ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ Logo তৌহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আসামিদের আইনজীবী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার (২২ অক্টোবর) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

সকালে ঢাকার ট্রাইব্যুনাল-১–এ হাজির করা হয় এই কর্মকর্তাদের। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাঁদের সাবজেলে রাখার নির্দেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রিজন ভ্যানে করে সকাল ১০টার দিকে তাঁদের ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আনা হয়। পরে শুনানি শেষে কারাগারে প্রেরণের জন্য তাঁদের ফের প্রিজন ভ্যানে তুলে নেওয়া হয়।

তাঁদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মক্কেলদের সাবজেলে রাখা হবে।”

এই মামলাগুলোর মধ্যে দুটি বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় এবং একটি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গত ৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গ্রহণ করে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এরপর ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন ছিলেন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর)।

পরদিন ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যেখানে বলা হয়—ঢাকা সেনানিবাসের এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে।

কারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে); র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম; বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম; ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আসামিদের আইনজীবী

আপডেট সময় ১২:১৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার (২২ অক্টোবর) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

সকালে ঢাকার ট্রাইব্যুনাল-১–এ হাজির করা হয় এই কর্মকর্তাদের। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাঁদের সাবজেলে রাখার নির্দেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রিজন ভ্যানে করে সকাল ১০টার দিকে তাঁদের ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আনা হয়। পরে শুনানি শেষে কারাগারে প্রেরণের জন্য তাঁদের ফের প্রিজন ভ্যানে তুলে নেওয়া হয়।

তাঁদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মক্কেলদের সাবজেলে রাখা হবে।”

এই মামলাগুলোর মধ্যে দুটি বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় এবং একটি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গত ৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গ্রহণ করে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এরপর ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন ছিলেন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর)।

পরদিন ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যেখানে বলা হয়—ঢাকা সেনানিবাসের এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে।

কারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে); র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম; বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম; ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।


প্রিন্ট