ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজাপুরের মিরের হাটে পাঁচ শতাধিক দোকানদার থাকলেও নেই কোন গণশৌচাগার! Logo আজ ৭ দলের বিক্ষোভ-সমাবেশ, শুরু Logo সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ব্যাপক আলোচনায় বিএনপি’র হেভিওয়েট প্রার্থী আব্দুল ছাত্তার Logo আজকের ম্যাচেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ভাগ্য Logo যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করলেন ট্রাম্প Logo ১০৬ অনুচ্ছেদকে বেড়াজাল বললেন শিশির মনির, কী আছে এতে? Logo জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম বন্ধসহ ৫ দাবিতে মাঠে নামছে জামায়াত Logo জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় বিএনপির রাজপথে থাকার ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (হাবিবুল্লাহ মিয়াজী) গ্রুপ জামায়াতের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে রাজনীতি সংঘাতের পথে! Logo কাশিল ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান কর্তৃক মসজিদ-মাদ্রাসার নামে জমি ও অর্থ আত্মসাৎ করেও বহাল তবিয়তে! Logo ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি) কর্তৃক মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা

জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় বিএনপির রাজপথে থাকার ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (হাবিবুল্লাহ মিয়াজী) গ্রুপ জামায়াতের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে রাজনীতি সংঘাতের পথে!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক রোডম্যাপ অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকে দেশের রাজনৈতিক মাঠ ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। অন্যদিকে এ আন্দোলনের বিপরীতে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এতে রাজনৈতিক উত্তাপ ভবিষ্যতের জন্য অশনি সঙ্কেত বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কেননা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রভু ভারত দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে যে, দেশের মধ্যে বড় ধরনের নাশকতা তৈরীর জন্য ভারতের সহায়তা এদেশে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পনা করছে। তারা যাচ্ছে যে কোন আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে নাশকতা সৃষ্টি করে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে। ইতোমধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এর প্রতিফলন দেখা গেছে। নির্বাচনী আসন পুনর্বহালের দাবিতে ভাঙ্গায় যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল তাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢুকে সহিংস করে তুলে। ভাঙ্গা থানায় হামলা, গাড়িতে আগুন ও সরকারি অফিসে হামলা ও ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনার দায় শিকার করেছে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে নিজ মুখেই প্রকাশ্যে ভাঙ্গা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার উস্কানি দিতে দেখা গেছে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে। তাতে স্পষ্ট হচ্ছে যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানান সুযোগ খুঁজছে। এখন পিআরসহ অযৌক্তিক ইস্যু নিয়ে জামায়াত ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে তা আওয়ামী লীগ তথা ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের নতুন কৌশল কি না সে প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে উঁকি দিচ্ছে। এদিকে জামায়াত ও তাদের মিত্রদের এ আন্দোলন কর্মসূচি মোকাবেলায় বিএনপি ও তাদের মিত্ররা যদি নির্বাচনী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে তাহলে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরীর আশঙ্কা থেকেই যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতীয় দোসর আওয়ামী লীগ বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে এমনটাই অনেকে মনে করেন।

জামায়াতে ইসলামী ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল যে সব এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামছেন তা আগামী নির্বাচন বানচালের এক সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিকে সামনে রেখে এসব দল মূলত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ভারতীয় এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর যে আলোচনা হচ্ছে তাতে সংখ্যানুপাতিক অর্থাৎ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের কোন নাম গন্ধই ছিল না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে প্রধান উপদেষ্টার এমন ঘোষণার পরই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতসহ আরও দু-একটি দল সোচ্চার হয়ে ওঠে। এ দলগুলো মূলত আগামী বছরের নভেম্বর ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি করে আসছিল। তারাই এখন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার। এতে বেশ স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে তারা এ দাবির আড়ালে আসলে নির্বাচনকে পিছানো অথবা বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল এ দাবির সাথে আওয়ামী লীগের দোসর হিসাবে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের দাবিও নতুন করে যুক্ত করেছে। অথচ জামায়াতে ইসলামীর সাথে এসব দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে যে দলগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসরও রয়েছে। শেখ হাসিনার সর্বশেষ আমি-ডামির যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (হাবিবুল্লাহ মিয়াজী গ্রুপ) জামায়াতের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে। তাতেই বোঝা যায় যে জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য দলগুলো ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধের দাবিটি তাদের মুখ্য বিষয় নয়। এর আড়ালে অন্য কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। আর সে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হলো আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা তৈরী করে আগামী নির্বাচন বানচাল করা বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এমনটিই মনে করছেন।

ভারতের সেবাদাসী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন সে দেশ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ভারত নানান ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। প্রথমে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইস্যুতে এ সরকারকে অস্থির করতে চেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে এ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে হেয় করতে ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এরপর শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে অস্থির করতে চেয়েছে। আনসার বিদ্রোহ, সচিবালয়ে বিদ্রোহসহ আরও অনেক ইস্যু তৈরী করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পতনের চেষ্টা করেছে ভারত। তবে ভারতের এসব ষড়যন্ত্র সরকার বেশ সফলতার সাথে মোকাবেলা করে টিকে আছে। তবে ভারত তাদের ষড়যন্ত্রের জাল এবার ভিন্নভাবে বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেছে। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রধমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অনড় থাকায় ইন্ডিয়া এ নির্বাচন বানচালের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্য সে দেশে আশ্রিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে পরামর্শ করে তারা নতুন কৌশল নিয়ে অগ্রসর হতে চাচ্ছে। এ কৌশলের মধ্যে রয়েছে, ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনের মাঠে নামানো। ভারতের যে প্রথম কৌশলের অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ও দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপর হামলা শুরু করে। আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নাশকতা তৈরীর পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারও সতর্ক অবস্থানে আছে। ভারতীয় ষড়যন্ত্রের দ্বিতীয় যে কৌশল তা হলো বিভিন্ন দাবি নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনের মাঠে নামানো। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল আন্দোলনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সেটি এই কৌশলেরই অংশ বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ্ বলেন, পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য মোটেই উপযোগী নয়। বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালু করা হলে রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। দেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে না। ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হবে। ফলে বিদেশিরা প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পাবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দেশের ইকোনমি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেটা প্রতিবেশী দেশ ভারত চায়। তাই অন্যভাবে ভাবলে এই পিআর পদ্ধতি ভারতীয় একটি এজেন্ডা এমনটা বলাই যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী মনে করেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে উচ্চকক্ষে নির্বাচন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে দলগুলো একমতও হয়েছে। তবে এ জন্য উচ্চকক্ষের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিম্নকক্ষে করলে সংসদ অকার্যকর হবে। কোনো কিছুতেই একমত হওয়া যাবে না। কারণ আমাদের দেশে অনেক দল, অনেক মত। আবার লোকাল লোকজন তো প্রার্থীদের সেভাবে চিনবে না। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে যে আন্দোলন তা অযৌক্তিক।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের বিরুদ্ধেও চলছে ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য জরুরি। তা না করে নিজেদের স্বার্থে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। আর তার সুযোগ নিয়ে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশে বড় ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। যা আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে। শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে নির্বাচন বানচালও হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক সমঝোতা এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে যে পরিস্থিতি সৃষ্ট হবে তাতে ফ্যাসিবাদী শক্তিই লাভবান হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের তথা ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলমান। এ অবস্থায় এ ইস্যুতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করার মধ্যে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত বহন করে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জামায়াতসহ অন্য দলগুলোর আগে ছিলনা। হঠাৎ করে এ দাবিতে তারা খুব সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এটা শুভ বার্তা বহন করে না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে। তাহলে যারা এ দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা কি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চান। এমন প্রশ্ন মানুষের মনে উদয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া দেশে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার পর জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার তৎপরতা কোনো স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়। বরং মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনী পরিবেশকে জটিল করে তোলার ষড়যন্ত্র। পিআর ভারতীয় একটি এজেন্ডা। এটা বাস্তবায়ন এবং জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে আন্দোলন সব মিলিয়ে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে নির্বাচন বানচালের জন্য। এ বিষয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে রাজনীতিতে বড় ধরনের দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, পিআরসহ অন্যান্য দাবিতে জামায়াতসহ কয়েকটি দল যে আন্দোলন করছে এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, নির্বাচন বিলম্বিত করার ‘ষড়যন্ত্র ও কৌশল’ হিসেবেই এসব ইস্যু সামনে আনা হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, সেই ঐক্যে কোনো না কোনো পক্ষ ফাটলের চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, সংস্কারের জন্য আলাপ-আলোচনা করছি। কিন্তু নির্বাচনকে নিয়ে যেন দুয়েকটা পক্ষ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। এটা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র। এ ব্যপারে সবার সতর্ক থাকতে হবে। আমরা এ আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে মনে করি। এটি পতিত ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের একটি ষড়যন্ত্র।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজাপুরের মিরের হাটে পাঁচ শতাধিক দোকানদার থাকলেও নেই কোন গণশৌচাগার!

জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় বিএনপির রাজপথে থাকার ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (হাবিবুল্লাহ মিয়াজী) গ্রুপ জামায়াতের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে রাজনীতি সংঘাতের পথে!

আপডেট সময় ১১:২২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক রোডম্যাপ অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকে দেশের রাজনৈতিক মাঠ ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। অন্যদিকে এ আন্দোলনের বিপরীতে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এতে রাজনৈতিক উত্তাপ ভবিষ্যতের জন্য অশনি সঙ্কেত বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কেননা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রভু ভারত দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে যে, দেশের মধ্যে বড় ধরনের নাশকতা তৈরীর জন্য ভারতের সহায়তা এদেশে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পনা করছে। তারা যাচ্ছে যে কোন আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে নাশকতা সৃষ্টি করে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে। ইতোমধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এর প্রতিফলন দেখা গেছে। নির্বাচনী আসন পুনর্বহালের দাবিতে ভাঙ্গায় যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল তাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢুকে সহিংস করে তুলে। ভাঙ্গা থানায় হামলা, গাড়িতে আগুন ও সরকারি অফিসে হামলা ও ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনার দায় শিকার করেছে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে নিজ মুখেই প্রকাশ্যে ভাঙ্গা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার উস্কানি দিতে দেখা গেছে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে। তাতে স্পষ্ট হচ্ছে যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানান সুযোগ খুঁজছে। এখন পিআরসহ অযৌক্তিক ইস্যু নিয়ে জামায়াত ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে তা আওয়ামী লীগ তথা ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের নতুন কৌশল কি না সে প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে উঁকি দিচ্ছে। এদিকে জামায়াত ও তাদের মিত্রদের এ আন্দোলন কর্মসূচি মোকাবেলায় বিএনপি ও তাদের মিত্ররা যদি নির্বাচনী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে তাহলে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরীর আশঙ্কা থেকেই যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতীয় দোসর আওয়ামী লীগ বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে এমনটাই অনেকে মনে করেন।

জামায়াতে ইসলামী ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল যে সব এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামছেন তা আগামী নির্বাচন বানচালের এক সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিকে সামনে রেখে এসব দল মূলত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ভারতীয় এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর যে আলোচনা হচ্ছে তাতে সংখ্যানুপাতিক অর্থাৎ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের কোন নাম গন্ধই ছিল না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে প্রধান উপদেষ্টার এমন ঘোষণার পরই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতসহ আরও দু-একটি দল সোচ্চার হয়ে ওঠে। এ দলগুলো মূলত আগামী বছরের নভেম্বর ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি করে আসছিল। তারাই এখন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার। এতে বেশ স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে তারা এ দাবির আড়ালে আসলে নির্বাচনকে পিছানো অথবা বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল এ দাবির সাথে আওয়ামী লীগের দোসর হিসাবে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের দাবিও নতুন করে যুক্ত করেছে। অথচ জামায়াতে ইসলামীর সাথে এসব দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে যে দলগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসরও রয়েছে। শেখ হাসিনার সর্বশেষ আমি-ডামির যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (হাবিবুল্লাহ মিয়াজী গ্রুপ) জামায়াতের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে। তাতেই বোঝা যায় যে জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য দলগুলো ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধের দাবিটি তাদের মুখ্য বিষয় নয়। এর আড়ালে অন্য কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। আর সে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হলো আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা তৈরী করে আগামী নির্বাচন বানচাল করা বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এমনটিই মনে করছেন।

ভারতের সেবাদাসী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন সে দেশ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ভারত নানান ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। প্রথমে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইস্যুতে এ সরকারকে অস্থির করতে চেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে এ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে হেয় করতে ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এরপর শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে অস্থির করতে চেয়েছে। আনসার বিদ্রোহ, সচিবালয়ে বিদ্রোহসহ আরও অনেক ইস্যু তৈরী করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পতনের চেষ্টা করেছে ভারত। তবে ভারতের এসব ষড়যন্ত্র সরকার বেশ সফলতার সাথে মোকাবেলা করে টিকে আছে। তবে ভারত তাদের ষড়যন্ত্রের জাল এবার ভিন্নভাবে বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেছে। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রধমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অনড় থাকায় ইন্ডিয়া এ নির্বাচন বানচালের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্য সে দেশে আশ্রিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে পরামর্শ করে তারা নতুন কৌশল নিয়ে অগ্রসর হতে চাচ্ছে। এ কৌশলের মধ্যে রয়েছে, ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনের মাঠে নামানো। ভারতের যে প্রথম কৌশলের অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ও দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপর হামলা শুরু করে। আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নাশকতা তৈরীর পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারও সতর্ক অবস্থানে আছে। ভারতীয় ষড়যন্ত্রের দ্বিতীয় যে কৌশল তা হলো বিভিন্ন দাবি নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনের মাঠে নামানো। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল আন্দোলনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সেটি এই কৌশলেরই অংশ বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ্ বলেন, পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য মোটেই উপযোগী নয়। বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালু করা হলে রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। দেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে না। ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হবে। ফলে বিদেশিরা প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পাবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দেশের ইকোনমি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেটা প্রতিবেশী দেশ ভারত চায়। তাই অন্যভাবে ভাবলে এই পিআর পদ্ধতি ভারতীয় একটি এজেন্ডা এমনটা বলাই যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী মনে করেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে উচ্চকক্ষে নির্বাচন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে দলগুলো একমতও হয়েছে। তবে এ জন্য উচ্চকক্ষের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিম্নকক্ষে করলে সংসদ অকার্যকর হবে। কোনো কিছুতেই একমত হওয়া যাবে না। কারণ আমাদের দেশে অনেক দল, অনেক মত। আবার লোকাল লোকজন তো প্রার্থীদের সেভাবে চিনবে না। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে যে আন্দোলন তা অযৌক্তিক।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের বিরুদ্ধেও চলছে ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য জরুরি। তা না করে নিজেদের স্বার্থে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। আর তার সুযোগ নিয়ে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশে বড় ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। যা আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে। শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে নির্বাচন বানচালও হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক সমঝোতা এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে যে পরিস্থিতি সৃষ্ট হবে তাতে ফ্যাসিবাদী শক্তিই লাভবান হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের তথা ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলমান। এ অবস্থায় এ ইস্যুতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করার মধ্যে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত বহন করে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জামায়াতসহ অন্য দলগুলোর আগে ছিলনা। হঠাৎ করে এ দাবিতে তারা খুব সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এটা শুভ বার্তা বহন করে না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে। তাহলে যারা এ দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা কি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চান। এমন প্রশ্ন মানুষের মনে উদয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া দেশে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার পর জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার তৎপরতা কোনো স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়। বরং মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনী পরিবেশকে জটিল করে তোলার ষড়যন্ত্র। পিআর ভারতীয় একটি এজেন্ডা। এটা বাস্তবায়ন এবং জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে আন্দোলন সব মিলিয়ে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে নির্বাচন বানচালের জন্য। এ বিষয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে রাজনীতিতে বড় ধরনের দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, পিআরসহ অন্যান্য দাবিতে জামায়াতসহ কয়েকটি দল যে আন্দোলন করছে এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, নির্বাচন বিলম্বিত করার ‘ষড়যন্ত্র ও কৌশল’ হিসেবেই এসব ইস্যু সামনে আনা হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, সেই ঐক্যে কোনো না কোনো পক্ষ ফাটলের চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, সংস্কারের জন্য আলাপ-আলোচনা করছি। কিন্তু নির্বাচনকে নিয়ে যেন দুয়েকটা পক্ষ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। এটা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র। এ ব্যপারে সবার সতর্ক থাকতে হবে। আমরা এ আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে মনে করি। এটি পতিত ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের একটি ষড়যন্ত্র।


প্রিন্ট