টাঙ্গাইল থেকে ঘুরে এসে , রূপকথার গল্প পার্কে প্রবেশ ফ্রি
- আপডেট টাইম : ০৪:০৮:১০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
- / ৮২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
রূপকথার গল্প পার্কে প্রবেশ ফ্রি করে দিয়েছেন পার্কের প্রতিষ্ঠাতা ঝর্ণা সরোয়ার।
টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় মধুপুর ভুট্ট এলাকায় একটি পার্ক তৈরি হয়েছে। সেখানে আনন্দ বিনোদনের জন্য ,সময় কাটানোর জন্য বা মনের খোরাক যোগানোর জন্য অনেকেই সেখানে ঘুরে আসতে পারেন ।তার জন্য প্রবেশ ফ্রি করে দিয়েছেন পার্কের প্রতিষ্ঠাতা ঝর্ণা সারওয়ার।
তথ্য মতে জানা যায় আজ থেকে দেড় বছর আগে তিন বিঘা জমিতে এই পার্কের কাজ শুরু করেন ঝর্ণা সারওয়ার। ঝরনা সারোয়ারের কাছে ফোন করলেই জানা যায় তিনি ঢাকা গুলশানে বসবাস করছেন তার বাড়ির ছাদে ৪০০ গাছের একটি বাগান রয়েছে। তিনি মধুপুর ভুট্ট এলাকায় অর্থাৎ নিজ এলাকায় বিভিন্ন রকমের ফুল ,ফলের গাছ দিয়ে ছোট্ট একটি বাগান তৈরি করা শুরু করেন। সেখানে ছোট্ট কিশোর কিশোরীরা ঘোরাঘুরি করেন, সময় কাটান ,এরপর যখন বাগানের গাছের সংখ্যা বাড়তে থাকে জমির পরিধি বাড়তে থাকে তখন ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে অভিভাবকরা আসতে শুরু করেন এবং বিনোদনের জায়গা হিসেবে বেছে নেন। তখন থেকে ঝরনা সারোয়ার এর মনটা আরো প্রসারিত হতে থাকে ।তিনি চিন্তা করেন কিভাবে এলাকার এই জনগণের বিনোদনের একটি জায়গা হিসেবে আমি গড়ে তুলতে পারে ।ঠিক সেখান থেকেই তার কাজের পরিধি আরো বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে তিনি বাস্তবে একটি পার্ক তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। এই পার্কে অনেক রকম ফুল এবং ফলের গাছ রয়েছে ।একটি সাঁকো রয়েছে, ১০ থেকে ১২ টি দোলনা রয়েছে ,পার্কের মাঝ দিয়ে চলার জন্য টাইলস বসানো রাস্তা রয়েছে ,একটি পুকুর রয়েছে। সুন্দর একটি ঝর্ণা রয়েছে, ঝরনার পাশে মানুষের বসার জন্য গোলাকার ব্যান্স সিস্টেম করা রয়েছে। এছাড়া শিশুদের জন্য আরও বিভিন্ন রকম খেলনা রয়েছে। পার্কটি পরিচালনার জন্য চারজন লোক নিয়োগ করা হয়েছে ,তাদের মধ্যে মোঃ শাহিন এবং মোঃ শফিক এদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি থানার লোকজন এখানে আনন্দ বিনোদন করতে আসেন। প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ লোকের আসা যাওয়া হয়।
জায়গাটা সত্যিই মনমুগ্ধকর একটি পরিবেশ। ঝরনা সারোয়ার একজন গৃহিণী। তার স্বামী আইএফ আইসি ব্যাংকের এমডি। ২ কন্যা সন্তানের জননী দুই কন্যা সন্তান দেশের বাইরে থাকেন। তিনি এলাকার মানুষের ভালোবাসার জন্য এবং এলাকার মানুষের মনের খোরাকের জন্যই তার এই পার্কটি তৈরি করা ।তিনি ভবিষ্যতে এই পার্কের জন্য কোনদিনও প্রবেশ ফি নিবে না বলে জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে পার্ক টি আরো কিভাবে সুন্দর করা যায় সেই পরিকল্পনাই তিনি করতে থাকেন। এখান থেকে একটি টাকা মুনাফা অর্জনের চিন্তা কখনো তিনি করেন না। ভবিষ্যতে সারা বাংলাদেশের লোক এখানে আনন্দ বিনোদনের জন্য আসুক এটাই তিনি কামনা করেন, সেখানে তিনি সার্থক হবে আশা করেন।