দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পূর্ন করেছে সিংড়া মডেল প্রেস ক্লাব, একটি নতুন প্রেস ক্লাব হিসেবে প্রেসক্লাব – এঁর – তরুন নেতৃ’বৃন্দ মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে এটিকে একটি সুশৃঙ্খল ও চমৎকার সংগঠনে পরিনত করেছে এবং এটিকে আমাদের নাটোর জেলা’র একটি মডেল প্রেস ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিতো করেছে। আমরা মনে করি – একটি দেশের সাংবাদিক যারা আছেন তারা হচ্ছে সেই দেশ – এঁর – জাতী’র জাগ্রতো বিবেক আর সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পন। সেই দর্পন – এঁর – মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে পাবো দেশের উন্নয়ন, সরকারের সুশাসন অপরদিকে যদি কোনো অনিয়ম, দুর্বলতা থাকে তাঁর যৌক্তিক সমালোচনা। ২০২৩ ইং সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে যখন আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এঁর সুদক্ষ নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ – এঁর – প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ইন্টারনেট চলে গেছে এবং যখন নতুন নতুন গনমাধ্যম, সংবাদ মাধ্যম, কাজ করার সুযোগ পেয়েছে তাতে কিন্তু আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমার মনে পরে আগে আশির দশকের কথা একটা দৈনিক পত্রিকা পড়তে হলে আমাদের একদিন অপেক্ষা করতে হতো অথবা সকালের সংবাদপত্র আমরা সন্ধ্যার সময় পেতাম কারন তখন যমুনা সেতু, ফোরলেন রাস্তা,বিদ্যুৎ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা – এঁর – কিছু ছিলো না ইন্টারনেটের তো প্রশ্নই আসে না। ছাত্র – ছাত্রী, তরুন যারা আছে কিংবা সংবাদপত্রে যারা কাজ করছে তাঁদের কাছে এই বিষয়গুলো হয়তো এখন গল্পের মতো শোনাবে কিন্তু এটাই ছিলো বাস্তবতা। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ফোরলেন রাস্তা, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং হাতে হাতে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ফলে যখনকার খবর আমরা তখন পাচ্ছি যখনকার ঘটনা আমরা তখন সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এ আধুনিক প্রযুক্তি’র ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের কাছে সংবাদ পৌঁছানো সহজ হয়েছে। ভবিষ্যত – এঁর – সংবাদ মাধ্যম কেমন হবে এ বিষয়ে কিন্তু আমাদের তরুন সাংবাদিক’দের ভাবতে হবে, আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন আগে একটি রোবট সে খবর পাঠ করছে। সাংবাদিকতা এবং সংবাদ মাধ্যমের কী পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের তা এখনই ভাবতে হবে। এজন্য আমরা ICT বিভাগ থেকে সারা বাংলাদেশ এ ছোট্ট একটা প্রকল্পে আঠারোশো জন সাংবাদিককে ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং দিয়েছিলাম যাতে তারা আর্থিকভাবেও সচ্ছল হতে পারেন এবং আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে পারেন। আমি সাংবাদিক’দের জন্য একটা বিশেষ প্রশিক্ষন – এঁর – ব্যবস্থা করবো – এঁর – ফলে তারা সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল লিটারেসি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ও ফিলান্সিং এ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। আপনারা দেখেছেন যে তেত্রিশটার মতো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন তাতে হাজার হাজার তরুন – তরুনী’র কর্মসংস্থান হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সুযোগ্য সন্তান, ডিজিটাল বাংলাদেশ আর্কিটেক্ট, সজীব ওয়াজেদ জয় – এঁর – তত্ত্বাবধায়ন, পরামর্শ ও নেতৃত্বে – আমরা বঙ্গবন্ধু – ১ স্যাটেলাইট – এঁর – সফল উৎক্ষেপন করতে পেরেছিলাম বলে বাংলাদেশ – এঁর – সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবহার করে যার ফলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে এবং আমাদের দেশের তথ্য, উপাত্ত্যে’র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেছে এবং বিশ্বে আমাদের মর্যাদা এবং সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনাদের রাজনৈতিক দর্শন, ভিন্ন ভিন্ন থাকতে পারে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই সন্নিকটে আমার শুধু একটা প্রত্যাশা আপনারা যে যেই রাজনৈতিক দর্শনকে সমর্থন করুন না কেন, আপনাদের ব্যক্তিগত পছন্দ যাই থাকুক না কেন কিন্তু আপনাদের বিবেকের আদালত আপনাদেরকে নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবে যে আপনারা কলম দিয়ে আপনারা যা লিখছেন, ক্যামেরা’য় যা তুলছেন, আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে যা প্রকাশ করছেন সেটা যেন সব সময়ই সত্যে ও সততার পক্ষে হয় এবং সেটা যেন স্বচ্ছতার সাথে হয়। সিংড়া মডেল প্রেস ক্লাব – এঁর – ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিতো আলোচনা সভায় – তিনি উক্ত আলোচনা করে।