পিরোজপুর জেলায় এক নারী থানায় পাওনা টাকা উদ্ধার অভিযোগ করতে গিয়ে, নিজেই যৌন হয়রানি’র শিকার
- আপডেট টাইম : ০৬:১৩:২১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৯৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় পাওনা টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন সালমা আক্তার নামের এক নারী।
যৌন হয়রানীর শিকার সালমা জানান, আমি মিস সালমা আক্তার আমার পিতা, রওন তালুকদার সাং দেবত্র দাউদখালী ইউনিয়ন, মঠবাড়িয়া উপজেলা, পিরোজপুর জেলা আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজ এর তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছি। আমাকে ও আমার ভাইকে সৌদি আরবে চাকরি দিবেন বলিয়া আামাদের কাছ থেকে ৭,০০,০০০ (সাত লক্ষ) টাকা নিয়ে প্রতারণা ও আত্মসাৎ করিয়াছে মর্মে আমি পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বিগত ইং ২৫/৫/২২ তারিখ মঠবাড়িয়া থানা একটি লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করি।
অভিযোগটি মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল তার নিজ দায়িত্বে নেন এবং এএসআই ফিরোজ আলমকে সাথে রেখে ওসি স্যার আমাকে একটি কক্ষে ডাকেন এবং অভিযোগের কাগজটি আমার হাতে দিয়ে আমাকে নানা রকম লোভ দেখান এবং কু-প্রস্তাব দেন। আমার শরীলের বিভিন্ন অঙ্গে স্পর্শ করার চেষ্টা করিলে, আমি প্রতিবাদ করিয়া সেখান থেকে চলে আসি।
আসামিরা আমাদের সাথে নিজস্বভাবে মীমাংসা কথা বলে, আমাদের পাওনা টাকার থেকে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা নগদে দিবেন এবং বাকি ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকার জন্য একটি চেক দিবেন বলে স্বীকার করে। আমি এই কথার এএসআই ফিরোজ স্যারকে জানালে স্যার আমাদের নিজস্বভাবে মীমাংসা করতে বাধা দেয় এবং আসামিদের নিয়ে থানার মাধ্যমে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে। আমরা সরল বিশ্বাসে আসামিদের নিয়ে থানায় বৈঠকে বসি বৈঠক শেষে ১নং আসামিকে থানায় আটক করেন এবং কয়েক ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ছেড়ে দেন।
এই কয়েক ঘন্টার মাঝে নানা ভাবে আমাকে হয়রানি করে, সেই সাথে যৌন হয়রানীর ভয়ে ওসি নুরুল ইসলাম বাদলের কাছে না গিয়ে তদন্ত অফিসারের কাছে ন্যায়বিচার পাওযার জন্য যাই, কিন্তু সেখানেও আমাকে কু-প্রস্তাব দেওয়াসহ অশ্লীল কথা বলেন। আমি তখন নিরুপায় হইয়া ২৩/০৮/২২ তারিখ আমাদের পিরিজপুর জেলা সুপার মহোদয়ের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করি তখন পুলিশ সুপার মহোদয় স্যার ওসি নুরুল ইসলাম বাদলকে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।
সেই মতে বিগত ০১/০৯/২২ ইং তারিখে আমাকে থানায় ডাকে, আমি থানায় গিয়ে স্যারদের সাথে কথা বলে আসার পথে আসামিরা এবং অজ্ঞাত নামা ২ জন লোক আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় এবং গুরুতর জখম হই। আমি জখম হইলে আমার পিতা বাদী হইয়া উক্ত তারিখে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামি ১। মোঃ নাসির হাওলাদার (৩৫). পিতা মোঃ আলকাজ উদ্দিন হাং ২। আলকাজ উদ্দিন হাং (৫৫) পিতা মৃত কাছেম হাং ৩। আল আমিন (৩৫) পিতা মৃত আব্দুল সাত্তার সর্ব সাং তাফালবাড়িয়া, জেলা উপজেলা মঠবাড়িয়া আরো অজ্ঞাত নামা ২ জন লোক।
হয়রানি’র শিকার সালমা আক্তার আরো জানায়, ওসি স্যার নানা কৌশলে আমাদের কে অপেক্ষায় রাখেন এবং ০৯/১২/২২ তারিখ মামলাটি এফ আই আর করেন। সেই সাথে মামলাটির দায় দায়িত্ব দেন এসআই আবুল কাছেম উপর।
অতঃপর আবুল কাছেম স্যার আমার নিকট হইতে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা নেন কিন্তু কাছেম স্যার আসামিদের নিকট হইতে ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা ঘুষ নিয়ে পিরিজপুর নারী ও শিশু আদালতের মামলা নং ৯৬/২২ জজ স্যারের প্রতিবেদন আটকে রাখেন। বিনিময়ে ১নং আসামিকে গোপনে বিদেশ পাঠিয়ে দেয় কাছেম। কাছেম আমার ৯টি ছবি পিরিজপুর নারী ও শিশু আদালতে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে আমাকে প্রায় ব্ল্যাকমেইল করিয়া আসিতেছেন।
এবিষয়ে জানতে মঠবাড়িয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ ওসি নুরুল ইসলাম এর মুঠোফোন একাধীক বার বার কল দিলেও তিনি একবার রিসিভ করেনি।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন