ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি কোস্ট গার্ডের আয়োজনে নৌপথ ও সুন্দরবনের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা রুলার সরকার না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম অসুবিধায় রয়েছে।। ঠাকুরগাঁওয়ে ভার্চুয়ালি মির্জা ফখরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর সব রাজবন্দি মুক্তি পেলেন, আজহার পেলেন না এবার করা হলো শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি

ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে গাজা: যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড এবং তা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে। হামাস ভবিষ্যতে আর এর নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারবে না। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে পারবে না। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সব সময়ই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে এসেছি—গাজা ফিলিস্তিনি ভূমি এবং তা ফিলিস্তিনি ভূমি থাকবে। হামাস আর ভবিষ্যতে এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে সক্ষম হবে না। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পাশাপাশি থাকবে এবং বিশ্বের স্বার্থে আমরা এটাই চাই।’

এর আগে গাজা ছেড়ে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে চলে যাওয়া এবং উপত্যকায় নতুন ইসরায়েলি বসতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গতকাল মঙ্গলবার এ ধরনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।

সম্প্রতি ওই দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেছেন, তারা মনে করেন গাজা থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। গাজায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ফেরত পাঠানো উচিত বলেও মনে করেন তারা।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর পর থেকেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫৭ হাজার ৩৫ জন। ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে প্রায় ২ মিলিয়ন বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে গাজা: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম : ০৮:০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড এবং তা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে। হামাস ভবিষ্যতে আর এর নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারবে না। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে পারবে না। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সব সময়ই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে এসেছি—গাজা ফিলিস্তিনি ভূমি এবং তা ফিলিস্তিনি ভূমি থাকবে। হামাস আর ভবিষ্যতে এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে সক্ষম হবে না। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পাশাপাশি থাকবে এবং বিশ্বের স্বার্থে আমরা এটাই চাই।’

এর আগে গাজা ছেড়ে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে চলে যাওয়া এবং উপত্যকায় নতুন ইসরায়েলি বসতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গতকাল মঙ্গলবার এ ধরনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।

সম্প্রতি ওই দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেছেন, তারা মনে করেন গাজা থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। গাজায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ফেরত পাঠানো উচিত বলেও মনে করেন তারা।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর পর থেকেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫৭ হাজার ৩৫ জন। ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে প্রায় ২ মিলিয়ন বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।