ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ছাত্রদলের ঈদ উপহার বিতরণ জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: ড. ইউনূস ভারত মহাসাগরের যে ঘাঁটি থেকে ইরানকে টার্গেট করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা শ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত -২ ফের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে গাজায় ইংল্যান্ডে ঘাপটি মেরে আছে জার্মানির গুপ্তচর নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় এ আর মামুন খানের উদ্যোগে ছয় সাংবাদিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

স্বভাবসিদ্ধ সুন্নাতের আমল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৫৬১ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলাম মানব জাতীর জন্য সব সময় কল্যাণের। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে স্বভাবগতভাবে যে কাজগুলো নিয়মিত করতে হয়, সে বিষয়গুলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে ওঠে এসেছে। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দশটি কাজ স্বভাবগত- মোচ কাটা,  নখ কাটা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পাকি দেয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের পশম কামানো, পেশাবের পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা এবং শৌচকর্ম করা। মুসআব ইবনে শায়ার বলেন, আমি দশম কথাটি ভুলে গেছি সম্ভবত তা হলো কুলি করা। (নাসাঈ)

হাদিসের শিক্ষা-
ক. পানি খাওয়ার সময় মোচে পানি না লাগে এ পরিমাণ মোচ ছোট রাখা।
খ. নখ কাটা, যাতে নভের ভিতর ময়লা জমে না যায়।
গ. শরীরের যে সমস্ত জায়গায় পানি পৌঁছা সহজ নয় তা ভালোভাবে ধৌত করা।
ঘ. দাড়ি কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ লম্বা রাখা।
ঙ. নাক পরিষ্কপা রাখা
চ. মুখের দুর্গন্ধ থেকে হিফাজত থাকতে খাওয়া-দাওয়া, ওজু, গোসলের পূর্বে মিসওয়াক ও উত্তমরূপে কুলি করা।
ছ. বগলের অযাচিত পশম উপড়ে ফেলা।
জ. নাভির নিচের পশম ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই পরিষ্কার করা।
ঝ. পেশাব ও সৌচকার্যে পানি ব্যবহার করে উত্তমরূপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

উপরোল্লিখিত ফিতরাত বা স্বভাবগত হওয়ার অর্থ এ কাজগুলো ইসলাম পূর্ব সব দ্বীনের অংশ। সমস্ত নবি-রাসুলগণ এর শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যেন এগুলো স্বভাবেরই চাহিদা। যে কারণে উপরোক্ত বিষয়গুলো কোনো নবির শিক্ষা থেকেই বাদ যায়নি।

আল্লাহ তাআলা এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বভাবসিদ্ধ সুন্নাতের আমল

আপডেট টাইম : ০৫:১৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলাম মানব জাতীর জন্য সব সময় কল্যাণের। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে স্বভাবগতভাবে যে কাজগুলো নিয়মিত করতে হয়, সে বিষয়গুলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে ওঠে এসেছে। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দশটি কাজ স্বভাবগত- মোচ কাটা,  নখ কাটা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পাকি দেয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের পশম কামানো, পেশাবের পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা এবং শৌচকর্ম করা। মুসআব ইবনে শায়ার বলেন, আমি দশম কথাটি ভুলে গেছি সম্ভবত তা হলো কুলি করা। (নাসাঈ)

হাদিসের শিক্ষা-
ক. পানি খাওয়ার সময় মোচে পানি না লাগে এ পরিমাণ মোচ ছোট রাখা।
খ. নখ কাটা, যাতে নভের ভিতর ময়লা জমে না যায়।
গ. শরীরের যে সমস্ত জায়গায় পানি পৌঁছা সহজ নয় তা ভালোভাবে ধৌত করা।
ঘ. দাড়ি কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ লম্বা রাখা।
ঙ. নাক পরিষ্কপা রাখা
চ. মুখের দুর্গন্ধ থেকে হিফাজত থাকতে খাওয়া-দাওয়া, ওজু, গোসলের পূর্বে মিসওয়াক ও উত্তমরূপে কুলি করা।
ছ. বগলের অযাচিত পশম উপড়ে ফেলা।
জ. নাভির নিচের পশম ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই পরিষ্কার করা।
ঝ. পেশাব ও সৌচকার্যে পানি ব্যবহার করে উত্তমরূপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

উপরোল্লিখিত ফিতরাত বা স্বভাবগত হওয়ার অর্থ এ কাজগুলো ইসলাম পূর্ব সব দ্বীনের অংশ। সমস্ত নবি-রাসুলগণ এর শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যেন এগুলো স্বভাবেরই চাহিদা। যে কারণে উপরোক্ত বিষয়গুলো কোনো নবির শিক্ষা থেকেই বাদ যায়নি।

আল্লাহ তাআলা এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।