ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

ভারতের মুখ্যমন্ত্রী কে? রাজমাতা বেঁকে বসায় রাজস্থানে ফাঁপরে বিজেপি

অনলাইন ডেষ্ক
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৯:১৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিধানসভা নির্বাচনের সাতদিন পর বিজেপি ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে দুই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেও রাজমাতা বেঁকে বসায় মরুরাজ্য রাজস্থানে জট অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জয়পুরে গিয়েও জট কাটাতে ব্যর্থ হলেন। ফলে আরও একদিন পিছিয়ে গেল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রকাশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে।

সোমবার মধ্যপ্রদেশে সকলকে চমকে দিয়ে অখ্যাত বিধায়ক তথা সাবেক মন্ত্রী মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করল গেরুয়া শিবির। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে কার্যত রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ জুটি। সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর স্পিকার হবেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে একটি প্রবাদ চালু আছে। তা হল মোদির ডান হাত যে কাজ করে, বাঁ হাত জানতে পারে না। পরপর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম সে কথাই প্রমাণ করল।

কিন্তু রাজস্থানেও কি তা অব্যাহত থাকবে? বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বদলে মরুরাজ্যেও কি নতুন কোনও মুখ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন? কারণ রাজমাতা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দাবি করে বসে আছেন। শিবরাজের অপসারণের সঙ্গে সঙ্গেই বড় কৌতূহল তৈরি হয়ে গেল বসুন্ধরার ভবিষ্যৎ নিয়ে। শিবরাজের অপসারণে রাজস্থানের দেওয়াল লিখন দেখতে পাচ্ছেন কেউ কেউ। বাজপেয়ী-আডবানী আমলে প্রায় একই সঙ্গে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা, রমন সিং এবং শিবরাজ সিং চৌহান। ২০০৩ সালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা। কিছু বিরতির পর আবার ২০২০ থেকে ২০২৩। বসুন্ধরা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দুটি মেয়াদে। অর্থাৎ দশ বছর।

মঙ্গলবার রাজস্থানে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই বসুন্ধরার ভাগ্য সুনিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে মরুরাজ্যে শঙ্কা শুধু একটাই, বসুন্ধরাকে অপাঙক্তেয় করে দিতে চাইলে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না তো। কারণ, বসুন্ধরা তো শুধু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, রাজ পরিবারের রক্তও রয়েছে তার শরীরে। অনেক বিধায়ক এদিনও তার বাড়িতে ভিড় করেছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মোদি-শাহদের কার্যশৈলী দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে প্রশাসনিক শীর্ষ স্তরে নতুন মুখ তুলে আনা শুরু হয়েছে। আর তার মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা দূর করতে চাইছেন। যাতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে লোকসভা ভোটে তার প্রভাব না পড়ে। রাজ্যে নব নির্বাচিত সরকারও নতুন উদ্যম পায়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের মুখ্যমন্ত্রী কে? রাজমাতা বেঁকে বসায় রাজস্থানে ফাঁপরে বিজেপি

আপডেট টাইম : ০৮:২৯:১৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

বিধানসভা নির্বাচনের সাতদিন পর বিজেপি ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে দুই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেও রাজমাতা বেঁকে বসায় মরুরাজ্য রাজস্থানে জট অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জয়পুরে গিয়েও জট কাটাতে ব্যর্থ হলেন। ফলে আরও একদিন পিছিয়ে গেল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রকাশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে।

সোমবার মধ্যপ্রদেশে সকলকে চমকে দিয়ে অখ্যাত বিধায়ক তথা সাবেক মন্ত্রী মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করল গেরুয়া শিবির। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে কার্যত রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ জুটি। সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর স্পিকার হবেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে একটি প্রবাদ চালু আছে। তা হল মোদির ডান হাত যে কাজ করে, বাঁ হাত জানতে পারে না। পরপর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম সে কথাই প্রমাণ করল।

কিন্তু রাজস্থানেও কি তা অব্যাহত থাকবে? বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বদলে মরুরাজ্যেও কি নতুন কোনও মুখ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন? কারণ রাজমাতা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দাবি করে বসে আছেন। শিবরাজের অপসারণের সঙ্গে সঙ্গেই বড় কৌতূহল তৈরি হয়ে গেল বসুন্ধরার ভবিষ্যৎ নিয়ে। শিবরাজের অপসারণে রাজস্থানের দেওয়াল লিখন দেখতে পাচ্ছেন কেউ কেউ। বাজপেয়ী-আডবানী আমলে প্রায় একই সঙ্গে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা, রমন সিং এবং শিবরাজ সিং চৌহান। ২০০৩ সালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা। কিছু বিরতির পর আবার ২০২০ থেকে ২০২৩। বসুন্ধরা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দুটি মেয়াদে। অর্থাৎ দশ বছর।

মঙ্গলবার রাজস্থানে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই বসুন্ধরার ভাগ্য সুনিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে মরুরাজ্যে শঙ্কা শুধু একটাই, বসুন্ধরাকে অপাঙক্তেয় করে দিতে চাইলে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না তো। কারণ, বসুন্ধরা তো শুধু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, রাজ পরিবারের রক্তও রয়েছে তার শরীরে। অনেক বিধায়ক এদিনও তার বাড়িতে ভিড় করেছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মোদি-শাহদের কার্যশৈলী দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে প্রশাসনিক শীর্ষ স্তরে নতুন মুখ তুলে আনা শুরু হয়েছে। আর তার মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা দূর করতে চাইছেন। যাতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে লোকসভা ভোটে তার প্রভাব না পড়ে। রাজ্যে নব নির্বাচিত সরকারও নতুন উদ্যম পায়।