ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায়,ইসরাফিল খসরু:গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্বাচন চাই ডিসি অফিস এলএ শাখায় সেবাপ্রাপ্তিদের জিম্মি করে ঘুষ বানিজ্য ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের প্রত্যয়ে দৈনিক আজকের জীবন পত্রিকার আয়োজনে ইফতার মাহফিল পায়রা বন্দর অর্থনীতির জন্য বিষফোড়া : ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ: চিফ প্রসিকিউটর লক্ষ্মীপুর চার ডাকাত সদস্য আটক ওয়ানডে নয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ সেনাপ্রধান রিফাইন্ড আ. লীগের জন্য চাপ দেননি: সারজিস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব?

নেতানিয়াহুকে চিঠি, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / ৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ৪০ জনসহ মোট ২৫০ জিম্মির পরিবারের সদস্যরা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা নেতানিয়াহু সরকারকে গাজায় নতুন সামরিক অভিযান বন্ধ করে হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে বাকি ৫৯ জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

তারা এও সতর্ক করে বলেছে যে, তা না করলে জীবিত জিম্মিদের হত্যা করা হবে।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এই চিঠিটি রক্ত ও অশ্রু দিয়ে লেখা। এটি আমাদের সেসব বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যরা লিখেছেন যাদের প্রিয়জনদের বন্দিদশায় হত্যা করা হয়েছে এবং যারা চিৎকার করছে, ‘‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’’। আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুন এবং একটি চুক্তি সম্পূর্ণ করুন যা যুদ্ধ শেষ করার মূল্যে সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে দেবে। সামরিক চাপ তাদের বিপদে ফেলছে। সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেয়ে জরুরি আর কিছুই নেই। ’

এতে আরও লেখা হয়েছে, ‘আমরা সকলেই (যুদ্ধ বন্ধ) সমর্থন করি। যারা বন্দিদশা থেকে ফিরে এসেছে তারা ভয়াবহতা সহ্য করেছ, যারা এখনও গাজায় জিম্মি তাদের পরিবার আতঙ্কে অস্থির হয়ে আছে, যারা তাদের প্রিয়জনদের আলিঙ্গন করতে পেরেছেন এবং যারা তাদের প্রিয়জনকে দাফন করতে বাধ্য হয়েছেন, তারা ভাবতেন যে তারা বেঁচে ফিরতে পারতেন। ’

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে জীবিত জিম্মিদের হত্যা করা হয় এবং মৃতদের নিখোঁজ করা হয়। এটি কোনও স্লোগান নয়, এটি বাস্তবতা। ৪১ জন জিম্মি তাদের জীবন দিয়ে মূল্য দিয়েছেন, আমরা, তাদের পরিবারের সদস্যরা, মূল্য দিয়েছি। তারা ফিরে আসতে পারত, কিন্তু তারা ফিরে আসবে না। ’

জিম্মিদের বাঁচানো বা ফিরিয়ে না এনে অন্তহীন যুদ্ধ বেছে নেওয়ার জন্য এবং তাদের বলিদান দেওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনাও করা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, ‘এটি একটি অপরাধমূলক নীতি – আপনার ৫৯ জন জিম্মিকে বলি দেওয়ার কোনও এখতিয়ার নেই। ’

চিঠিটি যুদ্ধ বন্ধ করে অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে শেষ করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, ‘যুদ্ধ সমাপ্তি ও আগামীদিনের সমাধান খুঁজে বের করার বিনিময়েই সব জিম্মিদের মুক্তি। যদি আপনি তা না করেন, তাহলে পরবর্তী জিম্মির রক্ত (মৃত্যু) এবং সমস্ত জিম্মির ভাগ্য আপনার হাতে থাকবে। ’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইসরাইল ও হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তিতে সম্মত হয়, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ৪২ দিন স্থায়ী ছিল। এর অধীনে হামাস ৩০ জন জীবিত জিম্মি এবং আটজন নিহত বন্দীর মৃতদেহ ফেরত দেয়। এর বিনিময়ে মুক্তি পায় ইসরাইলি কারাগারে থাকা প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নেতানিয়াহুকে চিঠি, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ৪০ জনসহ মোট ২৫০ জিম্মির পরিবারের সদস্যরা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা নেতানিয়াহু সরকারকে গাজায় নতুন সামরিক অভিযান বন্ধ করে হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে বাকি ৫৯ জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

তারা এও সতর্ক করে বলেছে যে, তা না করলে জীবিত জিম্মিদের হত্যা করা হবে।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এই চিঠিটি রক্ত ও অশ্রু দিয়ে লেখা। এটি আমাদের সেসব বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যরা লিখেছেন যাদের প্রিয়জনদের বন্দিদশায় হত্যা করা হয়েছে এবং যারা চিৎকার করছে, ‘‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’’। আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুন এবং একটি চুক্তি সম্পূর্ণ করুন যা যুদ্ধ শেষ করার মূল্যে সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে দেবে। সামরিক চাপ তাদের বিপদে ফেলছে। সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেয়ে জরুরি আর কিছুই নেই। ’

এতে আরও লেখা হয়েছে, ‘আমরা সকলেই (যুদ্ধ বন্ধ) সমর্থন করি। যারা বন্দিদশা থেকে ফিরে এসেছে তারা ভয়াবহতা সহ্য করেছ, যারা এখনও গাজায় জিম্মি তাদের পরিবার আতঙ্কে অস্থির হয়ে আছে, যারা তাদের প্রিয়জনদের আলিঙ্গন করতে পেরেছেন এবং যারা তাদের প্রিয়জনকে দাফন করতে বাধ্য হয়েছেন, তারা ভাবতেন যে তারা বেঁচে ফিরতে পারতেন। ’

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে জীবিত জিম্মিদের হত্যা করা হয় এবং মৃতদের নিখোঁজ করা হয়। এটি কোনও স্লোগান নয়, এটি বাস্তবতা। ৪১ জন জিম্মি তাদের জীবন দিয়ে মূল্য দিয়েছেন, আমরা, তাদের পরিবারের সদস্যরা, মূল্য দিয়েছি। তারা ফিরে আসতে পারত, কিন্তু তারা ফিরে আসবে না। ’

জিম্মিদের বাঁচানো বা ফিরিয়ে না এনে অন্তহীন যুদ্ধ বেছে নেওয়ার জন্য এবং তাদের বলিদান দেওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনাও করা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, ‘এটি একটি অপরাধমূলক নীতি – আপনার ৫৯ জন জিম্মিকে বলি দেওয়ার কোনও এখতিয়ার নেই। ’

চিঠিটি যুদ্ধ বন্ধ করে অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে শেষ করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, ‘যুদ্ধ সমাপ্তি ও আগামীদিনের সমাধান খুঁজে বের করার বিনিময়েই সব জিম্মিদের মুক্তি। যদি আপনি তা না করেন, তাহলে পরবর্তী জিম্মির রক্ত (মৃত্যু) এবং সমস্ত জিম্মির ভাগ্য আপনার হাতে থাকবে। ’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইসরাইল ও হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তিতে সম্মত হয়, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ৪২ দিন স্থায়ী ছিল। এর অধীনে হামাস ৩০ জন জীবিত জিম্মি এবং আটজন নিহত বন্দীর মৃতদেহ ফেরত দেয়। এর বিনিময়ে মুক্তি পায় ইসরাইলি কারাগারে থাকা প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি।