ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

বরগুনায় শিশু ধর্ষণ মামলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • / ২৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক

পাথরঘাটা রিপোর্টার।।

শিশু ধর্ষণ মামলায় ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় ৩৫ দিন কারাবাসের অভিযোগ তুলেছেন বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঢলুয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. বাদল মিয়া (৫৭)। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ডাক যোগে ঢাকার শিশু আদালত থেকে বাদল মিয়া নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেটি গ্রহণ করার পর এ গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনার আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে পাঠানো হয় বরগুনা সদর থানায়।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। টানা ৩৫ দিন কারাবাসের পর গত ১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জামিনের সাথে মামলা থেকে বাদল মিয়াকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

জামিনের পাশাপাশি মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উল্লেখ করেন, যে গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে মামলা নম্বর লেখা হয়েছে জি.আর ৪২৫/১৭ ও শিশু ৮৯০/১৮ (ঢাকা)।

এছাড়াও মামলা দায়েরের সাল ২০১৭ হলেও গ্রেফতারি পরোয়ানার বিচারকের স্বাক্ষরের স্থলে তারিখ দেওয়া হয়েছে ৪ এপ্রিল ২০১৪।

অন্যদিকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতারের পর সেই তথ্য ডাকযোগে ঢাকা জজ আদালতে পাঠানো হলেও এ নামের কোন আদালত নেই বলে চিঠিটি ফেরত আসে। বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানায় উল্লেখ থাকা নম্বরে কোন মামলা বিচারাধীন নেই বলেও নিশ্চিত হয় বরগুনার আদালত। তাই বাদল মিয়াকে জামিনের পাশাপাশি এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।

বাদল মিয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র টাকার জন্য ভুয়া একটি গ্রেফতারি পরোয়ানায় পুলিশের সোর্স সাইফুল ও ইলিয়াস বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম ষড়যন্ত্র করে আমাকে ঘৃণ্য অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ৩৫ দিন কারাভোগ করিয়েছে। তাই আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান বলেন, ‘বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনা থানায় এসেছে ২০১৮ সালে। তখন আমি পিরোজপুরে কর্মরত ছিলাম। আমি বরগুনা থানায় যোগদান করেছি গত বছরের ৬ নভেম্বর। সে হিসেবে আমি যোগদান করার দুই বছর আগেই বরগুনা থানায় বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে। তাই আদালতের আদেশ অনুযায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আমি আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যসব গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের মতই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখানে পুলিশের কোন দোষ নেই। কেননা সকল ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় না পুলিশের। তবে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করে একজন নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বরগুনায় শিশু ধর্ষণ মামলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

পাথরঘাটা রিপোর্টার।।

শিশু ধর্ষণ মামলায় ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় ৩৫ দিন কারাবাসের অভিযোগ তুলেছেন বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঢলুয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. বাদল মিয়া (৫৭)। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ডাক যোগে ঢাকার শিশু আদালত থেকে বাদল মিয়া নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেটি গ্রহণ করার পর এ গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনার আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে পাঠানো হয় বরগুনা সদর থানায়।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। টানা ৩৫ দিন কারাবাসের পর গত ১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জামিনের সাথে মামলা থেকে বাদল মিয়াকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

জামিনের পাশাপাশি মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উল্লেখ করেন, যে গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে মামলা নম্বর লেখা হয়েছে জি.আর ৪২৫/১৭ ও শিশু ৮৯০/১৮ (ঢাকা)।

এছাড়াও মামলা দায়েরের সাল ২০১৭ হলেও গ্রেফতারি পরোয়ানার বিচারকের স্বাক্ষরের স্থলে তারিখ দেওয়া হয়েছে ৪ এপ্রিল ২০১৪।

অন্যদিকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতারের পর সেই তথ্য ডাকযোগে ঢাকা জজ আদালতে পাঠানো হলেও এ নামের কোন আদালত নেই বলে চিঠিটি ফেরত আসে। বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানায় উল্লেখ থাকা নম্বরে কোন মামলা বিচারাধীন নেই বলেও নিশ্চিত হয় বরগুনার আদালত। তাই বাদল মিয়াকে জামিনের পাশাপাশি এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।

বাদল মিয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র টাকার জন্য ভুয়া একটি গ্রেফতারি পরোয়ানায় পুলিশের সোর্স সাইফুল ও ইলিয়াস বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম ষড়যন্ত্র করে আমাকে ঘৃণ্য অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ৩৫ দিন কারাভোগ করিয়েছে। তাই আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে বরগুনা থানায় কর্মরত এএসআই নাঈমুর রহমান বলেন, ‘বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা বরগুনা থানায় এসেছে ২০১৮ সালে। তখন আমি পিরোজপুরে কর্মরত ছিলাম। আমি বরগুনা থানায় যোগদান করেছি গত বছরের ৬ নভেম্বর। সে হিসেবে আমি যোগদান করার দুই বছর আগেই বরগুনা থানায় বাদল মিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে। তাই আদালতের আদেশ অনুযায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আমি আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যসব গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের মতই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখানে পুলিশের কোন দোষ নেই। কেননা সকল ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় না পুলিশের। তবে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করে একজন নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।