ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক সুচিকিৎসা ও সেবা-পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দলগুলোর সমর্থন না পেলে সব উদ্যোগ নিষ্ফল হবে: সিইসি ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত গাজীপুরে আম ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গর্ভের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু আহত ৯ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে রাখাইনে করিডোরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার পতেঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে একটি সাজাপ্রাপ্ত সহ তিনটি,সিআর গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী কোরবান আলী গ্রেফতার ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ইসলামকে যারা মানে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তারাই শুধু মুক্তি পাবে: নজরুল ইসলাম ইয়েমেনে অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে মার্কিন হামলায় নিহত ৬৮

জনগন যাকে চায় তাকে রাষ্ট্রীয় কাজে থাকার সুযোগ দেওয়া হোক- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

আল মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৩৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিএনপির আমলে সাধারণ মানুষ এতোটা মামলার স্বীকার হয়নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের উপরে গায়েবি মামলা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখছে। মানুষ এখন নিরাপদে থাকতে পারে না। কোন ঘটনা ঘটলে কোন কিছু হলেই সেটা নাকি বিএনপি করেছে এভাবে তারা নিজেদের দোষ আমাদের কাঁধে চাপাচ্ছে।

বুধবার সকালে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশকে বর্তমানে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় রুপান্তরিত করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এ সরকারের অধীনে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন আশা করা যায়না। আওয়ামীলীগের দাপটে বর্তমানে কথা বলা যায়না।

নির্বাচন নিয়ে তিনি আরো বলেন, একটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে তখন যখন নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এটাকে উল্টে দিয়ে নিজে নিজেরাই নির্বাচন করছে।‌ এখন সরকারি চাকরি করতে হলে আপনাকে আওয়ামী লীগের কর্মী হতে হবে। তা না হলে এখন কোন চাকরি হয়না।

মিডিয়া নিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, কিছু কিছু মিডিয়া আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শুধু তাদেরি গল্প বানায়। ভালো মিডিয়ার সাংবাদিকরা দূর্নীতির কথা তুলে ধরলে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি আরো বলেন আমাদের সময়ে বিদ্যুৎ এর দাম ছিল প্রায় ৩ টাকা এখন ৭ টাকা, চালের দাম ছিল ১৪ টাকা এখন প্রায় ৭০ টাকা এমনিভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেভাবে সরকার বাড়াচ্ছে জনগণ আজ চিন্তিত। আজকে ডাক্তার আছে চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই, এম্বুলেন্স আছে তেল নাই, ছত্র-ছাত্রী আছে কিন্তু সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা নাই। সরকার প্রতিটি খাতে লুটপাট করে খাচ্ছে। উন্নয়নের নামে তারা চুরি করছে।

আমাদের সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হবে বসে থাকার মতো চুপ করে থাকার মতো আর সময় নাই। রূখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে, সবকিছু দিয়ে এই ভোটচোর সরকারকে নামাতে হবে তা না হলে দেশ রসাতলে যেতে আর বেশি দেরি লাগবেনা। জনগন যাকে চায় তাকে রাষ্ট্রীয় কাজে থাকার সুযোগ দেওয়া হোক।

এ সময় জেলা ও উপজেলার বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনগন যাকে চায় তাকে রাষ্ট্রীয় কাজে থাকার সুযোগ দেওয়া হোক- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

আপডেট টাইম : ০৭:৪১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

বিএনপির আমলে সাধারণ মানুষ এতোটা মামলার স্বীকার হয়নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের উপরে গায়েবি মামলা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখছে। মানুষ এখন নিরাপদে থাকতে পারে না। কোন ঘটনা ঘটলে কোন কিছু হলেই সেটা নাকি বিএনপি করেছে এভাবে তারা নিজেদের দোষ আমাদের কাঁধে চাপাচ্ছে।

বুধবার সকালে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশকে বর্তমানে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় রুপান্তরিত করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এ সরকারের অধীনে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন আশা করা যায়না। আওয়ামীলীগের দাপটে বর্তমানে কথা বলা যায়না।

নির্বাচন নিয়ে তিনি আরো বলেন, একটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে তখন যখন নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এটাকে উল্টে দিয়ে নিজে নিজেরাই নির্বাচন করছে।‌ এখন সরকারি চাকরি করতে হলে আপনাকে আওয়ামী লীগের কর্মী হতে হবে। তা না হলে এখন কোন চাকরি হয়না।

মিডিয়া নিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, কিছু কিছু মিডিয়া আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শুধু তাদেরি গল্প বানায়। ভালো মিডিয়ার সাংবাদিকরা দূর্নীতির কথা তুলে ধরলে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি আরো বলেন আমাদের সময়ে বিদ্যুৎ এর দাম ছিল প্রায় ৩ টাকা এখন ৭ টাকা, চালের দাম ছিল ১৪ টাকা এখন প্রায় ৭০ টাকা এমনিভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেভাবে সরকার বাড়াচ্ছে জনগণ আজ চিন্তিত। আজকে ডাক্তার আছে চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই, এম্বুলেন্স আছে তেল নাই, ছত্র-ছাত্রী আছে কিন্তু সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা নাই। সরকার প্রতিটি খাতে লুটপাট করে খাচ্ছে। উন্নয়নের নামে তারা চুরি করছে।

আমাদের সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হবে বসে থাকার মতো চুপ করে থাকার মতো আর সময় নাই। রূখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে, সবকিছু দিয়ে এই ভোটচোর সরকারকে নামাতে হবে তা না হলে দেশ রসাতলে যেতে আর বেশি দেরি লাগবেনা। জনগন যাকে চায় তাকে রাষ্ট্রীয় কাজে থাকার সুযোগ দেওয়া হোক।

এ সময় জেলা ও উপজেলার বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।