ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে
- আপডেট টাইম : ১২:৩৪:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / ৬৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিএনপি ও জামায়াতের কোনো সমর্থক এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় গোপন কৌশলে ভোট কেন্দ্রে ভোটার নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থনকারিরা। আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা নিজেদের মধ্যেই একজন আরেকজনকে প্রতিপক্ষ মেনে নেয়েই নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে। বর্তমানে যারা প্রার্থী আছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যেহেতু বিএনপি ভোটের মাঠে নেই তাই সাধারণ ভোটারদের টানতে ব্যাস্ত সকল প্রার্থীরা। তবে সাধারণ ভোটারদের মনেও এবারের নির্বাচন নিয়ে অনেকটা আগ্রহ উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা যেমন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার টানতেন ব্যাস্ত সময় পার করছে অপরদিকে সাধারণ ভোটারদের ভেবে চিন্তে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য প্রার্থীদের ব্যাপারেও খোজ খবর রাখছেন। অপরদিকে প্রার্থীরাও নিজ নিজ সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছে বিজয়ী হওয়ার জন্য।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন বরাবরের মতো এবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠ হবে। এবার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আইন মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের একান্ত সচিব রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন। তিনি আনারস মার্কা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন। অপরদিকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান স্বপ্ন। তিনি কাপ পিরিচ মার্কা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন।
এছাড়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তালা মার্কা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন মনির হোসেন। আর প্রতিপক্ষ চশমা মার্কা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন শফিকুল ইসলাম শফিক। তিনি কসবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদন্ধিতায় নির্বাচিত হয়ে আছেন সাইদ সুলতানা সুপ্রিয়া।
নির্বাচন অফিসের তত্ত্বে অনুযায়ী কসবা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২,৮১,৩৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হলো ১,৪৬,৪৮৪জন এবং মহিলা ভোটার হলো ১,৩৪,৮৮০ জন।