ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর হোসেন, সহ-সভাপতি ওমর আলী ও সম্পাদক আব্দুর রউফ এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জড়িয়ে মামলা করিয়ে জিম্মি দশায় নীরব চাঁদাবাজির অভিযোগে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন টাঙ্গাইলের ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, গত ২০২৪এর জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আহত হওয়া ব্যক্তিদের ঘটনা উল্লেখ করে প্রকৃত অর্থে বিচার না চেয়ে বানোয়াট মামলায় আসামী অন্তর্ভুক্ত করে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীদের। পরবর্তী সময়কাল শুধু একাধিক মামলা ও বাদি বানিয়ে চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্য, এভিডেভিড বাণিজ্য করে আর্থিক লাভবান হচ্ছে এই বিএনপির সাইনবোর্ডধারী নেতারা।

চলমান চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হওয়া বিষয় টি সোচ্চার ভূমিকায় রয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
গতকাল ১৫জানুয়ারী বুধবার দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এ অভিযোগের সুত্রটি জানতে পেলে তাদের একটি বিশ্বস্ত সুত্র বিএনপির নামদারি বিভিন্ন জেলা, উপজেলার চাঁদাবাজি দমনে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আশ্বাস দেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন তারা।

মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, গত কয়েক দিন আগে টাঙ্গাইল শহরতলীর শান্তিকুঞ্জ মোড় বেপারীপাড়া এলাকার ঠুঙ্গা জয়নাল বিএনপির নেতা আশরাফ পাহেলীর নির্দেশে একটি বানোয়াট মামলায় আসামী অন্তর্ভুক্ত করে সাধারণ মানুষ ও পার্কবাজার ব্যবসায়ীদের, এ নিয়ে মানববন্ধন করা হয়।

এছাড়া, জেলার নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়ন এর ওবায়দুর, শহিদ, সুমন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ ও গুলশানের মহিলা এমপি হাসিনা বারির সাথে ছবি রয়েছে। তারা এখন পাকুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা হয় কিভাবে? এটা কি দলে অনুপ্রবেশকারী নয়।
এ বিষয় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি এদের কাউকে চিনিনা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সম্পাদক মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত
অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি দল থেকে পদত্যাগ করব।

এদিকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় হয়রানির শিকার হওয়া একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কয়েকদিন আগে মামলা দায়ের করে বিএনপির নামদারি গালার চর গ্রামের রফিক, নিরীহ মানুষদের হয়রানী করে হুমকি ও টাকা আদায় করেছে। মামলাবাজ রফিক কে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির দু/এক নেতা মদদ দিয়ে থাকে।

আবার ঠুঙ্গা জয়নাল বিএনপির নেতা-কর্মীদের ইশারায় পাকুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল স্বাক্ষরিত মনোনীত ইউপিচেয়ারম্যানকে মো: ছিদ্দিকুর রহমানকেও বানোয়াট মামলায় আসামী করা হয়।

ইতিমধ্যে, টাঙ্গাইল শহরতলীর রাকিব(২৪) নামের ব্যক্তিকে দিয়ে সদর বিএনপি আজগর ও রউফ এর নেতৃত্বে সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতের ঘটনা কেন্দ্র করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয় সাংবাদিক, শিক্ষক ও নানাপেশাজীবি ব্যক্তিবর্গদের।

যাদেরকে আহত উল্লেখ করে মামলা সাজানো হয়েছে, তাতে ওসব ব্যক্তিরা মামলা দায়ের সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলেও তারা জানান।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভুক্তভোগী জনৈক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, টাঙ্গাইল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হুকুমে হচ্ছে বানোয়াট মামলা, চাঁদাবাজি ও বাণিজ্য। যারা এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে যায়, তাদেরকে হত্যা মামলায় আসামী অন্তর্ভুক্ত করতে হুকুম দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির এসব কর্মকান্ডে দিন দিন সর্বস্তরের মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। এরা এখন চাঁদাবাজ, মামলাবাজ হিসাবে সকলের চোখের কাটা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ!

