ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ছাত্রদলের ঈদ উপহার বিতরণ জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: ড. ইউনূস ভারত মহাসাগরের যে ঘাঁটি থেকে ইরানকে টার্গেট করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা শ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত -২ ফের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে গাজায় ইংল্যান্ডে ঘাপটি মেরে আছে জার্মানির গুপ্তচর নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় এ আর মামুন খানের উদ্যোগে ছয় সাংবাদিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইবাদত কবুলে যে র্শতগুলো মেনে চলা আবশ্যক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৩:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৫৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

আমলে সালেহ বা নেক কাজই হলো ইবাদত। আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদত-বন্দেগি তথা দাসত্ব করার জন্যই তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এ কারণেই দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তিতে আমলে সালেহ-এর বিকল্প নেই। তবে সে আমলে সালেহ-এর জন্য শর্ত হলো ঈমান।

তাইতো আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় ঈমানের সঙ্গে সঙ্গে আমলে সালেহ-এর কথা বলেছেন। কেননা ঈমানবিহীন আমলে সালেহ বা ভালো কাজের কোনো দাম নেই।

আর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমল অল্প হোক; কিন্তু ঈমান মজবুত হতে হবে। নাজাতের জন্য অল্প আমলই যথেষ্ট।’

আমলে সালেহ তথা ইবাদত বন্দেগি আল্লাহ তাআলার দরবারে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। এ শর্তগুলোর বাস্তবায়ন ছাড়া আমল তথা ইবাদত-বন্দেগি কবুল হওয়ার আশা করা যায় না। আর তাহলো-

ইলম বা জ্ঞান অর্জন
ইলম বা জ্ঞান অনুযায়ী আমল করা। আমলে সালেহ তথা ইবাদত-বন্দেগির জন্য জ্ঞান থাকা আবশ্যক। না জেনে আল্লাহ তাআলার ইবাদত সম্ভব নয়। আমল করার জন্য ঐ আমলের জ্ঞান সঠিকভাবে অর্জন করা জরুরি।

এ জন্য ইলম ছাড়া আমল বিশুদ্ধ হওয়া কঠিন। আর ঐ আমলই কবুল হয়, যা সহিহ এবং বিশুদ্ধ হয়। আর ইবাদতে ভুল হলে দুনিয়া ও পরকালের জিন্দেগি বরবাদ হয়ে যাবে।

নিয়তের বিশুদ্ধতা
নিয়তের বিশুদ্ধতা ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত। নিয়ত ব্যতীত আমল বা ইবাদত প্রতিদান প্রাপ্তির যোগ্য নয়। অধিকাংশ ইবাদত বা আমলই নিয়ত ছাড়া কবুলই হয় না। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় সব আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি)

সবর বা ধৈর্য অবলম্বন
আমলে সালেহ সম্পাদনে ধৈর্য এবং ধীরস্থির থাকা জরুরি। তাড়াহুড়ো করে আমলে সালেহ বা ইবাদত বন্দেগি করা কোনো মুমিনের কাজ নয়।

নেক আমল করতে গিয়ে বান্দার উচিত, সে যেন অস্থিরতার প্রদর্শন না করে ধীরস্থিরতা ও ধৈর্য অবলম্বনের মাধ্যমে আমলে মনোযোগী হওয়া।

ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা থাকা
ইখলাস ব্যতীত বান্দার কোনো আমলই কবুল হয় না। আমল যেহেতু ইবাদত; আর ইবাদত-বন্দেগিতে বান্দার একনিষ্ঠতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

ঐ আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, যে আমল শুধুমাত্র তাঁর জন্যই করা হয়। দুনিয়ার সব পেরেশানি থেকে মুক্ত হয়ে যে আমল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করা হয়।

মনে রাখতে হবে
>> ইবাদত-বন্দেগির জ্ঞান অর্জন করতে হবে;
>> ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়তের বিশুদ্ধতা থাকতে হবে;
>> ইবাদত-বন্দেগিতে ধৈর্য তথা ধীরস্থির থাকতে হবে;
>> শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত বন্দেগি করতে হবে।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাহকে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই আমলে সালেহ তথা ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন।

