ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জরুরী বিজ্ঞপ্তি মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বরিশালে দুই মাস পর খুলে দেওয়া হলো খলিলের মাংসের দোকান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চোরাইকৃত মিশুকের যন্ত্রাংশ উদ্ধার,তিন গাড়ি চোর গ্রেফতার ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন জুতার দোকানের কর্মচারী রাস্তাতে ধরে মাদক মামলায় ফাসালেন পুলিশ অভিযোগ করেন ফরিদ এই মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ইঙ্গিত আবহাওয়া অফিসের রাজধানীর যেসব এলাকায় বসবে কুরবানির হাট এমপিদের চেয়ে এগিয়ে চেয়ারম্যানরা অবৈধ সম্পদ বেশি অপকর্ম ঢাকতে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল

১০ টাকার অ্যাকাউন্ট হঠাৎ কমে গেল কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

অর্থনৈতিক প্রতিনিধি।।

প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্ন আয়ের মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন কৃষকেরা। মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংকে হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খুলতে পারছেন তারা। ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারীরা একদিকে যেমন আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন, অন্যদিকে এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভর্তুকি কিংবা অর্থসহায়তাও পাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাদের মধ্যে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান-ন্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে কৃষকদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫টি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ ২৮ হাজার ৫১৮টি। অর্থাৎ এক বছরে সাড়ে ৪ শতাংশ অ্যাকাউন্ট কমে গেছে। তবে কৃষকের হিসাব কমলেও জমার পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে কৃষকের হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৩৫১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। গত বছর শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৪০৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ১০, ৫০ ও ১০০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত আটটিসহ বিভিন্ন ব্যাংকে নামমাত্র টাকায় খোলা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার ২২টি। এসব হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ২ হাজার ৩৪৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও সমাজিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দেয়। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা, অতি দরিদ্র মহিলা, দুস্থ, ছিন্নমূল ও কর্মজীবী শিশু এমকি ভিক্ষুকরাও যাতে নামমাত্র টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইভাবে স্কুল পর্যায়েও শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে ব্যবস্থা করেছে। অন্যান্য অ্যাকাউন্টের মতো এসব অ্যাকাউন্টের জন্য ন্যূনতম কোনো স্থিতি রাখার প্রয়োজন নেই। বাড়তি কোনো চার্জও আরোপ করা হয় না। ১০ টাকার এ অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে কৃষকদের।আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে নামমাত্র জমার বিনিময়ে হিসাব খোলার সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মাত্র ১০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা জমা দিয়ে এসব হিসাব খুলতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী—১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাব পরিচালনায় কোনো ধরনের চার্জ কাটতে পারবে না ব্যাংকগুলো। নেই ন্যূনতম জমার কোনো বাধ্যবাধকতাও। এ ছাড়া এসব হিসাবে জমা অর্থের ওপর মুনাফার হার অন্য হিসাবের চেয়ে বেশি দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারি করোনার মধ্যেও ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাব খোলায় ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে কৃষকের হিসাব কমে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ তারা বলতে পারছেন না। অবশ্য সঠিকভাবে তথ্য হালনাগাদ না করার কারণে এর আগে কমেছে বলে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, কী কারণে কৃষকের ব্যাংক হিসাব কমে গেল সেটি এখনো বুঝা যাচ্ছে না। আসলে কী ঘটেছে সেটি দেখা হচ্ছে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জরুরী বিজ্ঞপ্তি

১০ টাকার অ্যাকাউন্ট হঠাৎ কমে গেল কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

আপডেট টাইম : ০৭:২৫:০৮ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১

অর্থনৈতিক প্রতিনিধি।।

প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্ন আয়ের মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন কৃষকেরা। মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংকে হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খুলতে পারছেন তারা। ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারীরা একদিকে যেমন আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন, অন্যদিকে এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভর্তুকি কিংবা অর্থসহায়তাও পাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাদের মধ্যে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান-ন্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে কৃষকদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫টি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ ২৮ হাজার ৫১৮টি। অর্থাৎ এক বছরে সাড়ে ৪ শতাংশ অ্যাকাউন্ট কমে গেছে। তবে কৃষকের হিসাব কমলেও জমার পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে কৃষকের হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৩৫১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। গত বছর শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৪০৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ১০, ৫০ ও ১০০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত আটটিসহ বিভিন্ন ব্যাংকে নামমাত্র টাকায় খোলা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার ২২টি। এসব হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ২ হাজার ৩৪৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও সমাজিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দেয়। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা, অতি দরিদ্র মহিলা, দুস্থ, ছিন্নমূল ও কর্মজীবী শিশু এমকি ভিক্ষুকরাও যাতে নামমাত্র টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইভাবে স্কুল পর্যায়েও শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে ব্যবস্থা করেছে। অন্যান্য অ্যাকাউন্টের মতো এসব অ্যাকাউন্টের জন্য ন্যূনতম কোনো স্থিতি রাখার প্রয়োজন নেই। বাড়তি কোনো চার্জও আরোপ করা হয় না। ১০ টাকার এ অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে কৃষকদের।আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে নামমাত্র জমার বিনিময়ে হিসাব খোলার সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মাত্র ১০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা জমা দিয়ে এসব হিসাব খুলতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী—১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাব পরিচালনায় কোনো ধরনের চার্জ কাটতে পারবে না ব্যাংকগুলো। নেই ন্যূনতম জমার কোনো বাধ্যবাধকতাও। এ ছাড়া এসব হিসাবে জমা অর্থের ওপর মুনাফার হার অন্য হিসাবের চেয়ে বেশি দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারি করোনার মধ্যেও ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাব খোলায় ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে কৃষকের হিসাব কমে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ তারা বলতে পারছেন না। অবশ্য সঠিকভাবে তথ্য হালনাগাদ না করার কারণে এর আগে কমেছে বলে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, কী কারণে কৃষকের ব্যাংক হিসাব কমে গেল সেটি এখনো বুঝা যাচ্ছে না। আসলে কী ঘটেছে সেটি দেখা হচ্ছে।