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর হোসেন, সহ-সভাপতি ওমর আলী ও সম্পাদক আব্দুর রউফ এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জড়িয়ে মামলা করিয়ে জিম্মি দশায় নীরব চাঁদাবাজির অভিযোগে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন টাঙ্গাইলের ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, গত ২০২৪এর জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আহত হওয়া ব্যক্তিদের ঘটনা উল্লেখ করে প্রকৃত অর্থে বিচার না চেয়ে বানোয়াট মামলায় আসামী অন্তর্ভুক্ত করে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীদের। পরবর্তী সময়কাল শুধু একাধিক মামলা ও বাদি বানিয়ে চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্য, এভিডেভিড বাণিজ্য করে আর্থিক লাভবান হচ্ছে এই বিএনপির সাইনবোর্ডধারী নেতারা।

চলমান চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হওয়া বিষয় টি সোচ্চার ভূমিকায় রয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
গতকাল ১৫জানুয়ারী বুধবার দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এ অভিযোগের সুত্রটি জানতে পেলে তাদের একটি বিশ্বস্ত সুত্র বিএনপির নামদারি বিভিন্ন জেলা, উপজেলার চাঁদাবাজি দমনে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আশ্বাস দেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন তারা।

মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, গত কয়েক দিন আগে টাঙ্গাইল শহরতলীর শান্তিকুঞ্জ মোড় বেপারীপাড়া এলাকার ঠুঙ্গা জয়নাল বিএনপির নেতা আশরাফ পাহেলীর নির্দেশে একটি বানোয়াট মামলায় আসামী অন্তর্ভুক্ত করে সাধারণ মানুষ ও পার্কবাজার ব্যবসায়ীদের, এ নিয়ে মানববন্ধন করা হয়।

এছাড়া, জেলার নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়ন এর ওবায়দুর, শহিদ, সুমন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ ও গুলশানের মহিলা এমপি হাসিনা বারির সাথে ছবি রয়েছে। তারা এখন পাকুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা হয় কিভাবে? এটা কি দলে অনুপ্রবেশকারী নয়।
এ বিষয় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি এদের কাউকে চিনিনা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সম্পাদক মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত
অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি দল থেকে পদত্যাগ করব।

এদিকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় হয়রানির শিকার হওয়া একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কয়েকদিন আগে মামলা দায়ের করে বিএনপির নামদারি গালার চর গ্রামের রফিক, নিরীহ মানুষদের হয়রানী করে হুমকি ও টাকা আদায় করেছে। মামলাবাজ রফিক কে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির দু/এক নেতা মদদ দিয়ে থাকে।

আবার ঠুঙ্গা জয়নাল বিএনপির নেতা-কর্মীদের ইশারায় পাকুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল স্বাক্ষরিত মনোনীত ইউপিচেয়ারম্যানকে মো: ছিদ্দিকুর রহমানকেও বানোয়াট মামলায় আসামী করা হয়।

ইতিমধ্যে, টাঙ্গাইল শহরতলীর রাকিব(২৪) নামের ব্যক্তিকে দিয়ে সদর বিএনপি আজগর ও রউফ এর নেতৃত্বে সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতের ঘটনা কেন্দ্র করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয় সাংবাদিক, শিক্ষক ও নানাপেশাজীবি ব্যক্তিবর্গদের।

যাদেরকে আহত উল্লেখ করে মামলা সাজানো হয়েছে, তাতে ওসব ব্যক্তিরা মামলা দায়ের সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলেও তারা জানান।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভুক্তভোগী জনৈক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, টাঙ্গাইল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হুকুমে হচ্ছে বানোয়াট মামলা, চাঁদাবাজি ও বাণিজ্য। যারা এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে যায়, তাদেরকে হত্যা মামলায় আসামী অন্তর্ভুক্ত করতে হুকুম দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির এসব কর্মকান্ডে দিন দিন সর্বস্তরের মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। এরা এখন চাঁদাবাজ, মামলাবাজ হিসাবে সকলের চোখের কাটা।