাতেহ-১ মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।