ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ী ফাটলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি।।
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:২৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • / ৬০ ৫০০০.০ বার পাঠক

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পাতরাপাড়া এলাকার ঘরবাড়ী ফাটলের জন্য দ্রুত ক্ষতিপূরন দেওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীরা।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন পাতরাপাড়া মোড়ে ক্ষতিপুরনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ মুনতাসির আফসানি মুন্না।
এ সময় উপস্থিত থেকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন, মোঃ মনিরম্নজ্জামান, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন হিটলার, মোঃ আবুল কালাম আজাদ নুর মোহাম্মদ, মোঃ কিবরিয়া। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জানান, আমাদের ২০০৯ সালে পেট্রোবাংলা সাথে সমঝোতা স্মারকে ১০ দফা দাবী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই ১০ দফা চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন করা হয় নাই। এই ১০ দফা চুক্তি দ্রম্নত বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমাদের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তিতে কে বা কাহারা পেশি শক্তি ব্যবহার করে সোলার প্রকল্প এর নামে জোর জবরদস্তি করে দখল করার পায়তারা করছে। এতে খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ক্ষিপ্ত, যাহা সম্পর্কে আমরা কেউ অবগত নই। জবরদখলের প্রতিবাদ করায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার অসহায় কিছু মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। আমরা সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি, এই মিথ্যা মামলা অতিদ্রম্নত প্রত্যাহার করা হউক। এই এলাকার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি দেশে না আসা পর্যন্ত কোন প্রকার সোলার প্রকল্পের কার্যক্রম চালানো যাবে না। অতিদ্রম্নত প্রায় ২যুগ থেকে পড়া থাকা একমাত্র চলাচলের রাস্তা মেরামত করতে হবে। জেলা প্রশাসক অফিসে আটকে থাকা কয়লা খনির অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকা সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করতে হবে এবং হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কয়খনির কিছু কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু অসাধু কোম্পানী স্থানীয় কিছু প্রতিনিধির সহযোগীতায় এই জমিতে ঘেরা বেড়া দিচ্ছে তা দ্রম্নত সরিয়ে ফেলতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমাদের ফাটা ঘরবাড়ীর টাকা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জনগণের মাঝে প্রদান করতে হবে।
এ সময় তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা বলেন, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জনগণের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে দাবীগুলো দ্রম্নত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি।
আগামী ০৭ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণসহ দাবী দাওয়া বাস্তবায়ন না হলে, কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ী ফাটলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:২৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পাতরাপাড়া এলাকার ঘরবাড়ী ফাটলের জন্য দ্রুত ক্ষতিপূরন দেওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীরা।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন পাতরাপাড়া মোড়ে ক্ষতিপুরনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ মুনতাসির আফসানি মুন্না।
এ সময় উপস্থিত থেকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন, মোঃ মনিরম্নজ্জামান, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন হিটলার, মোঃ আবুল কালাম আজাদ নুর মোহাম্মদ, মোঃ কিবরিয়া। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জানান, আমাদের ২০০৯ সালে পেট্রোবাংলা সাথে সমঝোতা স্মারকে ১০ দফা দাবী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই ১০ দফা চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন করা হয় নাই। এই ১০ দফা চুক্তি দ্রম্নত বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমাদের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তিতে কে বা কাহারা পেশি শক্তি ব্যবহার করে সোলার প্রকল্প এর নামে জোর জবরদস্তি করে দখল করার পায়তারা করছে। এতে খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ক্ষিপ্ত, যাহা সম্পর্কে আমরা কেউ অবগত নই। জবরদখলের প্রতিবাদ করায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার অসহায় কিছু মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। আমরা সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি, এই মিথ্যা মামলা অতিদ্রম্নত প্রত্যাহার করা হউক। এই এলাকার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি দেশে না আসা পর্যন্ত কোন প্রকার সোলার প্রকল্পের কার্যক্রম চালানো যাবে না। অতিদ্রম্নত প্রায় ২যুগ থেকে পড়া থাকা একমাত্র চলাচলের রাস্তা মেরামত করতে হবে। জেলা প্রশাসক অফিসে আটকে থাকা কয়লা খনির অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকা সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করতে হবে এবং হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কয়খনির কিছু কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু অসাধু কোম্পানী স্থানীয় কিছু প্রতিনিধির সহযোগীতায় এই জমিতে ঘেরা বেড়া দিচ্ছে তা দ্রম্নত সরিয়ে ফেলতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমাদের ফাটা ঘরবাড়ীর টাকা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জনগণের মাঝে প্রদান করতে হবে।
এ সময় তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা বলেন, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জনগণের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে দাবীগুলো দ্রম্নত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি।
আগামী ০৭ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণসহ দাবী দাওয়া বাস্তবায়ন না হলে, কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা।