ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে প্রকৃতি- গাছেই সিদ্ধ হচ্ছে আবাদি ফসল

- আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
- / ১২১ ৫০০০.০ বার পাঠক
উত্তরের সিমান্ত বর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও,আর এ জেলার পাঁচটি উপজেলার মানুষ কৃষিনির্ভর।অথচ বেশ কিছুদিন থেকে আমাদের সীর্মন্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচটি উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেষা,পশ্চিমে শেষ উপজেলা হরিপুর,,উত্তর পশ্চিমে বালিয়াডাঙ্গী,পীরগঞ্জ ও মধ্যবর্তী উপজেলা রানীশংকৈল। এসব উপজেলার ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল অন্যদিকে আর ২০ ভাগ মানুষ শ্রমজীবি।
এ অঞ্চলে সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষিজীবিরা কাঠফসল পটল, ঝিঙ্গে, ঐতিহ্য বাহী সুন্যত করলা,
লাউ,পানি লাউ,বরবটি, ঢেঁড়স, কাইথা,বেগুন,শাক সহ বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদনে ব্যহত হচ্ছে তারা, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটল গাছের আগা রৌদ্রে নুইয়ে পরছে মাটির দিকে,আর পটল যেন সিদ্ধা হয়ে গেছে গাছেই।
এছাড়াও দেখা যায় অন্যান ফসলের গাছ গুলো একই অবস্থায় পরিণত হয়েছে, অনেক গাছ মারাও গিয়েছে, পটল চাষি দবিরুল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রৌদ্রের তাপে ফসলের গাছ মরে যাচ্ছে, সেচদিয়ে বাঁচিয়ে রাখা ছাড়া কোন উপায় নাই , সেচ দিলে রাতে গাছগুলো সতেজ হয় এবং পটল শক্ত হয়, আর দিনে রৌদ্রে পটল নরম হয়ে যায়, আল্লাহ বৃষ্টি দিলে সমস্যা সমাধান হবে।
এই তপ্ত গরমে যেমনি কৃষিতে ব্যাপক বাধা পোহাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষজন অন্যদিকে শ্রমজীবিরা এই প্রচন্ড গরমে কাজে বের হতে না পেরে অদ্যাহারে অনাহারে দিন পার করছেন।
এদিকে খেটে খাওয়া রিক্সা,ভ্যান, অটো,ও সিএনজির মালিকরা কঠিন সময় পার করছেন বলে আনোয়ার ও মিলন জানায়। প্রচন্ড গরমে মানুষ জনের চলাফেরাও কমে গেছে,প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বাহির হচ্ছেনা। অন্যদিকে এই প্রচন্ড তাপদাহে রানীশংকৈল সরকারী হাসপাতালে নানা বয়সি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।বিভিন্নজন জ্বর,সর্দি,,পাতলা পায়খানা,স্বাসকষ্ট,
নিউমোনিয়া সহ অন্যান্য নিত্য নতুন রোগে আক্তান্ত হয়ে ভর্তী হচ্ছেন।এ ব্যাপারে আরএও ডাঃ ফিরোজ আলম জানান,তিনারা সর্বদা প্রস্তুত আছেন রোখীদের জন্য যা যা চিকিৎসা দেওয়া দরকার তা তা সঠিক সময় সেবা প্রদান করা হচ্ছে।