ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

বিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে খালা ও খালাতো ভাই বোনদের হাতে ভাগিনা নিহত

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্টাফ রিপোর্টার।।
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৮:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১২৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

দিনাজপুরের বিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরধে আপন ভাগিনা কোবাদ হোসেন(৬০) কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত‍্যা করেছে তিন খালা ও খালাত ভাই-বোনেরা। বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত বেশকজনকে আটক করেছে।

নিহত কোবাদ হোসেন বিরামপুর করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক পণ্য সরবরাহ কারী হিসেবে কাজ করতেন। সে উপজেলার প‍ৌর পূর্বপাড়া (গাড়োয়ান পাড়া) এলাকার মৃত: কলিমুদ্দীনের ছেলে।
নিহত কোবাদ হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলাম(৩০) জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বাবা বাড়িতে রাজ মিস্ত্রিদের সাথে বাড়ির কাজে সহযোগিতা করছিলো। এ সময় বসত বাড়ির জমিকে কেন্দ্রকরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাবার খালা মেহেরা, অমেলা, জাহেরা মেহেরার মেয়ে নাজমা(৩২), নাজমার মেয়ে প্রেমা, মৃত: আবু হোসেন ছেলে শওকত আলী(৩৫) ও মেহেরার ছেলে হিমেলরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে আমার বাবার উপরে অর্তকিত হামলা চালায়ে মার ডাং করতে থাকে। এ সময় বাবা প্রাণে বাঁচতে দৌড়েপাশে প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে ঘাতকরা সেখানেই আমার বাবাকে পিছু ধাওয়া করে আটকিয়ে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে অজ্ঞান করে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশিরা আমার বাবাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কতব‍্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কোবাদ এঁর প্রতিবেশিরা জানান, ঘাতকরা মহল্লায় উশৃঙ্খল প্রকৃতির ব‍্যক্তি। তারা অসামাজিক প্রবৃত্তিরও বটে।
এবিসয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী সুব্রত কুমার এর সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এবং নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে খালা ও খালাতো ভাই বোনদের হাতে ভাগিনা নিহত

আপডেট টাইম : ০৩:২৮:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

দিনাজপুরের বিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরধে আপন ভাগিনা কোবাদ হোসেন(৬০) কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত‍্যা করেছে তিন খালা ও খালাত ভাই-বোনেরা। বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত বেশকজনকে আটক করেছে।

নিহত কোবাদ হোসেন বিরামপুর করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক পণ্য সরবরাহ কারী হিসেবে কাজ করতেন। সে উপজেলার প‍ৌর পূর্বপাড়া (গাড়োয়ান পাড়া) এলাকার মৃত: কলিমুদ্দীনের ছেলে।
নিহত কোবাদ হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলাম(৩০) জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বাবা বাড়িতে রাজ মিস্ত্রিদের সাথে বাড়ির কাজে সহযোগিতা করছিলো। এ সময় বসত বাড়ির জমিকে কেন্দ্রকরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাবার খালা মেহেরা, অমেলা, জাহেরা মেহেরার মেয়ে নাজমা(৩২), নাজমার মেয়ে প্রেমা, মৃত: আবু হোসেন ছেলে শওকত আলী(৩৫) ও মেহেরার ছেলে হিমেলরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে আমার বাবার উপরে অর্তকিত হামলা চালায়ে মার ডাং করতে থাকে। এ সময় বাবা প্রাণে বাঁচতে দৌড়েপাশে প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে ঘাতকরা সেখানেই আমার বাবাকে পিছু ধাওয়া করে আটকিয়ে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে অজ্ঞান করে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশিরা আমার বাবাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কতব‍্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কোবাদ এঁর প্রতিবেশিরা জানান, ঘাতকরা মহল্লায় উশৃঙ্খল প্রকৃতির ব‍্যক্তি। তারা অসামাজিক প্রবৃত্তিরও বটে।
এবিসয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী সুব্রত কুমার এর সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এবং নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।