ফুলপুকুরিয়া ও বানেশ্বর সড়কের বেহাল দশা
- আপডেট টাইম : ০১:২৪:১৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১০২ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগন্জ ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া থেকে বানেশ্বর রাস্তার করুন দশা।ফুলপুকুরিয়া সড়কে ভোগান্তি বাড়িয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে এসব স্থানে কাদা জমায় হেঁটে চলাও কষ্টকর।বৃষ্টির পানি সড়কে জমে থাকায় সড়কের কোন কোন জায়গায় খাল খদ্দের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় মানুষের অভিযোগের শেষ নেই।
সড়জমিনে জানা গেছে,উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা হচ্ছে ফুলপুকুরিয়া বাজার।এই বাজারে একটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মডেল হাইস্কুল,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,আলিম মাদ্রাসা ও ডিগ্রী কলেজ রয়েছে।এই বাজারের বুক চিরে তিনটি সরু রাস্তা বয়ে গেছে।এই সড়কে প্রতিদিন ২৫ শত থেকে ৩ হাজার ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। বৃষ্টি হলেই ফুলপুকুরিয়া বাজার সড়কে পানি জমে। পানি জমে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদা নর্দমায় পরিণত হয়েছে । ছাত্র ছাত্রী এই কাদা নর্দমার রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে তাদের পোশাকে কাদা লেগে নোংরা হচ্ছে। মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি রাস্তাঘাট।বাজারের সরু রাস্তায় যানজট যেন মানুষের নিত্যসঙ্গী। বাজারের মধ্যে যে কয়টি রাস্তা রয়েছে, সব কটিতে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ।
সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে বেড়ে যায় ভোগান্তি। খানাখন্দের কারণে ইজিবাইক এবং ব্যাটারিচালিত রিকশায়ও চলা কষ্টসাধ্য। এসব কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘বিদ্যাময়ী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। রাস্তাটি সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য অন্যতম পথ। কয়েক বছর ধরে রাস্তাটিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় খুব দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা চাই অচিরেই রাস্তাটি মেরামত করা হোক।’
এছাড়াও ফুলপুকুরিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে সে বলেন আমাদের স্বচ্ছন্দে চলাচলের জন্য এ রাস্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে বড় সমস্যা হলো, সামান্য একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটুপানি জমে। চলাচলের কোনো ব্যবস্থা তখন আর থাকে না। পানি কমে গেলেও খানাখন্দের মধ্যে থাকা পানিতে দুর্গন্ধ এবং কাদা নর্দমায় আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়ে।’
ইজিবাইক চালক হারুন আলী বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল
করতে হয়। ঝাঁকিতে কোমরে ব্যথা হয়ে গেছে। রিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। যাত্রীরাও মাঝেমধ্যে উল্টে পড়ে গিয়ে আহত হয়।