গোবিন্দগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ীর খপ্পরে পরে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ জনগণ

- আপডেট টাইম : ০৩:২২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
- / ১৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে এলাকার সাধারণ জনগণ। এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তাদের প্রয়োজনে লাবলু মিয়ার কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি কড়া সুদের হারে টাকা দেয় এবং তাদের কাছ থেকে দুই টি চেক নেয়।এবং সময় মতো সুদ সহ আসল টাকা ফেরত দিতে না পারলে তাদের উপর শুরু করে অমানবিক নির্যাতন।
এছাড়া আর ও জানা গেছে পাড়গয়ড়ার ঘুগা কান্দুপাড়া গ্রামের সরফরাজ হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন সুদারু লাবলুর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা সুদের উপর নেয় এবং বিনিময়ে সুদারু লাবলু ফারুকের কাছ থেকে দুই টি চেক নেয়। ফারুক সময় মতো সুদ সহ টাকা দিতে না পারলে লাবলু মিয়া তার বাহিনী দিয়ে ফারুক এবং তার বাড়িতে নির্যাতন করে। বাধ্য হয়ে ফারুকের বাবা মা গরু বিক্রি করে লাবলুকে টাকা ফেরত দিয়ে চেক ফেরত চাই, কিন্তু লাবলু মিয়া একটা চেক ফেরত দেয় এবং আর একটা চেক হারিয়ে গেছে বলে জানায়।কিন্তু দুই তিন মাস পর সুদারু লাবলু মিয়া ফারুকের বিরুদ্ধে তার কাছে রাখা অপর চেক দিয়ে থানায় ১৫ লক্ষ টাকার মামলা দেয়। এভাবে সুদারু লাবলু মিয়া আকতার হোসেন, হোদা মিয়া, আজিজ সহ ফারুকের বিরুদ্ধে একের এক বিভিন্ন মামালা দিয়ে হয়রানী করছে। এপর্যন্ত এই চার জনের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার অধিক চেক ডিসঅনার মামলা দিয়েছে দাদন ব্যবসায়ী পারগয়রা গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে লাবলু। সুদের টাকা পরিশোধ করার পরেও গ্রহন কৃত চেক দ্বারা মামলা দিয়ে অধিক টাকা আদায় করছে এই দাদন ব্যবসায়ী।এ ঘটনায় কোচ মদন বারই পাড়া গ্রামের আকতারুল এখন জেল হাজতে। লাবলুর কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা উচ্চ সুদে নেয় আকতারুল টাকা নেওয়ার পর দির্ঘ তিন বছর সুদের ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে তার পরেও আসল পাওনা থাকে এর মধ্য আকতারুলের ব্যবসার দোকানটি আগুনে পরে যায় ফলে টাকা দিতে পারে না আকতারুল । সুদের টাকার চাপ দিতে থাকে লাবলু এবং ভারাটিয়া গুন্ডা দিয়ে তারে মারা জন্য তাকে ভয় ভিতি দেখায়। পরে বাধ্য হয়ে জমি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে এবং ঐ সময় লাবলু তিন শত টাকা মুল্যের স্ট্যাম্প করে দেয়। পরে গ্রহন কৃত চেক ডিসঅনার করে পনের লক্ষ টাকার মামলা দেয় এ মামলায় একতারুল এখন জেলে। একই ভাবে ঘুগা গ্রামের আজিজ এর বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষ,একই গ্রামের ফারুকের বিরুদ্ধে ৬০ লক্ষ, সাবু বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষ টাকার মামলা দিয়েছে দাদন ব্যবসায়ী লাবলু। উচ্চ সুদে টাকা দিয়ে মানুষের কাছ থেকে তার বিনিময়ে ব্যাংকের চেক গ্রহন করে পরে সুদের টাকা দিতে দিতে কোন সময় অপারগতা প্রকাশ করলেই, গ্রহন করা সেই চেক ব্যাংকের মাধ্যমে ডিসঅনার করে তার বিরুদ্ধে দেওয়া হচ্ছে মামলা। এভাবেই সর্বসান্ত করছে এলাকার সাধারন খেটে খাওয়া মানুষকে।
এছাড়াও অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তাদের মেয়ের বিয়ে শাদি এবং ছেলের চাকরি বিষয়ে লাবলু মিয়ার কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি করা সুদে টাকা দেয় এবং তার কাছ থেকে দুধের টাকা বাবদ ষ্টামে স্বাক্ষর করে নেন। লাভলু মিয়াকে সুদের টাকা সময় মতো দিতে না পারলে তার উপর শুরু করে অমানবিক নির্যাতন। এমন কি লাভলু মিয়া তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে।