ভাঙ্গুড়ায় পল্লী পশু চিকিৎসক ও প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়ায় ধরা

- আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে উত্তমমাধ্যম এর শিকার হয়েছে সেলিম (২৫) নামের এক পল্লী পশু চিকিৎসক । শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নে আদাবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য সালিশে ৬ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে দিয়ে স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেলিম আগবহর এলাকার রশিদ প্রামানিকের ছেলে ও এক সন্তানের জনক। তিনি পেশায় একজন পল্লী পশু চিকিৎসক এবং আদাবাড়িয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী পাটুল এলাকায় তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে।
জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পশু চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। অপর দিকে আদাবারিয়া গ্রামের জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি স্থানীয় একাধিক মানুষ সামাজিকতা রক্ষায় তাদেরকে নিষেধ করে। কিন্তু স্বামী বিদেশ থাকায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
ঘটনার দিন গভীর রাতে পল্লী পশু চিকিৎসক সেলিম গোপনে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদেরকে হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদেরকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে আটকে রাখে। পরের দিন গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে স্থানীয় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের নামে সেলিম এর কাছ থেকে সালিশের খরচ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন স্থানীয়রা গ্রাম্য প্রধানরা। এর পরবর্তীতে ৬ লক্ষ টাকা কাবিন এর মাধ্যমে ওই জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীর সাথে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সালিশের প্রধান ইউনিয়ন বিএনপি নেতা লিটন আহম্মেদকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে ওই মহিলার চাচার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলেও তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঘটনার বিষয়ে আদাবাড়িয়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, সালিশের খরচ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন স্থানীয় গ্রাম্য প্রধানরা। এর পরবর্তীতে ৬ লক্ষ টাকা কাবিন এর মাধ্যমে দুই জনের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।