সমাজ গঠনে শহীদ আব্দুল বাতেন ছিলেন আপোষহীন যোদ্ধা

- আপডেট টাইম : ০১:২৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
- / ২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সম্প্রীতিমূলক সমাজ গঠনে শহীদ আব্দুল বাতেন আপোষহীন যোদ্ধা ছিলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণআকাংখা অনুযায়ি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অর্ন্তভূক্তিমূলক দেশ প্রতিষ্ঠায় আব্দুল বাতেনকে আজ খুব দরকার ছিলো। মানবিক মোংলা গড়তে শহীদ আব্দুল বাতেন তরুন প্রজন্মকে আজো পথ দেখাবে। ১৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহীদ আব্দুল বাতেন’র ২১তম শাহাদত বার্ষকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় বক্তারা একথা বলেন। মোংলা নাগরিক সমাজ ও সার্ভিস বাংলাদেশ’র আয়োজনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় স্মরণ সভা ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক, শেখ রুস্তম আলী, খোরশেদ আলম, সুশাসনের জন্য নগরিক সুজন মোংলার সভাপতি ফ্রান্সিস সুদান হালদার, ফাদার রিগণ শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’র সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম, মোংলা সরকারি কলেজর শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. অসিত বসু, শহীদ আব্দুল বাতেন’র সহোদর মোঃ জসিম উদ্দিন, মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, সার্ভিস বাংলাদেশ’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শান্ত, লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশনের আঞ্চলিক সাধারণ মোঃ আনোয়ার হোসেন, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম ব্যাপারী প্রমূখ। সভাপতির বক্তব্যে মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ বলেন রাজনৈতিক দলের বাইরে এসে আব্দুল বাতেন সব শ্রেণীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। মোংলাপোর্ট পৌরসভা প্রতিষ্ঠা, শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও সম্প্রীতির মোংলা বিনির্মানে শহীদ আব্দুল বাতেন আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। স্মরণ সভা শেষে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুর রউফ। উল্লেখ্য মোংলাপোর্ট পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মোংলা সরকারি কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, খ্যাতিমান শ্রমিক নেতা, শিক্ষানুরাগী শহীদ আব্দুল বাতেনকে ২০০৪ সালের ১৮ মার্চ নিজ বাড়ীর সামনে দূর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।