ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন ফুলবাড়ীতে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্ভোদন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০জন প্রার্থী ব্যপক প্রচার-প্রচারণায় মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির মোটরসাইকেলের গনসংযোগ জনগণের ব্যাপক সাড়া জামালপুরে ধান কাটার মৌসুম শুরু

ঘাটাইলে ব্যবসায়ীর হাত-পায়ের রগ কেটে সর্বস্ব লুট

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে নেশা খাইয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে জুলহাস (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার গভীর রাতে ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের ছামনা মধ্যপাড়া হাজি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী জুলহাস (২৮) উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের ছামনা মধ্যপাড়ার (হাজিবাড়ির) মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত জুলহাসকে অচেতন অবস্থায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

জুলহাসের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে জুলহাস তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। দুপুরের খাবার খেয়ে স্ত্রীকে রেখে বিকালেই দোকানে চলে আসে। বাড়ির পাশেই মাটিকাটা বাজারে তার মনোহারী দোকান। মনোহারীর পাশাপাশি বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসাও করেন তিনি।

শুক্রবার রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসেন। পরে মায়ের সাথে রাতের খাবার খেয়ে একাই নিজের ঘরে ঘুমাতে যান।

শনিবার সকালে জুলহাসকে না দেখে তার মা জুসনা বেগম জুলহাসের ঘরে ডাকতে যান। এ সময় ঘরের দরজা খোলা দেখে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন জুলহাস রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন এসে জুলহাসকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জুলহাসের ছোট ভাই জহুরুল জানান, ‘হামলাকারীরা আমার ভাইকে নেশা খাওয়াইয়া ডান পা ও বাম হাতের রগ কেটে দেয় এবং গলায় ও শরীরে জখম করে। এ সময় তার বিকাশের মোবাইল ও সঙ্গে থাকা নগদ টাকা নিয়ে গেছে। আমার ভাই এখনো অচেতন অবস্থায় টাঙ্গাইল হাসপাতালে রয়েছে।’

এ বিষয়ে দিগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।

ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে

ঘাটাইলে ব্যবসায়ীর হাত-পায়ের রগ কেটে সর্বস্ব লুট

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৪০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে নেশা খাইয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে জুলহাস (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার গভীর রাতে ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের ছামনা মধ্যপাড়া হাজি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী জুলহাস (২৮) উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের ছামনা মধ্যপাড়ার (হাজিবাড়ির) মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত জুলহাসকে অচেতন অবস্থায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

জুলহাসের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে জুলহাস তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। দুপুরের খাবার খেয়ে স্ত্রীকে রেখে বিকালেই দোকানে চলে আসে। বাড়ির পাশেই মাটিকাটা বাজারে তার মনোহারী দোকান। মনোহারীর পাশাপাশি বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসাও করেন তিনি।

শুক্রবার রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসেন। পরে মায়ের সাথে রাতের খাবার খেয়ে একাই নিজের ঘরে ঘুমাতে যান।

শনিবার সকালে জুলহাসকে না দেখে তার মা জুসনা বেগম জুলহাসের ঘরে ডাকতে যান। এ সময় ঘরের দরজা খোলা দেখে ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন জুলহাস রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন এসে জুলহাসকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জুলহাসের ছোট ভাই জহুরুল জানান, ‘হামলাকারীরা আমার ভাইকে নেশা খাওয়াইয়া ডান পা ও বাম হাতের রগ কেটে দেয় এবং গলায় ও শরীরে জখম করে। এ সময় তার বিকাশের মোবাইল ও সঙ্গে থাকা নগদ টাকা নিয়ে গেছে। আমার ভাই এখনো অচেতন অবস্থায় টাঙ্গাইল হাসপাতালে রয়েছে।’

এ বিষয়ে দিগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।

ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।