প্রিয়নবির আহ্বান, ‘আমল বা ইবাদত অল্প হোক; তা যেন ঈমানের সঙ্গে হয়, তবে তা অবশ্যই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইবাদত কবুলে যে র্শতগুলো মেনে চলা আবশ্যক

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

আমলে সালেহ বা নেক কাজই হলো ইবাদত। আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদত-বন্দেগি তথা দাসত্ব করার জন্যই তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এ কারণেই দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তিতে আমলে সালেহ-এর বিকল্প নেই। তবে সে আমলে সালেহ-এর জন্য শর্ত হলো ঈমান।

তাইতো আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় ঈমানের সঙ্গে সঙ্গে আমলে সালেহ-এর কথা বলেছেন। কেননা ঈমানবিহীন আমলে সালেহ বা ভালো কাজের কোনো দাম নেই।

আর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমল অল্প হোক; কিন্তু ঈমান মজবুত হতে হবে। নাজাতের জন্য অল্প আমলই যথেষ্ট।’

আমলে সালেহ তথা ইবাদত বন্দেগি আল্লাহ তাআলার দরবারে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। এ শর্তগুলোর বাস্তবায়ন ছাড়া আমল তথা ইবাদত-বন্দেগি কবুল হওয়ার আশা করা যায় না। আর তাহলো-

ইলম বা জ্ঞান অর্জন
ইলম বা জ্ঞান অনুযায়ী আমল করা। আমলে সালেহ তথা ইবাদত-বন্দেগির জন্য জ্ঞান থাকা আবশ্যক। না জেনে আল্লাহ তাআলার ইবাদত সম্ভব নয়। আমল করার জন্য ঐ আমলের জ্ঞান সঠিকভাবে অর্জন করা জরুরি।

এ জন্য ইলম ছাড়া আমল বিশুদ্ধ হওয়া কঠিন। আর ঐ আমলই কবুল হয়, যা সহিহ এবং বিশুদ্ধ হয়। আর ইবাদতে ভুল হলে দুনিয়া ও পরকালের জিন্দেগি বরবাদ হয়ে যাবে।

নিয়তের বিশুদ্ধতা
নিয়তের বিশুদ্ধতা ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত। নিয়ত ব্যতীত আমল বা ইবাদত প্রতিদান প্রাপ্তির যোগ্য নয়। অধিকাংশ ইবাদত বা আমলই নিয়ত ছাড়া কবুলই হয় না। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় সব আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি)

সবর বা ধৈর্য অবলম্বন
আমলে সালেহ সম্পাদনে ধৈর্য এবং ধীরস্থির থাকা জরুরি। তাড়াহুড়ো করে আমলে সালেহ বা ইবাদত বন্দেগি করা কোনো মুমিনের কাজ নয়।

নেক আমল করতে গিয়ে বান্দার উচিত, সে যেন অস্থিরতার প্রদর্শন না করে ধীরস্থিরতা ও ধৈর্য অবলম্বনের মাধ্যমে আমলে মনোযোগী হওয়া।

ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা থাকা
ইখলাস ব্যতীত বান্দার কোনো আমলই কবুল হয় না। আমল যেহেতু ইবাদত; আর ইবাদত-বন্দেগিতে বান্দার একনিষ্ঠতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

ঐ আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, যে আমল শুধুমাত্র তাঁর জন্যই করা হয়। দুনিয়ার সব পেরেশানি থেকে মুক্ত হয়ে যে আমল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করা হয়।

মনে রাখতে হবে
>> ইবাদত-বন্দেগির জ্ঞান অর্জন করতে হবে;
>> ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়তের বিশুদ্ধতা থাকতে হবে;
>> ইবাদত-বন্দেগিতে ধৈর্য তথা ধীরস্থির থাকতে হবে;
>> শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত বন্দেগি করতে হবে।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাহকে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই আমলে সালেহ তথা ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন।

প্রিয়নবির আহ্বান, ‘আমল বা ইবাদত অল্প হোক; তা যেন ঈমানের সঙ্গে হয়, তবে তা অবশ্যই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।