পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
- আপডেট টাইম : ১০:১৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
- / ১১১ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঠাকুরগাওয়ে চাকরি দেওয়ার শর্তে বিদালয়ের অনুদান বাবদ মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েও চাকরি দিতে না পারায় এবং টাকা ফেরত প্রদানে টালবাহানা করায় পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুল হক ও প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার (১৪ মে) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দ:বি: ৪২০/৪০৬ ধারায় উক্ত মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই আব্দুল হাকিম (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের জয়নুল হকের ছেলে।
বিচারক নিত্যানন্দ সরকার অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।
অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি নৈশ প্রহরী সহ ৬ টি পদে লোক নিয়োগের জন্য পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যথারীতি বাদীর ভাই সোহেল রানা আবেদন দাখিল করে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সভাপতি বাদীকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠান। সেখানে নৈশ প্রহরীর চাকরির জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি ১২ লক্ষ টাকা অনুদান দাবি করেন। ওই সময় প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীনও সভাপতির কথায় সায় দিয়ে বলে যে ওই পরিমান টাকা দিলে তার ভাইয়ের চাকরি দিবে এই শর্তে গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যে ফলাফলে ভুক্তভোগীর ভাইয়ের নাম ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বাদী হাকিম অত্র স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের নিকট কথা বলে ১২ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করে। দিনের পর দিন তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন
ভুক্তভোগী পরিবার। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি।
এদিকে বাদী আব্দুল হাকিম বলেন, আমি আমার গরু ছাগলসহ জমি বিক্রি করে পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে ১২ লক্ষ টাকা দিয়েছি। এখন আমি সর্বস্বান্ত। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুবিচার চাই।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির এ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ জানান, পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে বাদী আব্দুল হাকিম তার ভাইয়ের জন্য স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে ১২ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। উক্ত নিয়োগে তাকে চাকরি দিতে পারেনি। পরবর্তীতে আব্দুল হাকিম টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করে বিধায় আব্দুল হাকিম ২ জনের নামে এই মামলা দায়ের করে।