ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১ ফুলবাড়ীতে মহান মে দিবস পালিত মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন ভারতের যৌন কর্মীদের শ্রমিকের অধিকার চায়, সাথে নিরাপত্তা ও সামাজিক ন্যায়। রায়পুরে মাদ্রাসারছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণনের অভিযোগ

বিরামপুরে শ্বশুর কতৃক পুত্রবধূকে যৌনহেনস্তার অভিযোগ

দিনাজপুর  জেলা প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার  ৬ নং ওয়ার্ডের হাবিবপুর গ্রামের বেলাল হোসেন (৬৫) তার ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) কে গত ২০২০ সালের  ১৬আগস্ট তারিখে বিরামপুর উপজেলার ৬নং জোতবানি ইউনিয়নের দেউল গ্রামের  মাহাবুর রহমান (৫০)মেয়ে মোস্তারিনা আক্তার সিখা (১৫) এর সহিত বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় শশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় মোস্তারিনার স্বামী সংসারে আশ্রয় হয়নি। দেনমোহরের প্রাপ্য বুঝে পেতে মোস্তারিনা আদালতে স্বরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানান। সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  ওই বিয়ের কনে ও বরের পক্ষে  সাক্ষী ছিলেন(১) মোঃ আঃ রসিদ ও বরের আপন বড় বোনজামাই দেউল গ্রামের মোঃসিরাজুল ইসলাম। এবং উক্ত আলোচিত বিয়েটি মৌলভী হিসেবে পড়িয়েছিলেন উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের নবিরউদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল গফুর। বিয়েটি কাজি মফেজউদ্দিনের নিজ বাড়িতে নিজহাতেই নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন সম্পদান করেন বলে উক্ত নিকাহনামায় সাক্ষ্য প্রদানকারী আঃ রসিদ,সিরাজুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও মাহাফুজ সরকার সহ আরো অনেকে নিশ্চিত করেছেন। বিয়ের সময় মোস্তারিনার বয়স ছিল ১৩ বৎসর। অপ্রাপ্ত বয়সে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ মফেজউদ্দিন কিভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন তা কাহারো বোধগম্য নয়। উক্ত বিয়েতে দেনমোহর করা হয় ছয় লক্ষ টাকা।
অপরদিকে বিয়ের পর মোস্তারিনা কে ওই দিনে তার শ্বশুর বাড়ি হাবিবপুর নিয়ে আসে। এবং কয়েকদিন পর থেকেই শ্বশুর বেলাল হোসেন পুত্র বধু মোস্তারিনার দিকে লোলুপ্ত দৃষ্টিতে দেখা শুরু করেন বলে নাবালিকা পুত্রবধু মোস্তারিনা জানান।
এর কিছু দিন পর পুত্রবধু  যখন বাড়িতে একা থাকেন তখন সুজোগবুঝে শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূকে মাথাচাপিয়ে নেয়ার অজুহাতে কাছে ডাকতেন, সে না আসলে ধমক দিয়ে কাছে আনতেন। এবং পুত্রবধূর হাঁটুর উপর মাথা দিয়ে শুয়ে মাথা চাপিয়ে দিতে বলতেন। এর একপর্যায়ে  শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূ মোস্তারিনার বুকে হাত দিতেন। পুত্রবধু  শশুরের এমন কুকর্মের কথা স্বামী মিজানুর কে বললে স্বামী মিজানুর উল্টো স্ত্রী মোস্তারিনাকে ধমক দেন ও বলেন এ কথা যদি কেউ যানে তাহলে তোকে তালাক দিবো। ঘটনার বিসয়ে মোস্তারিনার শশুর বেলাল হোসেনের নিকট যানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও যানান, আমার পুত্র বধু মোস্তারিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, তবে কাজী মফেজউদ্দিন সহ ঐ বিয়ে রেজিষ্ট্রি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মিথ্যা নাটককারীদের বিরুদ্ধে আসল সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আইনি সহায়তা চেয়ে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। সেটি এখন জেলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ( PBI) এ তদন্তনাধীন রয়েছে।
আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ

বিরামপুরে শ্বশুর কতৃক পুত্রবধূকে যৌনহেনস্তার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
দিনাজপুর  জেলা প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার  ৬ নং ওয়ার্ডের হাবিবপুর গ্রামের বেলাল হোসেন (৬৫) তার ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) কে গত ২০২০ সালের  ১৬আগস্ট তারিখে বিরামপুর উপজেলার ৬নং জোতবানি ইউনিয়নের দেউল গ্রামের  মাহাবুর রহমান (৫০)মেয়ে মোস্তারিনা আক্তার সিখা (১৫) এর সহিত বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় শশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় মোস্তারিনার স্বামী সংসারে আশ্রয় হয়নি। দেনমোহরের প্রাপ্য বুঝে পেতে মোস্তারিনা আদালতে স্বরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানান। সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  ওই বিয়ের কনে ও বরের পক্ষে  সাক্ষী ছিলেন(১) মোঃ আঃ রসিদ ও বরের আপন বড় বোনজামাই দেউল গ্রামের মোঃসিরাজুল ইসলাম। এবং উক্ত আলোচিত বিয়েটি মৌলভী হিসেবে পড়িয়েছিলেন উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের নবিরউদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল গফুর। বিয়েটি কাজি মফেজউদ্দিনের নিজ বাড়িতে নিজহাতেই নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন সম্পদান করেন বলে উক্ত নিকাহনামায় সাক্ষ্য প্রদানকারী আঃ রসিদ,সিরাজুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও মাহাফুজ সরকার সহ আরো অনেকে নিশ্চিত করেছেন। বিয়ের সময় মোস্তারিনার বয়স ছিল ১৩ বৎসর। অপ্রাপ্ত বয়সে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ মফেজউদ্দিন কিভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন তা কাহারো বোধগম্য নয়। উক্ত বিয়েতে দেনমোহর করা হয় ছয় লক্ষ টাকা।
অপরদিকে বিয়ের পর মোস্তারিনা কে ওই দিনে তার শ্বশুর বাড়ি হাবিবপুর নিয়ে আসে। এবং কয়েকদিন পর থেকেই শ্বশুর বেলাল হোসেন পুত্র বধু মোস্তারিনার দিকে লোলুপ্ত দৃষ্টিতে দেখা শুরু করেন বলে নাবালিকা পুত্রবধু মোস্তারিনা জানান।
এর কিছু দিন পর পুত্রবধু  যখন বাড়িতে একা থাকেন তখন সুজোগবুঝে শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূকে মাথাচাপিয়ে নেয়ার অজুহাতে কাছে ডাকতেন, সে না আসলে ধমক দিয়ে কাছে আনতেন। এবং পুত্রবধূর হাঁটুর উপর মাথা দিয়ে শুয়ে মাথা চাপিয়ে দিতে বলতেন। এর একপর্যায়ে  শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূ মোস্তারিনার বুকে হাত দিতেন। পুত্রবধু  শশুরের এমন কুকর্মের কথা স্বামী মিজানুর কে বললে স্বামী মিজানুর উল্টো স্ত্রী মোস্তারিনাকে ধমক দেন ও বলেন এ কথা যদি কেউ যানে তাহলে তোকে তালাক দিবো। ঘটনার বিসয়ে মোস্তারিনার শশুর বেলাল হোসেনের নিকট যানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও যানান, আমার পুত্র বধু মোস্তারিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, তবে কাজী মফেজউদ্দিন সহ ঐ বিয়ে রেজিষ্ট্রি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মিথ্যা নাটককারীদের বিরুদ্ধে আসল সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আইনি সহায়তা চেয়ে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। সেটি এখন জেলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ( PBI) এ তদন্তনাধীন রয়েছে।